Highlights

ছয় দফা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

Published

on

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে গড়া এ দল এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রোববার সকালে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, মির্জা আজম, শাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সুবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি, ত্রাণ ও সমাজ সম্পাদক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আ খ ম জাহাঙ্গীর, শাহাব উদ্দিন ফরাজী উপস্থিত ছিলেন এ সময়।

পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন- মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহীলা আওয়ামী লীগ এবং স্বাচিপের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করা হয়।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

বাংলার সর্বস্তরের জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয় ১৯৬৬ সালের ৭ জুন।

হরতাল চলাকালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে সৈন্যদের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। গ্রেপ্তার হন অনেকে। স্বাধিকারের এই আন্দোলন ও আত্মত্যাগের পথ বেয়েই শুরু হয়েছিল বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার সংগ্রাম।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “জাতি যেন স্বাধীনতার দিকে যায়, সেই লক্ষ্যে জাতির মনন তৈরি করতেই ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন জাতির পিতা। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মণি সিংহ জাতির পিতার ৫৩তম জন্মদিনে তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং সেজন্য মনি সিংহকে চিঠি লিখেছিলেন, এতে তার সমর্থন আছে কি না।… পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন।“

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও বিএনপি ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা’ করছে অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “তাদের দলের মধ্যেও বহু স্বাধীনতাবিরোধী আছে। এখনও স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষের শক্তি নিয়ে কথা বলতে হয়, যেটি স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে দুঃখজনক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version