Connect with us

খেলাধুলা

অধিনায়ক মাশরাফির জন্মদিন আজ

Published

on

আজ ৫ অক্টোবর, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ৩৫তম জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে নড়াইল শহরের আলাদাতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

নানাবাড়িতেই কেটেছে শৈশবের পুরোটা সময়। মাশরাফির বাবার নাম গোলাম মর্তুজা স্বপন এবং মাতার নাম হামিদা মর্তুজা বলাকা। ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলার প্রতি আগ্রহী ছিলেন মাশরাফি। তাদের বাড়ির পাশেই ছিল স্কুল মাঠ। বড়রা মাঠে ক্রিকেট খেলতেন। স্কুলের মাঠে বড়দের ক্রিকেট খেলা দেখে মাশরাফির ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়।

নব্বইয়ের দশকে নড়াইলের ক্রিকেটার-সংগঠক শরীফ মোহাম্মদ হোসেন প্রতিভাবান তরুণদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। মাত্র ১১ বছর বয়সের মাশরাফিকে এই সংগঠকই তার ক্লাব নড়াইল ক্রিকেট ক্লাবে খেলার সুযোগ করে দেন। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৯১’এর দিকে মাগুরায় বিকেএসপির প্রতিভা অন্বেষণ ক্যাম্পের কোচ বাপ্পির সান্নিধ্যে এসে বোলিংয়ের অনেক মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হন বাংলাদেশের অধিনায়ক। পরের বছর জাতীয় কোচ ওসমান খান নড়াইলে এক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালাচ্ছিলেন। ওই সময় মাশরাফির আমন্ত্রণ আসে খুলনায় খেলার জন্য। খুলনায় তার গতি ও সুইং হইচই ফেলে দেয়। সেই সূত্রে খুলনা বিভাগীয় অনুর্ধ্ব-১৭ দলে সুযোগ এবং ঢাকায় আসা।

পরবর্তীতে সুযোগ পান জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৯ দলে। সেসময়কার বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের পরিচর্যায় পাল্টে যান মাশরাফি। অনুর্ধ-১৯ দলে থাকতে দারুন পারফরম্যান্সের কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ-এ’ দলে খেলার সুযোগ পান। এ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। কারণ তখনো মাশরাফি ঢাকার কোনো সিনিয়র ডিভিশন লীগেও খেলেননি।

তবে সমালোচকদের মোক্ষম জবাব নিজের পারফরমেন্সের মাধ্যমেই দিয়েছিলেন মাশরাফি। সেই সিরিজে মাশরাফি এক ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তার নাম হয়ে যায় ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। এরপর একমাত্র ইনজুরি ছাড়া কোনকিছুই মাশরাফিকে আটকাতে পারেনি।

তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় নড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে এসএসসি পাস করেন। এইচএসসি পাস করেন নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ২০০৩ সালে। এরপর দর্শন শাস্ত্রে অনার্স কোর্সে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভিক্টোরিযা কলেজে পড়ার সময় সুমনা হক সুমির সঙ্গে তার পরিচয়, এরপর ২০০৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। মাশরাফি ও সুমি দম্পতির ঘরে রয়েছে দুটি সন্তান-মেয়ে হুমায়রা মর্তুজা এবং ছেলে সাহেল মর্তুজা।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আন্তর্জাতিক

পিএসজি ছেড়ে আল হিলালে নেইমার!

Published

on

ক্রীড়া ডেস্ক: পিএসজি ছাড়ছেন নেইমার জুনিয়র, এটা নিশ্চিতই ছিল। তবে এতদিন অনিশ্চিত ছিল তার পরবর্তী গন্তব্য। এবার সেটাও নিশ্চিত হয়ে গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, নেইমারের জন্য পিএসজিকে ৯ কোটি ইউরো দেবে আল হিলাল। পাশাপাশি শর্তসাপেক্ষে প্রাসঙ্গিক আরও কিছু অর্থ খরচ করতে হবে সৌদি লিগের এই ক্লাবকে।

বিবিসির দেয়া তথ্য মতে, নেইমারকে ছাড়তে রাজি হয়েছে পিএসজি। দলবদলে প্রক্রিয়ার কাজ শেষের দিকে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে আর মাত্র দুটি কাজ বাকি আছে। আজই নেইমারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। আর বাকি কাজ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চূড়ান্ত করা।

ফ্যাবজিও রোমানিও জানিয়েছেন, আল হিলালের সঙ্গে নেইমারের দুই বছরের চুক্তি হয়েছে। যার মেয়াদ থাকবে জুন ৩০, ২০২৫ পর্যন্ত। বার্সা থেকে পিএসজিতে এসে দশ নম্বর জার্সি পেয়েছিলেন নেইমার। এবার প্যারিস ছাড়লেও তার জার্সি নম্বরে পরিবর্তন আসছে না। আল হিলালেও দশ নম্বর জার্সি পাবেন নেইমার।

রোমানো আরও জানিয়েছেন, নেইমারের এই চুক্তিতে বার্সেলোনায় ধারে ফেরার কোনো শর্ত নেই। অর্থাৎ শুধু আল হিলালেই খেলবেন।

পিএসজিতে বছরে আড়াই কোটি ইউরো বেতন পান নেইমার। আল হিলালে মৌসুমপ্রতি ১৬ কোটি ইউরো পাবেন, এমন গুঞ্জন আছে। দুই মৌসুমের নেইমারকে ৩২ কোটি ইউরো বেতনের প্রস্তাব দিয়েছে আল হিলাল জানিয়েছে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবো স্পোর্তে।

Continue Reading

Highlights

সাকিবই হলেন নতুন অধিনায়ক

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য পুরোনো ও বিশ্বস্ত নেতা সাকিব আল হাসানের হাতেই ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে বিসিবি। আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানকে ঘোষণা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সাকিবের অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ওর দক্ষতা নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নাই। সাকিবকে নিয়ে একটা সময় আমার মনে হতো, ও খেলা নিয়ে কতটুকু সিরিয়াস! কিন্তু, গত এক বছরে ওর খেলা দেখে মনে হচ্ছে দলে ওর চেয়ে সিরিয়াস কেউ নেই এই মুহূর্তে। ওর সব মনোযোগ এখন ক্রিকেটে। এটি আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। ওর দক্ষতা ও সামর্থ্য নিয়ে কখনো কারও সন্দেহ থাকার প্রশ্নই আসে না।’

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে করেছিলেন ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতে আট ম্যাচে ৬০৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন দুটো অসাধারণ সেঞ্চুরি। বল হাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শিকার করেছিলেন পাঁচ উইকেট। আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে তাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন ভক্তরা।

২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। তার নেতৃত্বে ওই আসরে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি ইংল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ।

২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান সাকিব। তার নেতৃত্বে ৫০টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। জয় পেয়েছে ২৩ ম্যাচে। জয়ের হার ৪৬ শতাংশ।

Continue Reading

খেলাধুলা

অন্তিম নিদ্রায় শায়িত ফুটবল সম্রাট পেলে

Published

on

By

পেলে নামের রূপকথার যাত্রা ঠিক যেখানে শুরু হয়েছিল, ঠিক সেখানেই অন্তিম নিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি। সান্তোসের ভিলা বেলমেরো স্টেডিয়ামের পাশেই অবস্থিত ১৪ তলার বিশাল সমাধিস্থল নেক্রপল একুমেনিকায় মঙ্গলবার ফুটবলের রাজা পেলেকে সমাধিস্থ করা হয়। সান্তোস এফসির সামনে ভিড় করা পেলে ভক্তদের আবেগঘন বার্তা ছিল অনেক। পেলের প্রিয় ক্লাব সান্তোস এফসির স্টেডিয়ামে ব্রাজিলীয় ভাষায় লেখা: ‘দীর্ঘজীবী হোন রাজা’। সবার চোখ একবার হলেও সেখানে আটকে গেছে।

ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে হার মেনে গত বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সে অন্যলোকে পাড়ি জমান ব্রাজিলকে তিনটি বিশ্বকাপ জেতানো সর্বকালের সেরা ফুটবলার। সেই থেকেই কাঁদছে ব্রাজিল, কাঁদছে গোটা ফুটবল-বিশ্ব। প্রিয় ক্লাব সান্তোসের মাঠ ভিলা বালমিরো থেকে যখন তার মরদেহ বের করা হচ্ছিল, সেখানে প্রায় ২০ লাখের বেশি মানুষ অপেক্ষায় ছিল তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। এরপর শতবর্ষী মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ১৪ তলাবিশিষ্ট বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সমাধিস্থল মেমোরিয়াল নেকরোপোল একিউমেনিকায় ফুটবলের রাজা চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।

ভিলা বেলমেরো স্টেডিয়ামে পেলের কফিনবন্দি নিথর দেহ রেখে সোমবার সকালে শুরু হয়েছিল ২৪ ঘণ্টাব্যাপী শেষ শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লাখো মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অশ্রুভেজা চোখে শেষশ্রদ্ধা জানান ফুটবল সম্রাটকে। মঙ্গলবার সকালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে শ্রদ্ধা জানানোর পর শুরু হয় শেষযাত্রা।

শেষকৃত্যে যোগ দিতে আসা পেলের ভক্তদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫৯ বছর বয়সী কার্লোস মোতা। রিও ডি জেনিরো থেকে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি পাড়ি দিয়ে তিনি পেলেকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, ‘ব্রাজিলের জন্য পেলে যা করেছেন, তা ছোটবেলা থেকেই আমাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। সে আমাদের জাতীয় নায়ক। আমি সব সময়ই আমার ছেলেকে একটি কথাই বলি, আমার কাছে তিনটি অবিসংবাদিত তথ্য আছে-বলের আকার গোল, ঘাসের রং সবুজ এবং পেলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার।’

সাদা রঙের ফায়ার ট্রাকে ব্রাজিলের পতাকায় মোড়া পেলের কফিন ঘোরানো হয় সান্তোসের বিভিন্ন রাস্তায়। ফায়ার ট্রাকের ওপরে করে কফিন নেওয়া ব্রাজিলের একটি ঐতিহ্য। এর আগে ১৯৮৩ সালে মারা যাওয়া পেলের সতীর্থ গারিঞ্জার কফিনও ফায়ার ট্রাকে করে বহন করা হয়।

শবযাত্রার সময় রাস্তার দুপাশে ভিড় জমিয়ে পেলেকে শেষবিদায় জানান সাধারণ মানুষ। ভেজা চোখেই পেলেকে নিয়ে গান গাইতে দেখা যায় অনেককে। পেলেকে সমাধিস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় তার পৈতৃক বাড়ির সামনে দিয়ে। যেখানে থাকেন তার শতবর্ষী মা সেলেস্তে আরান্তেস। আগের দিন ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভিলা বেলমেরোয়। পেলেকে সমাহিত করার আগে ধর্মীয় শেষকৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুধু তার পরিবারের সদস্যরা।

ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাব থেকেও প্রতিনিধি দল গিয়েছিল পেলের শেষকৃত্যে অংশ নিতে। তারা সহমর্মিতা জানিয়েছে পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আওকি, তিন সন্তান এদিনহো, সিলেস্তে ও কেলি নাসিমেন্তোকে।

Continue Reading