Connect with us

জাতীয়

ওয়াজে শুনে এহসান গ্রুপে বিনিয়োগ করে দিশেহারা মানুষ

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
বিনিয়োগের মাধ্যমে সুদবিহীন উচ্চ মুনাফার প্রলোভনে মানুষকে আকৃষ্ট করতে কিছু আলেমকে দিয়ে ওয়াজের ব্যবস্থা করতেন এহসান গ্রুপের (এহসান এস) চেয়ারম্যান মুফতি মাওলানা রাগীব আহসান। এমনকি বিদেশ থেকে আলেম এনেও প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।

আর বক্তাদের কথা বিশ্বাস করে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি কর্মী হয়ে মানুষের কাছ থেকে জামানত সংগ্রহ করে দিয়েছেন অনেকে। এভাবেই পিরোজপুরের রাগীবের ঘনিষ্ঠ জামায়াত-শিবিরের কিছু কর্মীকে নিয়ে এহসান গ্রুপ বড় আকার ধারণ করে। এহসান গ্রুপের প্রতারণা প্রকাশ হয়ে পড়ার পর এখন তোপের মুখে পড়েছেন সাধারণ কর্মীরা। আর গা-ঢাকা দিয়েছেন প্রতারকচক্রের ওই সব জামায়াতপন্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আলেমদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন রাগীব। পিরোজপুর, যশোর, নড়াইল, কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সক্রিয় এহসান গ্রুপে বিনিয়োগ করে এক হাজার ২০০ মাঠকর্মী এবং লক্ষাধিক গ্রাহক বিপাকে পড়েছেন। গ্রাহকদের তোপ থেকে বাঁচতে র‌্যাব-পুলিশের সাহায্য চাইছেন কর্মীরা।

এদিকে বিপুল পরিমাণ সম্পদে বিনিয়োগের কথা বলা হলেও বাস্তবে এহসান গ্রুপের তেমন সম্পদ খুঁজে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। যশোরে ১৫ হাজার গ্রাহকের ৩২২ কোটি ১১ হাজার ৭৫০ টাকা বিনিয়োগ থাকলেও সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় আট বিঘা এবং যশোর-নড়াইল সড়কের দাইতলায় হামকুড়া ব্রিজ এলাকায় ১৭ বিঘা জমি ছাড়া আর কোনো সম্পদের হদিস মিলছে না। এসব জমিও এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দৃশ্যমান সামান্য কিছু সম্পদ থাকলেও এসব বিক্রি করে টাকা পাচার করেছেন রাগীব ও তাঁর সহযোগীরা।

অন্যদিকে র‌্যাব ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্মকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগের নামে আত্মসাতের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন রাগীব। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা এলাকা থেকে ভাই আবুল বাশার খানসহ তাঁকে গ্রেপ্তারের পর পিরোজপুর পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পিরোজপুর থানায় রাগীব ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। পিরোজপুরের পুলিশ বৃহস্পতিবারই রাগীবের অপর দুই ভাই মাহমুদুল হাসান ও খায়রুল ইসলামকে তাঁদের নিজ গ্রাম খলিশাখালী থেকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের নির্দেশে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের সূত্র বের করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

‘যশোর এহসান ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক সংগ্রাম কমিটির’ সাধারণ সম্পাদক যশোরের বারান্দীপাড়া কদমতলার মফিজুল ইসলাম ইমন জানান, কার্যত ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে এহসান ইসলামী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। পর্যায়ক্রমে এহসান সোসাইটি ও এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নাম নিয়ে যশোরে তাদের প্রতারণা শুরু হয়। মূলত এহসান এস বাংলাদেশ, এহসান রিয়েল এস্টেট ও এহসান মাল্টিপারপাস শরিয়া মোতাবেক সুদবিহীন ব্যবসার ধুয়া তুলে মাসে এক লাখে ১৬০০ টাকা মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা জমা নিতে থাকে। এই কাজে যশোরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ সরল বিশ্বাসে এখানে লগ্নি করে।

ফেসবুকে এহসান গ্রুপের নামে ওয়াজের বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে ওয়াজকারীরা এহসান গ্রুপে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গ্রাহক ও কর্মীরা বলছেন, শরিয়াসম্মত বিনিয়োগের এই আহ্বানে তাঁরা অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন।

বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের কোটি কোটি লগ্নি হিসেবে হাতিয়ে নিলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লভ্যাংশ বা আসল ফেরত দেওয়া হয়নি। আজ দেব কাল দেব বলে টালবাহানা শুরু করলে বিপাকে পড়েন লগ্নিকারীরা। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে গাঢাকা দেন এহসান এসের কর্মকর্তারা।

এই পর্যায়ে গ্রাহকদের টাকা উদ্ধারে গঠন করা হয় ‘যশোর এহসান ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক সংগ্রাম কমিটি’। কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমন আরো বলেন, যশোর অঞ্চল থেকে ৩২২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মূলত জড়িত এহসান গ্রুপের এহসান এস বাংলাদেশ ও রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের মুফতি আবু তাহের নদভী, এহসান এস যশোর শাখার ব্যবস্থাপক আতাউল্লাহ, প্রধান নির্বাহী অর্থ মহাব্যবস্থাপক মুফতি জুনায়েদ আলী ও ক্যাশিয়ার আইয়ুব আলী। তাঁদের বিরুদ্ধে আগেই সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। মামলাও দায়ের করা হয়, যা তদন্ত করে পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই। তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মেলে। ৫৬ জন বিনিয়োগকারী টাকার শোকে মারা গেছেন এমন জনশ্রুতিও আছে। এত কিছুর পরও রাগীব এত দিন ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিলেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনে রাগীব তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে ওয়াজের আয়োজন করতেন। বিদেশ থেকে ধর্মীয় বক্তাদের এনে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্য দেওয়াতেন তিনি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়ে তিনি আবাসন ব্যবসা ও জমি কেনায় বিনিয়োগ করেছেন। রাগীব এ ধরনের সাত-আটটি প্রকল্প থাকার কথা স্বীকারও করেছেন। তবে হাজার হাজার গ্রাহকের টাকা নিয়ে তিনি নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরিয়েছেন।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, রাগীব ও তাঁর তিন ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অভিযোগের ব্যাপারে জানা যাবে। তাঁদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আবার ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিয়েও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র জানায়, রাগীবের ভাই মাহমুদুল পিরোজপুর বাজার মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাগীবের বাবা মাওলানা আব্দুর রব, শ্বশুর শাহ আলমসহ তাঁদের পরিবার জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সঙ্গে এই পরিবারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এলাকায় জামায়াত ও ধর্মীয় নেতা বলে তাঁর একটি অনুসারী দল তৈরি হয়েছে। তাঁদের অনেকেই এহসান গ্রুপের কর্মী। কিছু জামায়াত কর্মীও এই প্রতিষ্ঠানে সক্রিয়। তাঁরা রাগীবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাঁরা এখনো সক্রিয় থেকে গ্রাহকদের ঠেলে দিচ্ছেন সাধারণ কর্মীদের দিকে।

পিরোজপুরের মাঠকর্মী মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকে আলেমদের দেখে না বুঝে বিনিয়োগ করেছেন। আমরা কাজ করেছি। অনেকে তাঁদের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের এখন পাওয়া যাচ্ছে না। বরং কর্মীরা আমাদের এসে ধরছে।’ সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading

Highlights

রাজনীতি করতে না চাওয়া সাকিব কিনলেন আ.লীগের মনোনয়ন!

Published

on

খেলা ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্বাচনে অংশগ্রহণে তার আগ্রহের বিষয়টি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। যা মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে। এরপরই একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সাকিবের। ২০১৩ সালে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘জীবনেও রাজনীতি করব না।’

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার খবর প্রকাশ হতেই সেই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করছেন। কেউবা সে পোস্টের কমেন্টবক্সে সাকিবের সমালোচনায় মেতেছেন। এর আগে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাকিবের পক্ষে ফরমগুলো সংগ্রহ করা হয়। আসনগুলো হলো— ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২।

মূলত মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন সাকিব। যা তার আগের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই অনেকেই বিষয়টি নতুন করে সামনে নিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.১৪ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই।’

ওই সময় সাকিব বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরই তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনার ডালপালা মেলে। তখন নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সাকিব ওই স্ট্যাটাস দেন। তবে এক দশকের বেশি সময় পর নিজের অবস্থান বদলাতে দেখা গেলো তাকে।

ফেসবুক পোস্টে সাকিব আরও লিখেন, ‘আমাকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে দিন। আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই। আমাকে বোর্ড সভাপতি (পাপন) অনুরোধ করায় আমি ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে রাজনীতি নিয়ে একটি শব্দও বলিনি। তাই সবাইকে বলব যে– আমাদের মিডিয়াকে বিশ্বাস করবেন না। আশা করি নিজের বিষয়টা পরিষ্কার করতে পেরেছি।’

এর আগে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সাকিব নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। ওই সময় সাকিব না পারলেও, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে সাকিবও নির্বাচনে যাবেন বলে অনেকদিন ধরেই জোর শোরগোল চলছিল। এশিয়া কাপ চলাকালে অনেকটা হুট করে সাকিব দল রেখে দেশে চলে আসেন। ওই সময় নির্বাচনী কাজেই সাকিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন বলে আলোচনা রয়েছে!

Continue Reading

Highlights

উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সেইসঙ্গে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে আমাদের সরকারের আমলে। আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি।

আজ রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়গুলো আমি সম্মেলনে তুলে ধরেছি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে শেষে গত রোববার তিনি দেশে ফিরেছেন।

Continue Reading