নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালীতে “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন কারিকুলাম কতটা কার্যকরী” শীর্ষক শিক্ষাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সোনাইমুড়ী উপজেলার ‘চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রাঙ্গণে এই সম্মেলনের আয়োজন করে বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম রাশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অজিত দেব। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু, আপন শিশুবিকাশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. সুলতানা রাজিয়াসহ উপজেলার স্বনামধন্য স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকমণ্ডলীসহ শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. নুরুল হক।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ সরকার দেশব্যাপী ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ চালু করেছে। শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পরিবেশে পড়ানোর পাশাপাশি মুখস্থনির্ভরতার পরিবর্তে দক্ষতা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে বিদ্যালয়টি।
চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী শিক্ষা বিস্তারের প্রত্যয় নিয়ে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করে। এই যাত্রায় নতুন কারিকুলাম পেয়ে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করে এবং এর মাধ্যমে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে বলে তারা জানাই। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টি সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু এই নতুন শিক্ষা-পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা হতে দেখা গেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। যার ফলে অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভান্ত্রির সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় কীভাবে এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা যায়, কী কী সংশোধনীর প্রস্তাব পেশ করা যায় এবং কীভাবে অভিভাবক ও সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করা যায় সে বিষয় নিয়ে মূলত মতবিনিময়ের জন্য এই শিক্ষাসম্মেলন করা হয় বলে জানা যায়।
বর্তমান এই শিক্ষাক্রম কতটা বাস্তবসম্মত, বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং আধুনিক ও গতিশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুত অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে কতটা উপযোগী তা তুলে ধরেন বক্তারা। নতুন প্রজন্মের মনন ও মেধা বিকাশে কতটা সহায়ক এবং দৈনন্দিন জীবনের সাথে কতটা সামঞ্জস্যশীল তা উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিছু নাটিকা ও ভ‚মিকাভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরে। এছাড়াও নতুন কারিকুলাম নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দের বক্তব্যের পাশাপশি শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকগণও তাদের মতামত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন মাহমুদ।