Connect with us

দেশজুড়ে

খুঁটি ও গাছ লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করল প্রভাবশালীরা, ভোগান্তি ৪২ পরিবারের

Published

on

গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকারি সড়কে সিমেন্টের পিলার পুতে বেড়া দিয়ে গাছের চারা রোপন করে সাধরন মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। সড়কের মাঝখানে গাছের চারা রোপন ও সিমেন্টর পিলার এবং বাড়ি নির্মাণের ঢালাই দিয়ে বেড়া দেওয়ায় গত ৫ দিন ধরে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। যেকোনো মুহূর্তে এখানে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ফরিদপুর গ্রামের জঙ্গলপাড়া এলাকায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সরকার বাড়ি বেপারী পাড়া মোড় হইতে ইট-সোলিং সড়ক নয়নপুর হালিম উদ্দিনের মোড় পর্যন্ত সড়ক ইট-সোলিং করা হয়। ওই সড়ক ইট-সোলিংকরণের ফলে রাস্তার উভয় পাশে বসবাসরত ৪২টি পরিবারের লোকজন চলাচলে সুফল ভোগ করে আসছে।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ফরিদপুর গ্রামের মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে মুজিবুর রহমান সড়কের মাঝ বরাবর সিমেন্টের পিলার পুতে ও মৃত মাইনুদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা সড়কের উপরে সিমেন্টের ঢালাই করে দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সড়কে চারা গাছ লাগানোর ও সিমেন্টের পিলার পুতে দেওয়ার ফলে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না সড়কের উভয় পাশে বসবাসরত লোকজন। বাহির হওয়ার একমাত্র সড়ক হওয়ায় ওই ৩৫টি পরিবারের লোকজন এখন বন্দি দশায় রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে গ্রামের গণ্যমান্যরা চেষ্টা করেও নিষ্পত্তি করতে পারেনি। এতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে উভয় পক্ষের মধ্যে।

খাইরুল, খান কাশেম, আলম মাষ্টারসহ আরও স্থানীয় লোকজন জানান, বেপারি বাড়ি মোড় হইতে নয়নপুর পর্যন্ত এই সড়কটি হচ্ছে ১৮ ফুট। বর্তমানে ১০ পুট জায়গাও নেই সড়কে। মাসুদ আর মুজিবর রহমানের বিরোধের জের ধরে সড়কের মাঝ খানে পিলার ও গাছের চারা লাগিয়ে রেখেছে মুজিবুর। এবং মাসুদ অন্যায়ভাবে সরকারি সড়কে ইটের ঢালাই দিয়ে দখল করে রেখেছে। তারা নিজের সড়ক দাবি করে তাদের বাড়ির সামনে বেড়া দিয়ে এসব লোকজনদের স্বাভাবিক চলাচলে বাধাগ্রস্থ করছে। বিষয়টি নিয়ে তারা উভয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আপসে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের হিংসা আর অসহযোগিতার কারণে তা হয়নি।

এ বিষয়ে ফরিদপুর গ্রামের মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে মুজিবুর রহমান বলেন, আমি আমার জায়গাতে গাছের চারা ও সিমেন্টের পিলার পুতে রেখেছি। মাসুদ সরকারি সরকের উপর বাড়ি নির্মাণ করে সড়ক দখল করে নিয়েছে।

মৃত মাইনুদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা বলেন, বাড়ি করার আগে সঠিক ভাবে মাপযোগ করে বাড়ি নির্মাণ করছি। সড়কের উপরে আমি বাড়ি নির্মাণ করি নাই এমন কি সড়কও দখল করিনাই। সরকারি সড়কের অনেক বাহিরে আমি বাড়ি করেছি।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এনও) তরিকুল ইসলাম জানান, এই রাস্তার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো এবং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ফেনী সদরে ব্যাংক ম্যানেজারকে হত্যার অভিযোগ, মরদেহে আঘাতের দাগ

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী পৌর এলাকায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে সেটা স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম আজম খান। তিনি ফেনী সদরের ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন। গত ৯ এপ্রিল পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের জহির কোম্পানির ভাড়া বাড়ির ৫ম তলায় এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় নিহতের বোন নারগিছ আক্তার ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ফেনী সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছেন নিহতের স্ত্রী কামরুন নাহার(৩৬) ও তার তিন ভাই-বোন গোলাম রব্বানী(৪৫), লুৎফুর নাহার(৩৯), মো: রুবেল(৩৮) ও তাদের দুই ছেলে তানভীর(৩০) এবং মুনতাহীর(২৫)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই ব্যাংক কর্মকর্তা চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন থেকে ফেনী সদরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সম্পদের লোভে চলতি মাসের ৭ তারিখ আসামিরা স্টাম্পের মাধ্যমে সকল সম্পত্তি লিখে নিতে আজম খানকে মারধোর করে। মারধোর করেও পরিকল্পনায় সফল হতে না পেরে গত ৯ এপ্রিল হত্যা করে ফেনী কার্ডিয়াক হসপিটালে নিয়ে যায়। পরে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক ব্যাংক কর্মকর্তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ বাড়িতে আনার পরে স্বজনেরা মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিন্হ দেখতে পান। তবে সেই অভিযুক্তরা কৌশলে লাশের কোন ময়নাতদন্ত না করেই দাফন করে।

নিহতের বোন নারগিছ আক্তার পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Continue Reading

দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে দেশ রূপান্তরের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

Published

on

By

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
দেশ রূপান্তরের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াখালীতে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কান্দার কচি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে কেক কাটেন নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, দেশ রূপান্তর দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা। এ পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে নিচ্ছে দেশ। ‘দায়িত্বশীলদের দৈনিক’ হিসেবে দেশ রূপান্তর দেশের জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করছে।

দেশ রূপান্তরের নোয়াখালী প্রতিনিধি জামাল হোসেন বিষাদের সঞ্চালনায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি বখতিয়ার শিকদারের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলমগীর ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর নান্টু, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু, সহ-সভাপতি শাহ এমরান মো. ওসমান সুজন, যুগ্ম সম্পাদক এ আর আজাদ সোহেল, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক অ্যাডভোকেট কাওসার নিয়াজী, দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার নাসির উদ্দিন বাদল, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার সুমন ভৌমিক প্রমুখ।

বক্তাগণ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছায় দেশ রূপান্তরের এগিয়ে চলায় শুভকামনা জানান।

Continue Reading

Highlights

রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো “রায়হান ক্লাসিক বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪”

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রায়হান ক্লাসিক বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪। রায়হান ফিটনেসের প্রতিষ্ঠাতা রায়হান রহমানের আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার(১ মার্চ) দিনভর মুখরিত ছিল ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল অডিটোরিয়াম।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশ সেরা ১০০ জন প্রতিযোগী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে শাওন সাকির, তূর্য ও সুমন মাতবর যথাক্রমে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সোলায়মান সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শরীর গঠন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ।

Continue Reading