Connect with us

Highlights

আইনের তোয়াক্কা না করেই একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক জাকির আহমেদ খান!

Published

on

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
সাবেক আমলা ও বর্তমানে সাউথইস্ট ব্যাংকের উপদেষ্টা জাকির আহমেদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পদ কুক্ষিগত করে রাখা, অনিয়ম-দূর্নীতিসহ বিভিন্ন নান অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির অনেক কর্মকর্তা।  দীর্ঘ সময় উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ব্যাংক তার কাছ থেকে কিছুই পায়নি বলে অভিযোগ তাদের।  বিষয়টি নিয়ে ভিতরে-বাইরে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।  তারা বলছেন, তিনি না থাকলে ব্যাংক বছরে কমপক্ষে আরও দুই কোটি টাকা বেশি মুনাফা অর্জন করতো। আর এতে করে ব্যাংকের সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা উপকৃত হতো।  তবে ওসব অনিয়ম নিয়ে এতোগুলো বছর ধরে রহস্যজনকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংক আইনের তোয়াক্কা না করে সাবেক আমলা জাকির আহমেদ খান সাউথইস্ট ব্যাংকসহ একাই দখল করে আছেন অনেকগুলো আর্থিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পদ। ২০১০ সালে সাউথইস্ট ব্যাংকে উপদেষ্টা হিসেবে যোগদানের পর আজ অবধি দীর্ঘ ১১ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ব্যাংকের উপদেষ্টা পদে নিয়োজিত রয়েছেন। চলতি মাসেই আবারও সাউথইস্ট ব্যাংকের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নবায়ন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াতের আশীর্বাদপুষ্ট আমলা হিসেবে বিএনপি শাসনামলে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন জাকির আহমেদ। সেসময় বিএনপি জামাত চারদলীয় জোটের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার কার্যকর ভূমিকা ছিল। ফলে দলীয় আমলা হিসেবে কুখ্যাতি ছিল তার। পরবর্তীতে সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রভাব খাটিয়ে আস্তে আস্তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে ২০১০ সালে উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন সাউথইস্ট ব্যাংকে। তখন থেকে আজ অবধি দীর্ঘ ১১ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ব্যাংকের উপদেষ্টা পদে নিয়োজিত রয়েছেন। ব্যাংকে শুধু উপদেষ্টা হিসাবে থাকলে কোনো সমস্যা ছিল না, তিনি এ সময়ের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালকের পদ দখল করে আছেন। মূলত সাউথইস্ট ব্যাংকের উপদেষ্টা পদের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদ দখল করেন। যেটা স্পষ্টতই বাংলাদেশ ব্যাংক আইনের নিয়ম পরিপন্থী। এক অদৃশ্য খুটির জোরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নাকের ডগায় বসে এতো এতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে জাকির আহমেদ খান দিনের পর দিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, তা যেন দেখার কেউ নেই।

সূত্র আরও জানায়, জাকির আহমেদ ২০১০ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে টানা দশ বার সাউথইস্ট ব্যাংকের উপদেষ্টা পদে নবায়ন পান। কেবল সাউথ ইস্ট ব্যাংকেই ১১ বছর ধরে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপি জামাত ঘেঁষা সাবেক এই আমলা। আর এই পদকে ব্যবহার করে দিনের পর দিন বেরকারি সেক্টরে করের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানগুলোয় পরিচালক পদে নিয়োগ পান। যা স্পষ্টতই ব্যাংকের স্বার্থ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম বিরুদ্ধ। এরমধ্যে রয়েছে- সাউথইস্ট ব্যাংক গ্রিন ফাউন্ডেশন এর সদস্য, সাউথইস্ট ব্যাংক গ্রীন স্কুলের পরিচালক, সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড এর সর্বেসর্বা, বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এ স্বতন্ত্র পরিচালক, বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড এর পরিচালক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সু্যুরেন্স এর স্বতন্ত্র পরিচালক, ক্রাউন সিমেন্ট এর স্বতন্ত্র পরিচালক, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর সদস্যসহ আরও কিছু পদ। নিজের প্রভাব খাটিয়ে রীতিমতো পদ বিলাস চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক এই আমলা। সবগুলো পদ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে দখল-বাণিজ্য জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অপর একটি সূত্র জানায়, গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রী বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম চালানোর জন্য সাউথইস্ট ব্যাংক গ্রিন ফাউন্ডেশন শুরু করে। যদিও এর মূল কাজ বৃত্তি দেয়া কিন্তু সেই কাজের নিয়ন্ত্রণ জাকির আহমেদ খানের হাতে। তিনি ফাউন্ডেশন এর পরিচালক পদে রয়েছেন। যেহেতু তিনি ব্যাংকের উপদেষ্টা সেহেতু তার এই জনহিতকর ফাউন্ডেশন এ তার পরিচালক পদে থাকার কথা নয়। এই পদে থেকে তিনি মেধা ও অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে ভিত্তিতে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা না করে নিজের আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত ছেলে-মেয়েদের বৃত্তি প্রদান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার নিজ ইচ্ছা-অনিচ্ছাতেই পরিচালিত হচ্ছে ফাউন্ডেশন। কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তাকে হারাতে হয় চাকুরি।

জানা যায়, সাউথইস্ট ব্যাংক গ্রীন স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৩ সালে। তখন থেকেই জাকির আহমেদ খান স্কুলের কার্যক্রমের সাথে জড়িত। স্কুলের সকল নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয়ে তিনি নাক গলিয়ে স্কুলটিকে নাম সর্বস্ব করে রেখেছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যেই স্কুলের বিভিন্ন তহবিল থেকে কয়েক কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তহবিল তছরুপের দায়ে প্রিন্সিপালের চাকুরি গেলেও বহাল তবিয়তে আছেন জাকির আহমেদ। অথচ তিনিই অর্থ কেলঙ্কারির মূল হোতা। সম্প্রতি স্কুলে নারী বিষয়ক কেলেঙ্কারির অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো তদন্ত পর্যন্তও হয়নি।

এদিকে সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটিতে অলিখিত সর্বেসর্বা জাকির আহমেদ খান। এই প্রতিষ্ঠানের খাতা-কলমে কোথাও জাকির আহমেদ নেই, কিন্তু সব কিছু তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন তিনি। সব ধরণের নিয়োগ, প্রমোশন, ইনক্রিমেন্ট, বোনাস সব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত একক ভাবে নেন তিনি। সিন্ডিকেট করে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকা। সাউথ ইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস এর আজকে যে ভঙ্গুর অবস্থা তার পিছনেও জাকির আহমেদ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

একটি সূত্র জানায়, বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড সাউথইস্ট ব্যাংকের একটি পরিচালক প্রতিষ্ঠান। অনেকের প্রশ্ন জাকির আহমেদ সাউথইস্ট ব্যাংকের উপদেষ্টা হয়েও কিভাবে বে লিজিংয়ের স্বতন্ত্র পরিচালক হন? স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে এক ব্যক্তি কিভাবে থাকেন? ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৩ এর ‘ক’ ধারা অনুযায়ী “এক ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক ব্যাংক কোম্পানি বা একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা একাধিক বীমা কোম্পানির পরিচালক থাকিবেন না।” কিন্তু তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অমান্য করে এসব প্রতিষ্ঠানে যুক্ত রয়েছেন। যেহেতু জাকির আহমেদ সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উপদেষ্টা আবার বে লিজিংয়েরও স্বতন্ত্র পরিচালক তাই এই দুটি প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় বিষয়গুলো জাকির আহমেদের কারণে গোপনীয় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি তার প্রভাব খাটিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের কয়েকশো কোটি টাকা অনেক কম সুদে বে লিজিংএ ডিপোজিট রেখেছেন যা ব্যাংকের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাউথইস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক গ্রীন স্কুল, বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ছাড়াও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, স্বতন্ত্র পরিচালকসহ অনেক পদ কুক্ষিগত করে রেখেছেন জাকির আহমেদ খান। যা দেশের ব্যাংক আইনের পরিপন্থি।

অনেকে অভিযোগ করছেন, তার সমস্ত অপকর্মের মূল আখড়া সাউথইস্ট ব্যাংক। মূলত এই পরিচয়কে কাজে লাগিয়েই বছরের পর বছর এমন দুর্নীতি ও অবৈধ ক্ষমতার চর্চা করে যাচ্ছেন জাকির আহমেদ খান। একই সময়ের মধ্যে ব্যাংকের ৪ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিবর্তন হলেও উপদেষ্টা হিসেবে তিনি বহাল তবিয়তেই আছেন। শুধু তাই নয়, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও তিনি খবরদারি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর বাংলাদেশ ব্যাংক উপদেষ্টার এ সকল কাজের জন্য অডিট আপত্তি দিয়েছিলো। কিন্তু এরপরও বছরে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা বেতন, বোনাস, ব্যক্তিগত কর্মচারী, সার্বক্ষণিক গাড়ি, মোবাইল খরচ আর এর উপর তার বিভিন্ন ভ্রমণ খরচ নিয়েই যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এতো বছরে উপদেষ্টা হিসেবে ব্যাংক তার কাছ থেকে কিছুই পায়নি বলে অভিযোগ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তার। তারা বলছেন, তিনি না থাকলে ব্যাংক বছরে কমপক্ষে আরও দুই কোটি টাকা বেশি মুনাফা অর্জন করতো। আর এতে করে ব্যাংকের সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা উপকৃত হতো। এতো অনিয়ম নিয়ে এতোগুলো বছর ধরে রহস্যজনকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা অফিশিয়ালি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর্থিক অনিয়ম ও পদ কুক্ষিগত করে রাখার বিষয়ে জাকির আহমেদ খানের সঙ্গে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এযাবৎকালের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভয়াবহ স্ক্যামগুলোর চেয়ে এটিও কোনো অংশেই কম নয়। এক ব্যাক্তি উদ্যোক্তা না হয়েও কিভাবে এতোগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের পদ কুক্ষিগত করে রেখেছেন তা তদন্তসাপেক্ষ একটি বিষয়। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাচাঁতে পদবিলাসী জাকির আহমেদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একজন মানবাধিকারকর্মী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন পরিচালক জানান, এই অভিযোগটি এর মধ্যেই আমলে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরেই হয়তো তদন্ত শুরু হবে। “ব্যাংকিং খাতকে এ ধরনের দুর্নীতিপরায়ণ পদবিলাসী আমলার হাত থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের যথোপযুক্ত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

সুবর্ণচরে বন্যার্তদের মাঝে সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি

Published

on

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ চলমান দেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া। ২৫ আগস্ট রবিবার সুবর্ণচরের স্খানীয় সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন সুমনসহ ৪ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদিন ব্যাপী এ ত্রাণ সামগ্রীর মূল পৃষ্টপোষক হিসেবে রয়েছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত এবং সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার।

সহায়ক ফাউন্ডেশন, কুষ্টিয়া দীর্ঘ বছর ধরেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বেকারত্ব দূরীকরণ, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার ব্যায়ভার গ্রহণ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ নানামুখি সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিগতায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সুবর্ণচরের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন সংবাদ প্রকাশের পর সহায়ক ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদে সূত্রধরে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক তরিক খন্দকারের সার্বিক তত্বাবধানে চলমান বন্যায় গৃহবন্ধী এবং কর্মহীন হয়ে পড়া সুবর্ণচরের বেশ কয়েকটি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সুবর্ণচর উপজেলার জনসাধারণ।

সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত বলেন, মানু্ষ মানুষের জন্য, এমন দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে থাকাটা প্রতিটি বিত্তশালী মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্ব, তিনি দেশের প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, অর্থশালী মানু্ষদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় সব সময় সহায়ক ফাউন্ডেশন পাশে থাকার আশ্বাস দেন জিয়াউল হক তরিক খন্দকার। তিনি বলেন, যে কোন জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Continue Reading

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading

Highlights

সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি খোরশেদ-সম্পাদক মাহাবুর

Published

on

“আঁধারের সাথে দ্বন্দ্ব যাদের, আমরা তাদের সাথে” এই শ্লোগানকে ধারণ করে নোয়াখালীতে যাত্রা শুরু করেছে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি (সাকস)। বৃহস্পতিবার(২০ জুন) সকালে চড়ুইভাতি পার্টি সেন্টারের হলরুমে সংগঠনটির সতীর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।

২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাবুব আলমকে এক বছর মেয়াদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরবর্তীতে সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন। সতীর্থ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কল্যানে সংগঠনটি কিভাবে ভূমিকা রাখবে সেবিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

এসময় সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার বারি পিন্টু বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতায় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহ জাহান আলম তার বক্তব্যে বলেন, যে কোন সংগঠনের গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সাংবাদিক কল্যান সমিতির দরজা খোলা। প্রকৃত সাংবাদিকদের যে কোন সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এই সংগঠন।

সমিতির সহ-সভাপতি জাভেদ আলম কিরন সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সংগঠকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহব্বান জানান। এসময় সকল সদস্য সাংবাদিকদের কল্যানে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন।

সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর আলম বলেন, সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে দিনে-রাতে যেকোন সময় সমস্যায় পড়লে তাদের পাশে থাকবে সাংবাদিকদের কল্যান সমিতি।

সভাপতি খোরশেদ আলম বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক কল্যান সমিতির সদস্যদের বাইরেও কোন গণমাধ্যমকর্মী যদি কোন সমস্যায় পড়েন হামলা-মামলার শিকার হয় তাদের পাশেও থাকবে সাংবাদিক কল্যান সমিতি।

সতীর্থ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক বাংলা ও যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, দৈনিক জনতার জমিন পত্রিকার সম্পাদক জাবেদ আলম কিরন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি শাহজাহান আলম, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাবুর আলম, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ, দৈনিক সময়ের আলোর বিনোদন বিট প্রতিনিধি আনোয়ার বারি পিন্টু, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি গোলজার হানিফ, দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাজ্জাদুল ইসলাম।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চলমান নোয়াখালীর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিদিন আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি অনুপ সিংহ, দৈনিক ভোরের সময়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন, সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন রাসেল, দৈনিক দেশবার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি রবিউল হাসান, দৈনিক ভোরের চেতনার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সোহাগ, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি শাহ পরাণ, দৈনিক বর্তমানের জেলা ব্যুরো ইয়াছিন শরীফ অনিক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ, দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাহবুবুল হাসান, দৈনিক আলোকিত সকালের প্রতিনিধি মৃনাল কান্তি, দৈনিক বর্তমান কথার প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম আরিফ, দৈনিক দেশের কন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ ইয়াসিন, দৈনিক গণতদন্তের প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ সবুজ, দৈনিক স্বাধীন ভোরের প্রতিনিধি সাজিদ মাহমুদ প্রমুখ।

Continue Reading