Connect with us

বিচিত্র সংবাদ

ট্রাফিক জ্যাম টানা ১২ দিনের!

Published

on

ট্রাফিক জ্যাম টানা ১২ দিনের!

অনেকে ট্রাফিক জ্যামের শহর বলেও চেনেন ঢাকাকে।। এ জ্যাম দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে প্রতিনিয়ত নেয়া হচ্ছে নানা কার্যক্রম। তবু যানজটে ঢাকাবাসীর জানে জট লেগে যায়। কিন্তু ইতিহাসে কিছু ট্রাফিক জ্যাম ঘটেছে, যার কাছে ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম নেহাত শিশু।

চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব ট্রাফিক জ্যামের কথা-

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: ১৯৬৯ সালের আগস্ট মাসে আমেরিকার নিউইয়র্কের অধিবাসীরা পড়েছিলেন এ ট্রাফিক জ্যামের কবলে। এটি ছিল ৩২ কিমি যানজট। প্রায় টানা তিন দিন এভাবেই ভোগান্তিতে পড়েছিলেন তারা।

এর কারণ নিউইয়র্কের রাস্তায় তখন ৫০ হাজারের বদলে ৫ লাখ মানুষ নেমে পড়েছিলেন। চলছিল উডস্টক ফেস্টিভ্যাল। সেই সময় মিউজিক ফেস্টিভ্যালের জন্য শিল্পীদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল অনুষ্ঠানে।

বার্লিন, জার্মানী: ১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে বার্লিন দেয়াল ভাঙার দিনের কথা। এক হল পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি। যেখানে ৫ লাখ গাড়ি যেতে পারত সেখানে। দুই জার্মানির থেকে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ গাড়ি বেরিয়ে পড়েছিল রাস্তায়।

প্রত্যেকেই বন্ধু ও প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। টানা ৪৮ কিমি ধরে ৪৮ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল এ যানজট।

প্যারিস, ফ্রান্স: ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবহাওয়ার কারণে প্রায় ১৭৫ কিমি রাস্তাজুড়ে প্যারিসে এই ভয়াবহ যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। একাধিক মানুষ ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তখন।

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: আবারও আসি নিউইয়র্কের কথায়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইনটাওয়ার আক্রমণ ঘটনার পর নিউইয়র্ক শহরের রাস্তায় টানা বেশ কয়েক দিন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

কারণ শহরে বেশ কয়েকটি সেতু ও সুড়ঙ্গ পথে যাতাযাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ইমার্জেন্সি গাড়ির ক্ষেত্রে একমাত্র নিষেধাজ্ঞা ছিল না।

ব্রেবেস, ইন্দোনেশিয়া: ২০১৬ সালের জুলাই মাসের কথা। টানা তিন দিনের এ যানজটে পড়েছিল ইন্দোনেশিয়ার ব্রেবেস। কেননা ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন লাখ লাখ মানুষ। ২০ কিমিজুড়ে লেগে থাকা জ্যামে হৃদরোগে আক্রাম্ত হয়ে মারা যান ১২ জন।

সাওপাওলো, ব্রাজিল: ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা এ যানজট বলে খ্যাত। যদিও দীর্ঘস্থায়ী নয়। ব্রাজিলের সাওপাওলোতে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রায় ৩০৯ কিমিজুড়ে বিস্তৃত হয়েছিল এ যানজট। ছিল প্রায় ৪৮ ঘণ্টা। ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন বাসিন্দারা। তাই এ যানজট।

হিউস্টন, যুক্তরাষ্ট্র: ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকার হিউস্টনে প্রায় ১৬১ কিমিজুড়ে তৈরি হয়েছিল এ যানজট। হারিকেন রিটার আতঙ্কে ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে যাচ্ছিলেন প্রায় আড়াই কোটি বাসিন্দা।

টোকিও, জাপান: ১৯৯০ সালের আগস্ট মাসে টাইফুনের আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছিলেন টোকিওবাসী। অন্যদিকে ছুটি থাকায় বাড়ি ফিরছিলেন আরও অনেকেই। এ কারণেই প্রায় ১৩৫ কিমি দীর্ঘ একটি যানজট তৈরি হয়েছিল। আটকে ছিল ১৫ হাজার গাড়ি।

বেইজিং, চীন: চীনের বেজিং-হংকং-ম্যাকাও এক্সপ্রেসওয়েতে হাজারেরও বেশি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১০ ঘণ্টা। ২০১৫ সালের অক্টোবরে একটি নতুন চেক পয়েন্ট তৈরির কারণেই এ যানজট হয়। কারণ এ চেক পয়েন্টটি ৫০টি রাস্তাকে ২০টি রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করেছে।

মস্কো, রাশিয়া: রাশিয়ার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ পর্যন্ত প্রায় ২০১ কিমি রাস্তাজুড়ে ছিল এ যানজট। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তুষারঝড়ের কারণে তৈরি হয়েছিল এমন পরিস্থিতি।

শিকাগো, যুক্তরাষ্ট্র: ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তুষারঝড়ের ফলে প্রায় ৫১ সেন্টিমিটার পুরু বরফের নিচে চলে গিয়েছিল শিকাগোর রাস্তা। ১২ ঘণ্টার ঝড়ে যানজট শুধু নয়, গাড়িগুলোও রাস্তায় বরফে ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।

বেইজিং, চীন: এবার আসি ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যানজটের ঘটনায়। ২০১০ সালের আগস্ট মাসের ঘটনা। চীনের ব্যস্ততম শহর ও রাজধানী বেইজিং হতে লেগেছিল এ যানজট। বেইজিং-তিব্বত এক্সপ্রেসওয়েতে টানা ১২ দিন ধরে স্থায়ী ছিল এ যানজট।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আন্তর্জাতিক

মানুষের ব্রেনের ভেতরে জীবন্ত কৃমি!

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার ৬৪ বছর বয়সী এক নারীর ব্রেনের ভেতর থেকে জীবন্ত পরজীবী একটি কৃমি বের করা হয়েছে। বিশ্ব এবং মানব ইতিহাসে যা এমন প্রথম ঘটনা।

ক্যানবেরায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ) এবং ক্যানবেরা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জীবন্ত ৮ সেন্টিমিটার (৩ দশমিক ১৫ ইঞ্চি) কৃমিটি ওই নারীর ব্রেন থেকে অস্ত্রেপচারের মাধ্যমে বের করেন।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ওফিডাসকারিস রবার্টিস রাউন্ডওয়ার্ম জাতের কৃমিটি বের করতে চিকিৎসকদের অস্ত্রোপচার করতে হয়। যেটি বের করার পর নড়াচড়া করছিল। তবে অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকরা কেউই জানতেন না ওই নারীর ব্রেনের ভেতর এত বড় জীবন্ত কৃমি বসবাস করছে।

এএনইউ ও ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয়া সেনানায়ক বলেছেন, ‘বিশ্বে মানব ইতিহাসে ওফিডাসকারিসের প্রথম ঘটনা এটি। আমরা যতদূর জানি, পৃথিবীর ইতিহাসে স্তন্যপায়ী প্রাণী, মানুষ এবং অন্যকিছুর ব্রেনে কৃমি পাওয়ার প্রথম ঘটনা এটি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘সাধারণত এই কৃমির লার্ভা ছোট স্থন্যপায়ী ও শাবকবাহী জীবে পাওয়া যায়। এসব প্রাণী আবার খেয়ে থাকে অজগর সাপ। এরমাধ্যমে এই কৃমি এই সাপের মধ্যে পাওয়া যায়।’

চিকিৎসকরা অবিশ্বাস্য এ ঘটনার বিষয়টি প্রকাশ করেছেন ‘উদীয়মান সংক্রামক রোগ’ জার্নালে। সেখানে বলা হয়েছে ওই নারী খুব সম্ভবত এতে সংক্রমিত হয়েছিলেন ওয়ারিয়াল শাক (ঘাস) থেকে। এটি অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় ঘাসের একটি প্রজাতি। এই ঘাস তিনি বাড়ির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন এবং সেগুলো রান্না করে খেয়েছিলেন।

এই ঘাসে আবার অজগর সাপ বাস করে থাকে। খুব সম্ভবত ওই নারী যেখান থেকে ঘাস নিয়েছিলেন সেখানে অজগর সাপ তার মুখ থেকে ওই পরজীবী কৃমির ডিম বের করেছিল।

বর্তমানে ৬৪ বছর বয়সী ওই নারী প্রথম অসুস্থ হন ২০২১ সালে। ওই শাক বা ঘাস খাওয়ার তিন সপ্তাহ পর তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে।

প্রাথমিক অবস্থায় পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। এর আগে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগেন তিনি। খুব সম্ভবত ওই কৃমির লার্ভা তার শরীরের অন্যান্য অঙ্গে যাওয়ার কারণে তিনি এমন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যদিও তার ফুসফুসে বায়োপসি করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পরজীবী ওই সময় পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের দিকে ওই নারী স্মৃতিভ্রম এবং বিষন্নতা রোগে ভুগতে শুরু করেন। তখন তার ব্রেনে এমআরআই করা হয়। এতে দেখা যায় তার ব্রেনে একটি ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তখন চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন তার ব্রেনে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। কিন্তু স্বপ্নেও তারা ভাবেননি অস্ত্রেপচারের সময় ওই নারীর ব্রেনের ভেতর জীবন্ত পরজীবী পাবেন তারা।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

লকডাউনে স্বামীর সঙ্গে পর্ন ভিডিও বানিয়ে মাসিক আয় ২৩ লাখ টাকা

Published

on

By

নিউজ ডেস্ক:
রেস্তোরাঁয় চাকরি করে কোনোমতে সংসার চালাতেন তিনি। তার স্বামীও ছোটখাটো একটা চাকরি করতেন। কিন্তু লকডাউনে দুজ‌নকেই কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন স্বামীর সঙ্গে পর্ন ভিডিও বানিয়ে আয় করছেন কাড়ি কাড়ি টাকা।

রাইলে ডিজেল নামের ওই নারী প্রতি মাসে ২০ হাজার পাউন্ড আয় করছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৩ লাখ টাকারও বেশি। অথচ আগে তার আয় ছিল মাত্র ‌তিন লাখ টাকা।

প্রাপ্তবয়স্কদের ও‌য়েবসাইটে আশাতীত সাফল্য রাইলে এবং তার স্বামীর আয় কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত এক বছরে তারা রোজগার করছেন ৩ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ৩ কোটি টাকারও বেশি।

স্বামীর সঙ্গে পর্ন বানানোর এই কাজ তিনি যে উপভোগ করছেন বলে জানান রাইলে। তিনি বলেন, অনেকে বলছে আমি দেহ ব্যবসা করছি। কিন্তু আমি শুধু মাত্র ভিডিও বিক্রি করছি। অন্য পুরুষের সঙ্গে কখনও শুইনি। কেমন করে দেহ বিক্রি করলাম?

রাই‌লের বিরুদ্ধে ওঠা ‘দেহ বিক্রি’র অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তার স্বামীও। তারা জানিয়েছেন, তারা ছোটবেলার বন্ধু। এই ভিডিও তৈরির মাধ্যমে তারা ভা‌লোবাসা প্রকাশ্যে আনছেন।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

চোরাই গাড়ি চালানো হ‌চ্ছে রেললাইনে!

Published

on

By

নিউজ ডেস্ক:
মোবাইল ফোন হোক কিংবা কম্পিউটারে, গেমস খেলার হাতেখড়ি আমাদের সবার ছোটবেলাতে হয়েছিল। চাতক পাখির মতো চোখ আটকে থাকতো মোবাইল ও কম্পিউটারের স্ক্রিনে। ছোট হোক কিংবা বড় যে কেউ ভিডিও গেম খেলতে পছন্দ করে।

আর এই ভিডিও গেমে রেসিং কার খুব জনপ্রিয় খেলা। সেখানে গাড়ি নিয়ে নানা বিপদজনক অভিযান দেখানো হয়। তবে বাস্তব জীবনে তো আর গাড়ি নিয়ে সে রকম অভিযান চালানো সম্ভব নয়। তবে সম্প্রতি এক চোর চুরি করা গাড়ি নিয়ে রেল ক্রসিং ভেঙে যেভাবে রেললাইনের ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালাচ্ছিলেন তা দেখে সিনেমার দৃশ্য কিংবা কম্পিউটার গেম ভেবে ভুল করতে পারেন অনেকে।

যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই পুলিশ কর্মকর্তা এক ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। ওই ব্যক্তি গাড়ি থেকে না নেমে উল্টো গাড়ি ঘুরিয়ে নেন। চালক পরে একটি রেল ক্রসিং ভেঙে রাস্তা থেকে রেললাইনে নেমে গাড়ি চালাতে থাকেন। অবশ্য কিছুদূর যাওয়ার পর গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে পালিয়ে যান তিনি।

পুলিশ ওই গাড়িচোরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ওই ঘটনার ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই জনপ্রিয় কম্পিউটার গেম গ্রান্ড থেফট অটোর (জিটিএ) কথা মনে করে ওই ভিডিও জিটিএ হ্যাশট্যাগে শেয়ার করছেন।

Continue Reading