Connect with us

লাইফস্টাইল

দাঁত শিরশিরে করণীয়

Published

on

দাঁত শিরশিরে করণীয়

দাঁত শিরশিরে করণীয়

আমাদের কমবেশি অনেকের মধ্যেই দাঁত শিরশির নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। এতে খাবার গ্রহণ বা তরলজাতীয় কোনো কিছু খাওয়া, ব্রাশ করা, এমনকি শ্বাস নেওয়ার সময় অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঠান্ডা কোনো খাবার খেলে দাঁত শিরশির করে, যদি দাঁতে সমস্যা থাকে। তবে টক বা মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণের সময়ও একই ধরনের অনুভূতি হতে পারে। কারও দাঁতের সাদা অংশ এনামেল ক্ষয় হয়ে ডেনটিন নামের অংশটি যখন বের হয়ে যায়, তখনই দাঁতে ঠান্ডা কিছু লাগলে শিরশির করে।

 

কারণ
দাঁতের এনামেল ক্ষয়-ভুলভাবে দাঁত ব্রাশ করলে বা শক্ত টুথ ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়। তখন এনামেলের পরের স্তর ডেনটিন বেরিয়ে আসে। এর ফলে দাঁতে সেনসিটিভিটি হয়। অনেক সময় একটি দাঁতের সঙ্গে আরেকটি দাঁত শক্তভাবে লেগে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির ক্ষয় ছাড়াও এর বিভিন্ন ধরনের অসুখের কারণেও সেনসিটিভিটি হয়। কিছু খাবার যেমন কোল্ড ড্রিংকস, ঠান্ডা খাবার, অ্যালকোহল ইত্যাদি, বিভিন্ন ধরনের ফল, টমেটো, চা ইত্যাদি খেলেও এই সমস্যা হতে পারে।
বয়সের কারণেও অনেক সময় দাঁতের শিরশির অনুভব হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছরকে সেনসিটিভ বয়স হিসেবে ধরা হয়।
দাঁতে গর্তের সৃষ্টি, অনেক দিনের পুরোনো ফিলিং, যেকোনো দুর্ঘটনায় দাঁত ভেঙে গেলে, দীর্ঘ সময় ধরে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার, অনেক সময় শক্ত খাবার খাওয়ার সময় এ রকম হতে পারে।
দাঁতের বিভিন্ন কাজের সময় এ রকম হতে পারে। যেমন রুট ক্যানেল, ক্রাউন প্লেসমেন্ট এবং দাঁতের রেসটোরেশন ইত্যাদি।
মাড়ি ক্ষয় হয়ে দাঁতের রুট বা গোড়া বের হয়ে গেলে, দাঁত আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় বা সঠিক সময়ে সঠিক কারণ নির্ধারণ করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।

দাঁতের শিরশির বন্ধে সঠিক যত্ন
* নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ফাঁকে কোনো জীবাণু তৈরি হতে পারবে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাশতা করার পরে দাঁত ব্রাশ করুন নিয়মিত।
* দাঁত ব্রাশ করার জন্য সেনসিটিভিটি রোধ করে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। এমনটাই মত প্রায় ৯ শতাংশ ডেন্টিস্টের। তাঁরা মনে করেন, এমন টুথপেস্ট আপনার দাঁত শিরশিরের যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেবে অনেকটা।
* ব্রাশ করুন আস্তে আস্তে। দাঁতের ওপর চাপ দেবেন না। জোরে ব্রাশ করাটা দাঁতের শিরশির ভাব আরও বাড়িয়ে দেবে। হালকা কোমল ব্রাশ ব্যবহার করুন। এতে সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে অনেকটা।
* যেকোনো অ্যাসিডিক খাবার খাওয়ার সময়ও একটু সচেতন হোন। যেমন ফলের জুস, কোমল পানীয়-এসব দাঁতের এনামেল নষ্ট করে ফেলে। তাই এসব পান করার পরই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলুন।
* আপনার যদি নিয়মিত দাঁতে দাঁত ঘষা বা দাঁত চেপে রাখার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটা ত্যাগ করাই ভালো।
* অনেকেই দাঁতের শিরশির করা অংশটি ব্রাশ করে না। কিন্তু এতে সমস্যা বেড়ে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

ডা. মো. আমিরুল ইসলাম
চিকিৎসক, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল

 

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লাইফস্টাইল

শরীর ও মন ভালো রাখার ১০ উপায়

Published

on

By

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
মনের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাধারণত আমরা শরীরের অসুখ টের পেলেও নিজের কিংবা অন্যের মনের অসুখ টের পাই না। এ কারণে অনেকেই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত, নেশাগ্রস্ত কিংবা আত্মহননকারী হয়ে ওঠেন। যা কারও কাম্য নয়।

এজন্য ফিট ও সুস্থ থাকতে অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেরই দু’দণ্ড বসে কাটানোর ফুরসত নেই। এ কারণেই মানুষের মধ্যে চাপ ও উদ্বেগ বাড়ছে। দীর্ঘদিন এভাবে থাকতে থাকতে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে।

সম্প্রতি বৃটিশ জার্নাল অব সাইকেয়েট্রিতে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি পেপার অন মেন্টাল হেলথ-বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৮.৭ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত।
প্রতিবেদন অনুসারে, মহামারি করোনার কারণে মানসিক রোগের ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই রোববার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য’।

নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। তাই মানসিক রোগ যেন বাসা না বাঁধে সেদিকে সময় থাকতে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ উপায় মেনে চলুন-

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে : ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিকগুলো আমাদের মেজাজ ও আবেগ পরিচালনা করে। যদি আমরা পর্যাপ্ত না ঘুমায়, তাহলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া স্বাভাবিক। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।

পুষ্টিকর খাবার : পুষ্টিকর খাবার শুধু শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মনের জন্যও উপকারী। কিছু খনিজ যেমন- আয়রন ও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি মেজাজ পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তাই সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। আপনি যদি খিটখিটে মেজাজ, হতাশা বা উদ্বিগ্নতায় ভোগেন তাহলে কফি খাওয়া কমিয়ে আনুন।

অ্যালকোহল, ধূমপান ও মাদক পরিহার : অনেকেই হতাশ হয়ে ধূমপান ও মাদকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে জানেন কি, এগুলো হতাশা কাটায় না বরং শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত মদ্যপানে শরীরে থায়ামিনের ঘাটতি হতে পারে। থায়ামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতি দেখা দিলে স্মৃতি বিভ্রাট, মনোযোগের অভাব, বিভ্রান্তি ও চোখের সমস্যা হতে পারে। আবার যদি আপনি ধূমপান করেন, এতে থাকা নিকোটিন শরীর ও মস্তিষ্ক উভয়েরই ক্ষতি করে। পরবর্তীতে ধূমপান বন্ধ করলে আপনি আরও বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতে পারেন। তাই মাদকমুক্ত জীবন গড়ুন।

সূর্যের আলো গায়ে মাখুন : সূর্যালোক ভিটামিন ডি এর একটি বড় উৎস। ভিটামিন ডি শরীর ও মস্তিষ্কের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে। ফলে মেজাজ আরও উন্নত হয়। কারণ অ্যান্ডোরফিন ও সেরোটোনিন এর উৎপাদন বেড়ে যায়। তবে রোদে গেলে ত্বক ও চোখকে নিরাপদ রাখুন। প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা গায়ে সূর্যের আলো মাখুন। শীতের সময় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ তখন সূর্যের দেখা কম পাওয়া যায়। এটি সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি) নামে পরিচিত। তাই পর্যাপ্ত সূর্যের আলো গায়ে মাখুন, এতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন : সবার জীবনেই কাজের চাপ আছে। তাই বলে এ নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। এ সমস্যা সমাধানে আপনাকে জানতে হবে কীভাবে আপনি চাপ সামলাবেন। যদি না পারেন তাহলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।এজন্য দৈনন্দিন জীবনের কোনো না কোনো সমস্যার তালিকা তৈরি করুন। এরপর তা সমাধানের উপায় খুঁজুন। অযথা অলীক কল্পনায় ডুবে থাকবেন না। যখন দেখবেন আপনার ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে, তার অর্থ হলো আপনি বেশি দুশ্চিন্তা করছেন!

শরীরচর্চা আবশ্যক : মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ যত বেশি সক্রিয় থাকবেন, মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোও বেড়ে যায়। যা মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে। অন্যদিকে শরীরচর্চার অভাবে মেজাজ খারাপ হতে পারে। পাশাপাশি উদ্বেগ, চাপ, ক্লান্তি ও অলসতা বোধ করতে পারেন। তাই শরীর ও মন দু’টোই ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ম্যারাথন দৌড় বা ফুটবল খেলার প্রয়োজন নেই, আপনি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও কায়িক পরিশ্রম করেও সুস্থ থাকতে পারবেন।

যা ভালো লাগে, তা-ই করুন : আপনার যা ভালো লাগবে বা করতে ইচ্ছে করবে তা-ই করুন। আপনার যদি ঘুরতে যেতে, শপিং করতে কিংবা ছবি আঁকতে ভালো লাগে তাহলে তা-ই করুন। আপনি যা উপভোগ করেন সেই কাজগুলো যখন করবেন তখন মনও ভালো থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা অন্যের বাধ্যগত হয়ে নিজের খুশিকে দমিয়ে রাখেন, তাদের মধ্যে খিটখিটে মেজাজ ও অসুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। তাই নিজের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিন।

মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন : অন্যদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। যখনই সুযোগ পাবেন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্যের সঙ্গে মাত্র ১০ মিনিট কথা বলা স্মৃতিশক্তি ও পরীক্ষার স্কোর উন্নত করতে পারে! তাই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান ও মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন।

অন্যের জন্য কিছু করুন : কাউকে সাহায্য করলে নিজের মধ্যেও অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে। তাই অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। কোনো দরিদ্রকে খাবার বা পোশাক কিনে দিন কিংবা সামান্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। দেখবেন আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। তখন নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে হতাশ না হয়ে বরং বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। নিজেকে অসহায় ভাবার আগে না খেয়ে থাকা মুখগুলোর ছবি ভাসবে মনে। ফলে অন্যের জন্য কিছু করার স্পৃহা জন্মাবে। এর মাধ্যমে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পাবেন।

সাহায্য নিন : আপনি যদি মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন তাহলে অন্যের সাহায্য নিন। মুখ বুজে থাকবেন না। নিজের অসুবিধার কথা সবার সঙ্গে শেয়ার করুন। কারণ অত্যধিক মানসিক চাপে আপনি বিকারগ্রস্তও হয়ে পড়তে পারেন। অনেকেই মনে করেন, মন ভালো নেই এ বিষয়ে কাউকে জানালে সে পাগল বলবে! এ ধারণা থেকে সরে আসুন। মানুষের শরীর যেমন সবদিন ভালো যায় না, ঠিক তেমনই মনও সব সময় ভালো থাকে না। তাই মানসিকভাবে চাপ অনুভব করলে কাউন্সিলিং করুন বা মনোবিদের সাহায্য নিন। তার আগে পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করুন।

Continue Reading

লাইফস্টাইল

অকালে বুড়িয়ে যাচ্ছেন কেন?

Published

on

By

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রতিটি ঋতুতে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন হয়, তার প্রভাব প্রকৃতির ওপর যেমন পরে তেমনি মানব দেহের শরীরে, ত্বকেও চিহ্ন এঁকে দেয়। ত্বকের অতিরিক্ত দূষণ বেশ কয়েক বছর পর বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অকালে বার্ধক্যকে দূরে রাখতে কিংবা বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে কী করবেন জেনে নিন।

রোদ থেকে সাবধান : ত্বকের বয়সের ছাপ যদি দ্রুত কেউ ফেলতে পারে, সেটা হলো রোদ। তাই রোদে বের হলে সঙ্গে রাখুন ছাতা, টুপি ও সানগ্লাস। প্রয়োজনে পরুন গা-ঢাকা জামা। আর অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন মাখতে ভুলবেন না। এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন মাখুন। রোদ থাকলে তো বটেই, এমনকি মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন মাখতে কখনোই ভুলবেন না।

পুষ্টিকর খাবার খাবেন : প্রতিদিনের ডায়েটে এমন খাবার রাখুন, যাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি থাকে। কারণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বককে নমনীয় করে ও অকাল বার্ধক্যের সমস্যাকে সহজেই প্রতিহত করে। প্লেটে রাখুন সবুজ-লাল ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, গাজর ও সবুজ শাকসবজি। আর প্রতিদিন অন্তত বেদানা, ব্লুবেরি, অ্যাভোকাডো জাতীয় যে কোনো ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। দিনের মধ্যে অন্তত একবার গ্রিন টি পান করুন।

ত্বককে আর্দ্র রাখুন : একটা বয়সের পর নিয়ম মেনে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা খুব দরকার। কারণ প্রতিদিন মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক অনেক বেশি আর্দ্র ও সতেজ থাকে। এতে বলিরেখার সমস্যাও কমে। তবে ময়শ্চরাইজার কেনার আগে দেখে নিন তাতে যেনো ভিটামিন সি বা ভিটামিন এ থাকে। যদি রাতে কেউ ঠিকমতো না ঘুমায়, তাহলে মুখে বয়সের ছাপ পরে যায় কিংবা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধ্য। কারণ ঘুমনোর সময় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, যা ত্বককে বলিরেখার হাত থেকে বাঁচায়। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন, যদি ব্যস্ততাও থাকে। কম ঘুমোলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়ে, তা থেকে অচিরেই পড়তে পারে বার্ধক্যের ছাপ।

Continue Reading

লাইফস্টাইল

জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হোক সাজানো গোছানো

Published

on

By

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
নবজীবনের প্রতিটি সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী থাকুক আপনাদের চার দেওয়ালের ঠিকানা। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হোক সাজানো গোছানো অন্দর দিয়ে। পুরোনো বা নতুন বাড়ি যেটাই হোক না কেন, অন্দরে ছড়িয়ে থাকুক আপনাদের সম্পর্কের উষ্ণতা। স্বামী-স্ত্রীর শুধু দুজনের সংসার হোক বা শ্বশুরবাড়িতে সকলের মিলিত বসবাস, অন্দর সাজিয়ে তুলুন নিজেদের পছন্দ, রুচি এবং নান্দনিকতাবোধ কাজে লাগিয়ে। আধুনিকতার পরশ থাকুক সে বাড়িতে, নবরচিত দাম্পত্য আরও মধুর হয়ে উঠুক আপনাদের ভালো বাসায়।

বিয়ের পর সকলেই যে স্বামী-স্ত্রীর আলাদা সংসার গড়ে তুলবেন, তা তো নয়। আবার শ্বশুরবাড়িতে সবকিছু নিজেদের ইচ্ছেমতো নতুন করে সাজানোও সকলের পক্ষে সম্ভব না হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিজেদের বেডরুম রি-ডেকোরেট করতে পারেন। বিয়েতে কী ধরনের ফার্নিচার কিনছেন, বা ঘরে কী রং করছেন, সেগুলো স্বামী-স্ত্রী মিলে আলোচনা করে নিতে পারেন। আত্মীয়দের তরফ থেকেও যদি নতুন কোনও গ্যাজেট বা ফার্নিচার গিফ্ট পাওয়ার প্রশ্ন থাকে, আগে থেকে খোলাখুলি আলোচনা করে পছন্দমতো জিনিস কিনে নিতে পারেন।

সামঞ্জস্য রাখুন : পুরো ঘরেই একটা সিমেট্রি রাখার চেষ্টা করুন। এক-একটা ফার্নিচারের লুক অ্যান্ড ফিল যদি এক-একরকম হয়, তাহলে ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। ঘর পুরনো হলেও, পর্দা, আসবাস বদলালে, বা আসবাবের স্থান পরিবর্তন করলে ঘর নতুন দেখাবে। যারা নতুন ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনছেন, তারা প্রথমে বাজেটের কথা মাথায় রাখুন। বড় ঘর কেনার জন্য অযথা বাজেট ছাড়ানো যুক্তিহীন।

স্পেস ব্যবস্থাপনা : সঠিকভাবে স্পেস ম্যানেজমেন্ট করলে ছোট বাড়িও সুন্দর করে সাজানো সম্ভব। আর যদি বড় বাড়িও কেনেন, সেক্ষেত্রেও একসঙ্গে প্রচুর ফার্নিচার কেনার প্রয়োজন নেই। ইউ ক্যান অলয়েজ় অ্যাড লেটার। যা একান্ত প্রয়োজন, বরং সেখানে ইনভেস্ট করুন। একসঙ্গে বেশি ফার্নিচার বা ডেকর পিসেস কিনলেও, সব যে ঘরে সাজিয়ে রাখতে হবে, তা নয়। বরং মাঝেসাঝে ফার্নিচার বা ছোটখাট ডেকর আইটেম পালটে পালটে সাজাতে পারেন। এতে ঘরের সাজ বদলাবে, একঘেয়েমিও কাটবে। ছোট বাড়ি, ছোট ফ্ল্যাট, মানে স্পেসের অভাব। আপনার নান্দনিকতাবোধের সঙ্গে কিন্তু এর কোনও সম্পর্ক নেই। বড় বাড়িতেও ঠিকভাবে স্পেস ম্যানেজ করতে না পারলে, তা ক্লাটারড দেখাতে পারে। তাই ফ্ল্যাট ছোট বলে আক্ষেপ করার দরকার নেই। বরং বাড়িতে কী কী রাখছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। কিছু টিপস মাথায় রাখতে পারেন।

ঘরে ভার্টিক্যাল স্পেস যতটা সম্ভব অ্যাভয়েড করুন। অর্থাৎ, মেঝে খালি রেখে দেওয়াল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। সেই মতোই ফার্নিচার কিনুন। এতে ঘর বড় দেখাবে। ঘরের দেওয়াল যত হালকা রাখবেন, ততই আলো খেলবে বেশি। এতেও বড় ঘরের ইলিউশন তৈরি হবে। চাইলে ঘরের কোনও একটা দেওয়ালে কনট্রাস্টিং রং, টেক্সচার বা ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন। তবে খুব জমকালো প্রিন্ট হলে তা ভাল লাগবে না। পর্দার রংও হালকা রাখুন। উজ্জ্বল রং বাছতে পারেন। এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন ফ্যাব্রিক নিয়ে। খুব হালকা, শিয়ার ফ্যাব্রিকে ঘরে বেশি আলো ঢুকবে। একটা সফ্টনেসও আসবে। পুরো ফ্লোর কার্পেট দিয়ে না ঢেকে ছোট ছোট রাগস, থ্রো ব্যবহার করুন। খুব গাঢ় রং বাছবেন না।

আসবাবপত্র : বড় ফার্নিচারের পরিবর্তে কমপ্যাক্ট ফার্নিচার বেছে নিন। মিনিম্যালিজ়ম এখন সর্বত্রই ইন। অন্দরসাজের ক্ষেত্রেও মিনিম্যালিস্টিক অ্যাপ্রোচ বেছে নিতে পারেন। ঘর বড় দেখাতে আলোর খুব বড় ভূমিকা রয়েছে। বড় টিউব বা ঝাড়বাতির বদলে রিসেসড লাইটিং বা ট্র্যাক লাইট লাগাতে পারেন। সঙ্গে রাখুন ফ্লোর ল্যাম্প। এ ছাড়া ঘরে আয়না রাখতে পারেন। আয়না এমনভাবে রাখুন, যাতে তাতে আলো প্রতিফলিত হয়। এতেও ঘর বড় দেখাবে। বিছানা কাঠের হলেই ভাল। আয়রনের বিছানা এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে প্রয়োজন ভাল ম্যাট্রেস। নিজেদের কমফর্ট অনুযায়ী ম্যাট্রেস বেছে নিন। এখন তো মশারি ব্যবহারের চল আর নেই। পরিবর্তে বেডের মাথার উপরে বিভিন্ন ধরনের ড্রেপ দিয়ে সাজাতে পারেন। বেড থেকে যে দিক দিয়ে ওঠানামা করছেন, সেই অংশে ডাবল বা কিং সাইজ় বেড তো রাখবেনই, উপরে রাখুন বিভিন্ন শেপ এবং সাইজ়ের কুশন। কুশনে হালকা এবং উজ্জ্বল রঙের কভার মিলিয়েমিশিয়ে পরান। বেডকভারও একটু হালকা রঙের হলে ভাল। সঙ্গে কালারফুল থ্রো বা বেডস্প্রেড নিতে পারেন। যদি যৌথ পরিবার হয়, বা বাড়িতে নিজের একটিই ঘর থাকে, সেক্ষেত্রে কুইন বিছানা আদর্শ। বিছানা ছাড়া একটা ড্রেসার বা চেস্ট অফ ড্রয়ার্স, ওয়ার্ড্রোব, বেডসাইড টেবল রাখতে পারেন বেডরুমে। ড্রয়ারে ছোটখাট জিনিস রাখতে পারেন। ঘর পরিপাটি থাকবে। শোওয়ার ঘরে টিভি, বইয়ের র‌্যাক না রাখাই ভাল। ওয়র্ক টেবলও বেডরুমে না রেখে অন্য কোনও রুমে রাখার চেষ্টা করুন। নবদম্পতিদের বেডরুমে এই জিনিসগুলো না থাকলেই ভাল। ঘরে বিছানা ছাড়াও একটা বসার জায়গা থাকলে ভাল। কেউ এলে তাকে বিছানায় বসতে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। বিছানার উলটোদিকে ছোট একটা টেবল এবং সঙ্গে দু’টো চেয়ার রাখতে পারেন। সকাল বা সন্ধেবেলায় কফিকাপ হাতে আড্ডা দেওয়ার পক্ষেও দারুণ! স্পেস কম থাকলে বড় থ্রি-সিটারের পরিবর্তে বা এল-শেপড সোফা বা লাভসিট রাখুন। সঙ্গে রাখুন পুফ কিংবা ওটোমান। জায়গা থাকলে এক কোণে ডিভানের ব্যবস্থাও রাখতে পারেন। জায়গা কম থাকলে মেঝেতে কার্পেট পেতে রাখুন। প্রয়োজনে সেখানেও বসতে পারবেন। টেবল বসার ঘরের অন্যতম আসবাব। সোফার দু’পাশে মাঝারি মাপের টেবল রাখুন। কর্নারে রাখুন ফ্লোর ল্যাম্প। সাদা এবং হলুদ, দু’ধরনের আলোর ব্যবস্থাই রাখতে পারেন। প্রয়োজনমতো জে¦লে নিতে পারবেন। বসার ঘরে একটা কর্নার তৈরী করতে পারেন। ছোট একটা চেয়ার, একটা টেবল আর বড় ফ্লোর ভাস বা ফ্লোর মাউন্ট লাইট রাখলেই সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হবে। বেশিরভাগ ফ্ল্যাটেই এখন ড্রয়িং এবং ডাইনিং এরিয়া একসঙ্গে থাকে। সেক্ষেত্রে ডাইনিং এরিয়াতে ফোর সিটার বা সিক্স সিটার টেবল-চেয়ারের সেট রাখতে পারেন। জায়গা থাকলে পাশে একটা ক্রকারি ইউনিট রাখুন। ছোট আর্টিফিশিয়াল প্ল্যান্টস, ফুল দিয়ে সাজালে ভাল লাগবে।

আনুষঙ্গিক : বেডরুমে একটি আয়নাও রাখুন। এতে ঘর বড় দেখায়। তবে খেয়াল রাখবেন, বিছানার রিফ্লেকশন যেন আয়নায় না পড়ে। বিছানা এমন পজ়িশনে রাখুন যাতে, দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে মাথা দিয়ে শুতে পারেন। সেন্টেড ক্যান্ডল, ফুল, পটপৌরি ইত্যাদি বেডরুমে রোম্যান্টিক আবহ তৈরি করবে। বেডসাইড টেবলে রাখতে পারেন ছোট ল্যাম্প। এ ছাড়া ভাল মিউজ়িক সিস্টেমও রাখতে পারেন। মেঝেতে কালারফুল রাগস রাখতে পারেন। দেখতে ভাল লাগবে। নিজেদের পোর্ট্রেট, কিছু পেন্টিং দিয়ে দেওয়াল সাজাতে পারেন। যে কোনও একটা দেওয়ালে টেক্সচার করাতে পারেন। এখন অনলাইনে স্ন্দুর সুন্দর অ্যাকসেন্ট ওয়াল শেলফ পাওয়া যায়। বিয়েতে পাওয়া বিভিন্ন গিফ্ট তাতে সাজিয়ে রাখতে পারেন।

প্রতিটা ঘরে আলাদা ভাবে সাজান : ঘর অনুযায়ী অন্দরসাজের পরিকল্পনা করুন। বেডরুমের সাজ এবং ড্রয়িং রুমের সাজ তো একরকম হবে না, দেখতেও তা ভাল লাগবে না। প্রতিটি ঘরের নিজস্ব একটা আমেজ আছে। বেডরুম সবসময়ই রিল্যাক্স করার স্পেস। সেখানকার পরিবেশ যতটা কোজ়ি হয়, ততই মুড আপলিফ্টেড হবে। ঘরে ঢুকে যেন সারাদিনের সব ক্লান্তি ভুলে যান, সেই চেষ্টা করুন। বিশেষত নবদম্পতিদের ক্ষেত্রে বেডরুমের সাজসজ্জার প্রতি বিশেষ যত্ন নিন।
আলোর ব্যবস্থা : আলো একটু ওয়র্মটোনের রাখুন। হলুদ আলো ঘরে উষ্ণতা আনে। ঘরের সৌন্দর্যও বাড়ায়। পারলে ডিম লাইটের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। নতুন সংসারে প্রথমদিকে অতিথিদের যাতায়াত লেগেই থাকে। আর অতিথি আপ্যায়নের জন্য ড্রয়িংরুমের সাজও হওয়া চাই পারফেক্ট। ড্রয়িংরুম বা বসার ঘর মূলত অন্দরের আয়না। ঘরে ঢুকেই যদি অগোছালো, অপরিচ্ছন্ন, ক্লাটারড এরিয়া চোখে পড়ে, তাহলে বাদবাকি সাজসজ্জা নিরর্থক। বসার ঘরে থাকুক উষ্ণ অভ্যর্থনার আশ্বাস। বাকি অন্দরের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠুক বসার ঘরেই।

Continue Reading