Connect with us

Highlights

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখন অনেকেই অর্থশালী ও সম্পদশালী হয়ে গেছেন। আপনারা বিল দেবেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমরা যে বিদ্যুৎটা উৎপাদন করছি তার খরচটা অনেক বেশি। আমরা গ্রাহক সেবা দেয়ার জন্য ব্যাপক হারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের খরচ বিল হিসেবে দিতে হচ্ছে না। অনেক কম টাকা বিল নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হবেন।

প্রধানমন্ত্রী রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) নির্মাণ শেষ হওয়া পাঁচটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের আর্থিক সঙ্গতি বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষ টিভি, ফ্রিজ এমনকি এসিও ব্যবহার করছে। মানুষের সক্ষমতা আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে। সেটা আরও গড়ে উঠুক সেটাই আমি চাই। এই বৈষম্যটা যেন থাকে না। মানুষ যেন সবধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। ব্যবহারের সময় সাশ্রয়ী না হলে কত ভর্তুকি আমরা দিতে পারবো। সেটা দেখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি যখন বের হই তখন যেখানে যেখানে অপ্রয়োজনীয় তার সুইচগুলো বন্ধ করি। আমি জানি গণভবন সরকারি। এখনকার নিয়ম হচ্ছে সব জ্বালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতটুকু জায়গায় থাকি সেটার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে করে রাখি, যাতে অভ্যাসটা ঠিক রাখি। কারণ চিরদিনই কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকে না। এটাতো পাঁচ বছরের জন্য আসে। এরপর আর থাকবো না। তখনতো নিজের মতোই চলতে হবে। কিন্তু অভ্যাসটা নষ্ট করেতো লাভ নাই।

দাসত্বের শৃঙ্খল পরায় এমন কেউ যেন ক্ষমতায় না আসে:

দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে জাতিকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে দেয় এমন কেউ যেন ক্ষমতায় না আসে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতেও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে। কারও সামনে মাথা নত করবে না। সে লক্ষ্য নিয়েই তার সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে আমরা নানা পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা আসবে দেশের উন্নয়নের গতিটা এগিয়ে নিয়ে যাবে, সেটাই আমরা চাই। এমন কেউ না আসে, যাতে আবার এই বাংলাদেশকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে যাতে চলমান থাকে সেই পরিকল্পনা আমরা করে দিয়েছি।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে জাতির পিতার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশটাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখনই কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনাটা ঘটলো। বাংলাদেশ যে স্বাধীন হয়েছে, বাঙালি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছে। সেই পাকিস্তানিদের দালাল, তোষামোদি-খোশামোদি যারা ছিল, যারা সারাজীবন পাকিস্তানের প্রদেশ হয়ে তাদের দাসত্ব করতে চাইতো, তারাই চক্রান্তে জড়িত ছিল। এর সঙ্গে অবশ্যই যারা কখনো চায়নি বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক, তাদের এই চক্রান্ত ও চরম আঘাতটা আমাদের জীবনে নেমে এলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি আর ছোট বোন রেহানাসহ যারা আপনজন হারিয়েছি, তারাতো শুধু আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে দিয়ে গেল বাংলাদেশের জনগণের। যাদের কোনো আশা-ভরসা কিছুই ছিল না।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে উন্নয়ন হয়নি, প্রচার পেয়েছে:

সরকারপ্রধান বলেন, পঁচাত্তরের ঘটনার পরে বারবার ক্ষমতাবদল। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে একের পর এক… ১৯টা ক্যু হয়েছে এই দেশে। ক্ষমতা সেনানিবাসে, সামরিক শাসকদের হাতে। ডাইরেক্টলি বা ইনডাইরেক্টলি। অভার্টলি অর কভার্টলি। তাদের হাতেই ক্ষমতা। ক্ষমতাকে তারা ভোগের বস্তু বানিয়েছে। কিছু চাটুকারের দল, তোষামোদি-খোশামোদি সৃষ্টি করে তাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। দেশের মানুষের কল্যাণে বা উন্নয়নে তাদের কোনো অবদান ছিল না। কিন্তু প্রচার পেয়েছে ব্যাপক।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু এত উন্নয়নের কাজ করে গেছেন। সেখানে ঠিক উল্টো প্রচার করা হতো। যেটা এখনো আমি এত উন্নয়ন করার পরেও কিছু কিছু লোকের মুখে, কিছু কথা যখন শুনি। সেই সব সুরের প্রতিধ্বনিটাই যেন আমি শুনতে পাই। সেই সব শ্রেণির লোকেরাই কিন্তু সমালোচনা কিংবা বলেই যায়। যদিও আমি এসব পরোয়া করি না। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের কাজ করতে হবে। কারণ যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছেন সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।

১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়ন করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ সৃষ্টি করা। যোগাযোগ শুধু রাস্তা না, সড়ক, নৌ, বিমান এবং রেল যোগাযোগ। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি। আমরা এগুলোতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময় নিয়ম ছিল শুধু সরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আমি তখন উদ্যোগ নিলাম বেসরাকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য। এর জন্য আইন ও নীতিমালা করলাম। এমনকি ছোট্ট ছোট্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রও যাতে করতে পারে। শিল্পের মালিকদের ডেকে বললাম আপনারা নিজের উদ্যোগে কারখানা বা শিল্পের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিদ্যুৎখাত সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করলাম। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আনলাম। আমার হাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেঘনা ঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট এবং হরিপুরে ৩৬০ মেগাওয়াট। এগুলো আমেরিকার ইএস কোম্পানি উৎপাদন করেছে।

যে কয়টা ভালো কাজ করেছি, সব কয়টায় মামলা খেয়েছি:

সরকারপ্রধান বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বিশেষ আইনও আমরা করেছি। যদিও এসব কারণে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। শুধু সমালোচনা না ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলাও দিয়েছিল। যে কয়টা ভালো কাজ করেছি, তার সব কয়টায় জন্য মামলা খেয়েছি। আবার ২০০৭ সালেও মামলা খেয়েছি। আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টাও (তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী) আমার সঙ্গে আসামি ছিলেন। আমরা কাজও করেছি। আবার এই ধরনের হয়রানিও শিকার হয়েছি। কিন্তু থেমে থাকিনি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব। আলো জ্বালাবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জানতেন গ্রামে যদি বিদ্যুৎ না দেয়া যায় তাহলে গ্রামের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। তাই পল্লী বিদ্যুতের ব্যবস্থাটাও তার হাতে শুরু।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারি বা বেসরকারি কিংবা যৌথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেই হবে না। এর জন্য সঞ্চালন লাইন প্রয়োজন। সেটাও আমরা নির্মাণ করে যাচ্ছি। পল্লী বিদ্যুৎ আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারতো না। আমাদের সরকারি বিদ্যুৎ থেকে কিনে নিতে হতো। এখন আমরা তাদের সেই সুযোগটা দিয়ে দিয়েছি। তারা নিজেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সঞ্চালন করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনকে আমরা বহুমুখী করেছি। গ্যাস, কয়লা, সোলার পাওয়ার। এখন এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করছি। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকেও উন্নত করেছি। তারপর বায়োগ্যাস করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।

‘আমাদের একটাই লক্ষ্য, দেশের গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাক। কারণ একমাত্র বিদ্যুৎ দিলেই মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাদের উন্নতির বিষয়টি আমরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পেলে মানুষ নিজের কর্মসংস্থান করতে পারে। বিদ্যুৎ যদি সারা বাংলাদেশে না পৌঁছাতে পারি তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করতেও পারবো না। মানুষ তার সুফল পাবে না।’

বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করায় গুলি করে হত্যা:

বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিএনপি-জামায়ত সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে মানুষ বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করেছিল বলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হলো। এটা অবশ্য বিএনপির চরিত্র। কারণ কৃষকরা যখন সারের দাবিতে আন্দোলন করলো। তখন ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল। ২০১৩ সালে যখন অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে তখন সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটা শুধু আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়নি, সেখানে কর্মরত প্রকৌশলীকে পুড়িয়ে হত্যা করে। মানুষকে দিতে পারে না, কিন্তু তাদের জীবন নিতে পারে। আর ধ্বংস করতে পারে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট:

সরকারপ্রধান বলেন, সরকারের পদক্ষেপের কারণে স্কুল-কলেজের ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবহার হচ্ছে। বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল চালু হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা বিদ্যুৎ চালিত বাসের ব্যবস্থা করতে পারবো। বিদ্যুৎচালিত গাড়ি হয়তো দেশেই উৎপাদন করতে পারবো। রেলকে ধীরে ধীরে বিদ্যুতে নিয়ে আসবো। এ রকম অনেক পরিকল্পনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি ব্যবহারও বাড়ছে। আমাকে গ্রামের একজন বললো, আপা ভাত এখন চুলায় রান্না করি না, রাইস কুকারে রান্না করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে অবশ্যই আমরা বিশেষভাবে পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখি। পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের পদক্ষেপ সবসময় গ্রহণ করি।

করোনাভাইরাসের টিকাদান:

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা টিকা দিচ্ছি। এটা ব্যাপক হারে দেব। কেউ বাদ যাবে না। সেই ব্যবস্থাও নিচ্ছি। টিকা নেয়ার পরেও করোনা দেখা দেয়। লক্ষ্মণ দেখা দেয় না। নিজে হয়তো বুঝতে পারছেন না, কিন্তু অন্যকে সংক্রমিত করে দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।

পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি সরকারি আর দুটি বেসরকারি। এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হলো- হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাটে মধুমতী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উত্তরণ। আর বেসরকারি দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলো জুলদা চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইউনিট-২ এবং নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বীরবিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

আরও উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।- বাসস

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

সুবর্ণচরে বন্যার্তদের মাঝে সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি

Published

on

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ চলমান দেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া। ২৫ আগস্ট রবিবার সুবর্ণচরের স্খানীয় সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন সুমনসহ ৪ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদিন ব্যাপী এ ত্রাণ সামগ্রীর মূল পৃষ্টপোষক হিসেবে রয়েছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত এবং সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার।

সহায়ক ফাউন্ডেশন, কুষ্টিয়া দীর্ঘ বছর ধরেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বেকারত্ব দূরীকরণ, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার ব্যায়ভার গ্রহণ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ নানামুখি সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিগতায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সুবর্ণচরের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন সংবাদ প্রকাশের পর সহায়ক ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদে সূত্রধরে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক তরিক খন্দকারের সার্বিক তত্বাবধানে চলমান বন্যায় গৃহবন্ধী এবং কর্মহীন হয়ে পড়া সুবর্ণচরের বেশ কয়েকটি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সুবর্ণচর উপজেলার জনসাধারণ।

সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত বলেন, মানু্ষ মানুষের জন্য, এমন দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে থাকাটা প্রতিটি বিত্তশালী মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্ব, তিনি দেশের প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, অর্থশালী মানু্ষদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় সব সময় সহায়ক ফাউন্ডেশন পাশে থাকার আশ্বাস দেন জিয়াউল হক তরিক খন্দকার। তিনি বলেন, যে কোন জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Continue Reading

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading

Highlights

সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি খোরশেদ-সম্পাদক মাহাবুর

Published

on

“আঁধারের সাথে দ্বন্দ্ব যাদের, আমরা তাদের সাথে” এই শ্লোগানকে ধারণ করে নোয়াখালীতে যাত্রা শুরু করেছে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি (সাকস)। বৃহস্পতিবার(২০ জুন) সকালে চড়ুইভাতি পার্টি সেন্টারের হলরুমে সংগঠনটির সতীর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।

২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাবুব আলমকে এক বছর মেয়াদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরবর্তীতে সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন। সতীর্থ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কল্যানে সংগঠনটি কিভাবে ভূমিকা রাখবে সেবিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

এসময় সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার বারি পিন্টু বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতায় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহ জাহান আলম তার বক্তব্যে বলেন, যে কোন সংগঠনের গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সাংবাদিক কল্যান সমিতির দরজা খোলা। প্রকৃত সাংবাদিকদের যে কোন সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এই সংগঠন।

সমিতির সহ-সভাপতি জাভেদ আলম কিরন সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সংগঠকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহব্বান জানান। এসময় সকল সদস্য সাংবাদিকদের কল্যানে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন।

সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর আলম বলেন, সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে দিনে-রাতে যেকোন সময় সমস্যায় পড়লে তাদের পাশে থাকবে সাংবাদিকদের কল্যান সমিতি।

সভাপতি খোরশেদ আলম বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক কল্যান সমিতির সদস্যদের বাইরেও কোন গণমাধ্যমকর্মী যদি কোন সমস্যায় পড়েন হামলা-মামলার শিকার হয় তাদের পাশেও থাকবে সাংবাদিক কল্যান সমিতি।

সতীর্থ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক বাংলা ও যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, দৈনিক জনতার জমিন পত্রিকার সম্পাদক জাবেদ আলম কিরন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি শাহজাহান আলম, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাবুর আলম, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ, দৈনিক সময়ের আলোর বিনোদন বিট প্রতিনিধি আনোয়ার বারি পিন্টু, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি গোলজার হানিফ, দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাজ্জাদুল ইসলাম।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চলমান নোয়াখালীর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিদিন আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি অনুপ সিংহ, দৈনিক ভোরের সময়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন, সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন রাসেল, দৈনিক দেশবার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি রবিউল হাসান, দৈনিক ভোরের চেতনার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সোহাগ, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি শাহ পরাণ, দৈনিক বর্তমানের জেলা ব্যুরো ইয়াছিন শরীফ অনিক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ, দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাহবুবুল হাসান, দৈনিক আলোকিত সকালের প্রতিনিধি মৃনাল কান্তি, দৈনিক বর্তমান কথার প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম আরিফ, দৈনিক দেশের কন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ ইয়াসিন, দৈনিক গণতদন্তের প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ সবুজ, দৈনিক স্বাধীন ভোরের প্রতিনিধি সাজিদ মাহমুদ প্রমুখ।

Continue Reading