Connect with us

Highlights

বিবিসি বাংলার চোখে আজকের বাংলাদেশী পত্রিকার খবর

Published

on

মোখায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব, হিন্দু নারীর অধিকার নিয়ে হাইকোর্টের রুল, নাটকীয় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

আজ সমকালের প্রথম পাতাজুড়ে প্রধার খবর “বড় বাঁচা বাঁচল উপকূল”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চোখ রাঙিয়েছে কয়েক দিন। ক্ষণে ক্ষণে বদলিয়েছে গতি। ঘূর্ণিঝড়টির প্রবল ক্ষমতা দেখে বিশ্বের সব আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাসে বড় ঝুঁকির তালিকায় ছিল বাংলাদেশ।

কেউ কেউ একে সুপারসাইক্লোনও বলেছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার নৌবন্দরকে দেখিয়ে যেতে বলেছিল ১০ নম্বর মহা-বিপৎসংকেত।

এমন আভাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে উপকূলে। মোকার মূল কেন্দ্র সেন্টমার্টিন থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয় মিয়ানমারের দিকে। বাংলাদেশকে বাঁয়ে রেখে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে মিয়ানমারে।

ঘূর্ণিঝড় মোখাকে ঘিরে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, “চার কারণে মোখার আঘাত মিয়ানমারে”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মডেলে মোখার গতিপথ দেখানো হয়েছিল সেন্টমার্টিনের হয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমানা নির্ধারক নদী নাফ।

মূলত চার কারণে সেন্টমার্টিনেরও অন্তত ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিক দিয়ে মিয়ানমারে চলে যায়।

কারণগুলো হচ্ছে-পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, ভূপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বমুখী (আকাশ) বায়ুর চাপ এবং ‘সাইক্লোন হিট পটেনশিয়াল’। এগুলো বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক ছিল।

এ নিয়ে নয়াদিগন্তের ভিন্ন ধরণের শিরোনাম, “ভাটার টানেই রক্ষা”। আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামালকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র যখন টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমারের মংডু জেলা অতিক্রম করছিল ঠিক তখনই বঙ্গোপসাগরে ভাটার টান শুরু হয়।

মোখার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম “মোখার আঘাতে কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ’মোখা’র প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কক্সবাজারের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিন এবং উপকূলীয় টেকনাফ এলাকার।

সরকারি হিসাবেই কক্সবাজারে বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ঘর-বাড়ি। উপড়ে গেছে কয়েক হাজার গাছপালা। সেন্টমার্টিনে ৮০ শতাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এসময় সাগরের জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় সেন্টমার্টিনের একাংশ। সেখানে ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে পড়ে।

নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, “Load-shedding across Bangladesh sets record at 2,925MW”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৩ই মে রাত ১২টায় ২,৯২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রেকর্ড করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ, যা লোডশেডিংয়ের নতুন রেকর্ড।

দেশটির মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৪ শতাংশ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।

দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, “আইএমএফের ইতিবাচক প্রস্তাব গ্রহণের নির্দেশ”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থার দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবের যেগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক, যাচাই-বাছাই করে সেগুলো গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী অর্থবছরেই এসব সংস্কারের সবটা গ্রহণ না করে, পর্যায়ক্রমে পরের তিন অর্থবছরে গ্রহণ করতে বলেছেন তিনি।

কালের কণ্ঠের পেছনের পাতার খবর, “কালো টাকা সাদা করার সুবিধা স্থায়ী হতে পারে”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে সব পক্ষকে খুশি রাখতে চায় সরকার।

এ জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার ধারা বহাল রেখে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব করা হতে পারে। বেশি সম্পদ থাকলে নিয়মিত করের বাইরে সারচার্জ দিতে হয়।

আগামী বাজেটে ধনীদের সম্পদে সারচার্জ বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, “Don’t increase tax burden on ordinary people”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ১৬ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা না বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বণিক বার্তার প্রথম শিরোনাম “অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর ঢাকায় অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ।

প্রথম আলোর পেছনের পাতার খবর, “৭ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্ত”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দোলনচাঁপা ফুলের গাছ হয়তো অনেকেই দেখে থাকবেন।

কিন্তু ফিতেচাঁপা নামে যে দেশে এক প্রজাতির ফুলগাছ ছিল তা খুব বেশি মানুষের জানা নেই। কারণ উদ্ভিদের ওই প্রজাতিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। মানে এটি গত একশ বছরের মধ্যে দেশের আর কোথাও দেখা যায়নি।

বিলুপ্তির তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ছয় প্রজাতি, আর মহাবিপন্ন অবস্থায় রয়েছে পাঁচ প্রজাতির উদ্ভিদ।

অন্যান্য খবর
সমকালের পেছনের পাতার খবর, “বিএনপিতে আবারও গ্রেপ্তার আতঙ্ক”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজধানীসহ সারাদেশে ফের গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন মামলায় আসামি করা হচ্ছে তাঁদের, একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হচ্ছেন তারা।

কোথাও কোথাও পুরোনো মামলায় আটকের ঘটনা ঘটছে।

যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, “একটির বেশি স্বর্ণ বার আনলে বাজেয়াপ্ত”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রবাসীকর্মী বা বিদেশফেরত যাত্রীরা একটির বেশি স্বর্ণের বার (১৫০ গ্রাম) দেশে নিয়ে এলে সেটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।

মূলত বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করতে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আগামী বাজেটে ব্যাগেজ রুলে এ সংশোধন আনা হচ্ছে।

বর্তমান ব্যাগেজ রুল অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে আসার সময় ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার আনতে পারেন, এজন্য শুল্ক-কর দিতে হয় না।

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে ইত্তেফাকের খবর “নাটকীয় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মুস্তাফিজ, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্তর বোলিং জাদুতে তৃতীয় ম্যাচেও নাটকীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

হাতের মুঠো গলে প্রায় বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচ জিতেছে পাঁচ রানে। বাংরাদেশের ২৭৪ রানের জবাবে আয়ারল্যান্ড ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছে ২৬৯ রান। দারুন এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটাও বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।

নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, “Why Hindu women rights won’t be ensured: HC”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, হিন্দু নারীদের অধিকার হরন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কেন কোন নির্দেশ দেওয়া হবে না সে বিষয়ে সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে হাইকোর্ট।

হিন্দু নারীরা বিবাহবিচ্ছেদ, বিবাহ নিবন্ধন, সন্তানের অভিভাবকত্ব, দত্তক নেয়া, সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার এবং হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ২০১২ বাতিলের অধিকার দাবি করে।

হিন্দু বিবাহ আইনে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাজারদর নিয়ে বণিক বার্তার পেছনের পাতার খবর, “এক মাসে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, ফের আমদানির কথা ভাবছে সরকার”। খবরে বলা হয়েছে, উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।

শুরুর দিকে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ফলে আবারো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। চাহিদার চেয়ে দেশে উৎপাদন বেশি হলেও অব্যবস্থাপনার কারণে ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এক মাস আগে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে নয়াদিগন্তের খবর, “আমরা অনেক এগিয়ে : এরদোগান”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন।

তবে প্রথম রাউন্ডেই তার বিজয় নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারে তিনি এখনো দ্বিধায় রয়েছেন। নির্বাচনের আগে বিশ্লেষকেরা বলছিলেন যে এরদোগান তার পুরো ক্যারিয়ারে এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। তারা এখন বলছেন, এরদোগান অনেক ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট অনিবার্য।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

সুবর্ণচরে বন্যার্তদের মাঝে সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি

Published

on

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ চলমান দেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া। ২৫ আগস্ট রবিবার সুবর্ণচরের স্খানীয় সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন সুমনসহ ৪ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদিন ব্যাপী এ ত্রাণ সামগ্রীর মূল পৃষ্টপোষক হিসেবে রয়েছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত এবং সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার।

সহায়ক ফাউন্ডেশন, কুষ্টিয়া দীর্ঘ বছর ধরেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বেকারত্ব দূরীকরণ, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার ব্যায়ভার গ্রহণ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ নানামুখি সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিগতায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সুবর্ণচরের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন সংবাদ প্রকাশের পর সহায়ক ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদে সূত্রধরে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক তরিক খন্দকারের সার্বিক তত্বাবধানে চলমান বন্যায় গৃহবন্ধী এবং কর্মহীন হয়ে পড়া সুবর্ণচরের বেশ কয়েকটি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সুবর্ণচর উপজেলার জনসাধারণ।

সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত বলেন, মানু্ষ মানুষের জন্য, এমন দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে থাকাটা প্রতিটি বিত্তশালী মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্ব, তিনি দেশের প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, অর্থশালী মানু্ষদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় সব সময় সহায়ক ফাউন্ডেশন পাশে থাকার আশ্বাস দেন জিয়াউল হক তরিক খন্দকার। তিনি বলেন, যে কোন জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Continue Reading

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading

Highlights

সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি খোরশেদ-সম্পাদক মাহাবুর

Published

on

“আঁধারের সাথে দ্বন্দ্ব যাদের, আমরা তাদের সাথে” এই শ্লোগানকে ধারণ করে নোয়াখালীতে যাত্রা শুরু করেছে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি (সাকস)। বৃহস্পতিবার(২০ জুন) সকালে চড়ুইভাতি পার্টি সেন্টারের হলরুমে সংগঠনটির সতীর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।

২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাবুব আলমকে এক বছর মেয়াদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরবর্তীতে সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন। সতীর্থ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কল্যানে সংগঠনটি কিভাবে ভূমিকা রাখবে সেবিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

এসময় সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার বারি পিন্টু বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতায় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহ জাহান আলম তার বক্তব্যে বলেন, যে কোন সংগঠনের গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সাংবাদিক কল্যান সমিতির দরজা খোলা। প্রকৃত সাংবাদিকদের যে কোন সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এই সংগঠন।

সমিতির সহ-সভাপতি জাভেদ আলম কিরন সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সংগঠকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহব্বান জানান। এসময় সকল সদস্য সাংবাদিকদের কল্যানে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন।

সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর আলম বলেন, সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে দিনে-রাতে যেকোন সময় সমস্যায় পড়লে তাদের পাশে থাকবে সাংবাদিকদের কল্যান সমিতি।

সভাপতি খোরশেদ আলম বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক কল্যান সমিতির সদস্যদের বাইরেও কোন গণমাধ্যমকর্মী যদি কোন সমস্যায় পড়েন হামলা-মামলার শিকার হয় তাদের পাশেও থাকবে সাংবাদিক কল্যান সমিতি।

সতীর্থ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক বাংলা ও যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, দৈনিক জনতার জমিন পত্রিকার সম্পাদক জাবেদ আলম কিরন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি শাহজাহান আলম, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাবুর আলম, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ, দৈনিক সময়ের আলোর বিনোদন বিট প্রতিনিধি আনোয়ার বারি পিন্টু, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি গোলজার হানিফ, দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাজ্জাদুল ইসলাম।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চলমান নোয়াখালীর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিদিন আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি অনুপ সিংহ, দৈনিক ভোরের সময়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন, সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন রাসেল, দৈনিক দেশবার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি রবিউল হাসান, দৈনিক ভোরের চেতনার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সোহাগ, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি শাহ পরাণ, দৈনিক বর্তমানের জেলা ব্যুরো ইয়াছিন শরীফ অনিক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ, দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাহবুবুল হাসান, দৈনিক আলোকিত সকালের প্রতিনিধি মৃনাল কান্তি, দৈনিক বর্তমান কথার প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম আরিফ, দৈনিক দেশের কন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ ইয়াসিন, দৈনিক গণতদন্তের প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ সবুজ, দৈনিক স্বাধীন ভোরের প্রতিনিধি সাজিদ মাহমুদ প্রমুখ।

Continue Reading