Connect with us

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যের জন্যে লাল চা কতটা উপকারি?

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
ইংরেজিতে ব্ল্যাক টি হলেও সোজা বাংলায় একে বলে ‘রং চা’। অবশ্য পোশাকি নাম লাল চা। সকালে উঠে স্টোভে পানি গরম করে তাতে একটি চা পাতা ছিটিয়ে দিলেই লাল চা পাওয়া যাবে। তাতে দুধ মিশিয়ে দিলে দুধ চা। তবে অনেকে আয়েশ করে লাল চা’ই খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ সাথে একটু গরম মশলা, তেজপাতা বা আদার টুকরোও মিশিয়ে নেন। ব্যাস! সকালের রিফ্রেশমেন্ট। গরমকালে এই লাল চা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বরফ দিয়ে পরিবেশন করলে নাম হয়ে যায় আইসড টি। সাথে একটু লেবুর রস চিপে স্বাদটা একটু রোমাঞ্চকর করে তোলা।

কিন্তু লাল চা কি আদপে স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো? লাল চায়েও তো ক্যাফেইন পাওয়া যায়। সত্যি কথা বলতে কি, লাল চায়ের পরিচয় শুধু স্বাদেই নয়, গুণেও। আসুন জেনে নেই লাল চায়ে কি কি গুণ রয়েছে:

লাল চা খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। লাল চায়ে প্রচুর উপকারী রাসায়নিক উপাদান শরীরে প্রবেশ করে। এসকল উপাদান শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে। ফলে আপনার হাড় সতেজ থাকে, মন ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। এমনি এমনিই তো আর সবাই সকালে এক কাপ চায়ের জন্যে হাঁসফাঁস করেনা।
লাল চায়ে অনেক ধরণের এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। হাল আমলে অনেকেই এন্টি অক্সিডেন্টের জন্যে গ্রিন টি এর শরণাপন্ন হন। গ্রিন টি এর মধ্যে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট আছে অবশ্যই। কিন্তু লাল চা কোনো অংশেই কম যায়না। অন্তত লাল চা সহজলভ্য এবং অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে থাকে। ফলে দিনে বেশ কয়েক বার লাল চা খাওয়া যায়।

খালি পেটে লাল চা খেলে অনেক সময় অস্বস্তি হয়। অনেকে ভাবেন এতে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। বদহজমের সমস্যাটা মাথাচাড়া দিলো বুঝি! আদপেও ব্যাপারটি এমন নয়। লাল চা খালি পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া তাড়াতে সাহায্য করে। খাদ্যনালীতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে খুব সহজেই কুপোকাত করে দিতে পারে লাল চা।

এখনও পরিক্ষিত সত্য না হলেও একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায় লাল চা খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। বিশেষত নিয়মিত লাল চা পান করলে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটুকু হ্রাস পায়।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

স্বাস্থ্য

শীতে মুখের ঘা, ক্ষত সারানোর পদ্ধতি যেনে নিন

Published

on

By

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
অনেকেই মুখে ঘা হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। ছোট-বড় সবারই মুখে ঘা হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্যানুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে মুখে ঘা হতে পারে। মরণব্যাধি এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের কারণে মুখে ঘা হতে পারে।

এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়। মুখে ঘা হলে ভেতরের মাংসে, উপরে বা জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে। প্রচণ্ড ব্যথার কারণে কিছু খেতে গেলেই জ¦লে। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সাধারণত কামড় লেগে বা কেটে গেলে মুখের ভেতরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এমনকি শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এমনটি হয়ে থাকে। আবার খুব গরম পানীয় পান করলে বা শক্ত কিছু চাবানোর সময় গালের মধ্যে কামড় লেগে ঘা হতে পারে। এসব সাধারণ কারণ ছাড়াও মুখের ঘা নানা ধরনের মরণব্যাধির কারণে হতে পারে।

এছাড়া শীতেও মুখের ঘা মাউথ আলসারের সমস্যা বাড়তে পারে। এর কারণ হলো শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মুখের আলসারের সমস্যাও বেড়ে যায়। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মুখে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যদিও ওভার-দ্য-কাউন্টার টপিক্যাল ওরাল জেল ও ক্রিম ব্যবহারে অনেকটাই মুখের ক্ষত সেরে যায়। তবে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও এর সমাধান করতে পারেন। তেমনই ৭টি পরীক্ষিত প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন-

১. ঘরে বসেই মুখের আলসার সারাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও মুখের ঘায়ের ব্যবহার করতে পারেন।
২. মুখের আলসার দূর করতে অ্যালোভেরা জেল খুবই কার্যকরী এক উপাদান। মুখের ভেতরের যন্ত্রণা ও ব্যথা মুহূর্তেই সারিয়ে তোলে এই ভেষজ উপাদানটি। মুখের ঘা সারিয়ে তুলতে দিনে দুবার মুখের ভেতরে অ্যলোভেরার রস ব্যবহার করুন।
৩. ওষুধি গুণে ভরপুর তুলসি মুখের ঘা সারাতেও কার্যকরী অবদান রাখে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখকে জীবাণুমুক্ত করে। মুখের ঘা সারাতে তুলসি পাতা চিবিয়ে খান কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।
৪. মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার দুর্দান্ত এক ঘরোয়া উপায় হলো লবণ পানিতে গার্গল করা। মুখের ঘা সারাতেও লবণ পানি কার্যকরী। এই পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। লবণ পানি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার গার্গল করুন।
৫. প্রাকৃতিক অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে রসুনে। মুখের আলসারের ব্যথা ও ক্ষত দূর করতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যালিসিন নামক উপাদান আছে। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার আক্রান্ত স্থানে এক কোয়া রসুন ঘষুণ। সূত্র: জিনিউজ/ফেমিনা

Continue Reading

স্বাস্থ্য

যে ৭ কারণে আদা খাবেন

Published

on

By

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে ঝটপট এক টুকরো আদা মুখে পুরে নিলেই হলো! শুধু কি তাই? আদার রয়েছে আরও অনেক গুণ। জেনে নিন আদা খাওয়ার ৭ উপকারিতা সম্পর্কে।

১। বুক জ্বালাপোড়া করা, হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করতে পারে আদা।
২। মধু কিংবা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন আদা। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। পাশাপাশি শক্তিশালী হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৩। পেশী ভালো রাখতে পারে আদা। এ ছাড়া পেশীর ব্যথা কমাতেও কার্যকর এই ভেষজ।
৪। আদায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫। গলা খুসখুস ভাব ও বমি ভাব কমাতে পারে আদা।
৬। রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে আদা।
৭। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে বেশ কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

তথ্য: হেলথলাইন

Continue Reading

স্বাস্থ্য

শীতে খুশকি তাড়ানোর উপায়

Published

on

By

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শীতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে বাড়ে খুশকির প্রকোপ। একটু সচেতন থাকলে খুশকির উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন খুশকি তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

১। চার টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
২। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে চার চামচ পোস্তদানা পিষে দুধে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগান। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। সপ্তাহে দুইবার দই লাগান চুলে। খুশকি দূর হবে।
৪। রাতে ঘুমানোর সময় অড়হর ডাল খোসাসহ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পিষে মাথায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৫। রিঠা দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেও খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬। রাতে ৫ চামচ আমলকী আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।
৭। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে নিন। এই তেল চুলে ভালো করে ঘষুন।
৮। খুশকি তাড়াতে লেবুর রসও বেশ কার্যকরী। লেবুর রস চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

Continue Reading