Connect with us

জাতীয়

২২ লাখ ভবনের ১৬৫ টির আছে ব্যবহারের অনুমতিপত্র

Published

on

ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের পর বসবাস বা ব্যবহারের জন্য অকুপেন্সি সনদ বাধ্যতামূলক হলেও ভবন মালিকরা তা নিচ্ছেন না। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকও বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে ভবন মালিকরা ভবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো ভবন তৈরি ও ব্যবহার করে যাচ্ছে। আর সনদ নেওয়া কার্যকর করা গেলে ত্রুটিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করা যেতো না। বাড়তো না অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকিও।

তবে রাজউক চেয়ারম্যান বলছেন, ভবন নির্মাণের পর রাজউক চাইলেও অকুপেন্সি সনদ দিতে পারে না। তবে সনদ সংগ্রহে ভবন মালিককে বাধ্য করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সনদ ছাড়া বিদ্যুৎ গ্যাস ও পানি সংযোগ দেওয়া হবে না। এই বিষয়টি আইনে না থাকলেও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।

২০০৮ সালের ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালার দ্বিতীয় অধ্যায়ের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘ভবনের আংশিক বা সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষের পরে তা ব্যবহার বা বসবাসের জন্য সনদ নিতে হবে। এই সনদ পাওয়ার আগে ইমারত আংশিক বা সম্পূর্ণ কোনও অবস্থাতেই ব্যবহার করা যাবে না। এই সনদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। পাঁচ বছর পরপর এটি নবায়নও বাধ্যতামূলক।

রাজউকের তথ্য মতে, বর্তমানে সংস্থাটির আওতাধীন এলাকায় ২২ লাখের বেশি ইমারত রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ শতাংশ ভবন ১ তলার। আর তিন হাজার ২৭৩টি বহুতল ভবন রয়েছে। এই তথ্য ২০১৬ সালের। এছাড়া চলতি অর্থবছরে ৮ হাজার ৭৩০টি ভবনের প্লান পাস হয়েছে। ফলে বর্তমানে এর সংখ্যা বেড়েছে। তবে ইমারাত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ সালে প্রণীত হয়েছে। এরপর গত ১১ বছরে কমপক্ষে সাড়ে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজারের মতো ভবন নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত রাজউক থেকে ১৬৫টি ভবন ব্যবহারের অনুমতিপত্র বা অকুপেন্সি সনদ সংগ্রহ করেছেন ভবন মালিকরা।

এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অকুপেন্সি সনদ সংগ্রহ না করায় ভবনটি নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাবে না। আর রাজউক মালিক পক্ষকে এই সনদ সংগ্রহে বাধ্য করতে না পারায় ভবনটি সঠিকভাবে নির্মাণ হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা যাচ্ছে না। একারণে কেউ নকশা ব্যত্যয় করে ভবন নির্মাণ করলে তা ধরা যাচ্ছে না। আর সনদ সংগ্রহ না করায় রাজউকও এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সংস্থাটির ৮টি জোনের আওতায় ৫ হাজার ৫৫৪টি নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। এ থেকে পাঁচ হাজার ১২৭টি নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪২৭টি নকশা বাতিল হয়েছে। বর্তমানে এর সংখ্যা আরও বেড়েছে। এর পর সংস্থাটি আর কোনও বাৎসরিক রিপোর্ট প্রণয়ন না কলেও সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন- প্রতিবছর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। এ হিসেব গত ১১ বছরে নগরীতে সাড়ে ৬০ হাজার ভবন নির্মাণ হয়েছে। এসবের অনুপেন্সি সনদ সংগ্রহের হার শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ।

রাজউকের সংশ্লষ্ট শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, নকশা অনুমোদনের পর ভবন নির্মাণকারীরা আয়তন বাড়িয়ে বা নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবন বানিয়ে ফেলে। এসময় রাজউকও সঠিকভাবে তদারকি করে না। ফলে নির্মাণ শেষ ভবন মালিকরা এই সনদ সংগ্রহ করে না। কেউ সনদ না নিয়ে ভবন ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সে কারণেই আজ নগরীর এই দশা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, আইনটি যদি রাজউক কার্যকর বা প্রয়োগ করতে পারতো তাহলে নগরীর চেহারা বদলে যেতো। কেউ আর অবৈধ উপায় অবলম্বন করে ভবন নির্মাণ করতো না।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যার্নাসের সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, এই আইনটি একারণে করা হয়েছে- আগে অনুমোদিত প্ল্যানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নানাভাবে ভবন নির্মাণ করা হতো। যাতে এর ব্যত্যয় না ঘটে। অর্থাৎ ভবন মালিক যদি অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তার ভবনটি নির্মাণ করেন তাহলে তিনি এই সনদ পাবেন। এখন সনদ না নেওয়া কারণে আগে থেকে এখন কোনও পার্থক্য তৈরি হয়নি। এতে আমরা খুব উপকৃত হয়নি। ব্যত্যয় ঘটানোর কারণে মালিকরা সনদ সংগ্রহ করতে যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী এই সনদ সংগ্রহ না করে ভবন ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু আইনটি প্রয়োগ না করার কারণে এই সমস্যাটা হচ্ছে। ত্রুটি পূর্ণ ভবন নির্মাণ বেড়েই চলছে।

জানতে চাইলে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, ভবন নির্মাণের পর রাজউক চাইলেও অকুপেন্সি সনদ দিতে পারে না। কারণ, যারা মালিক তারা কিছু না কিছু ত্রুটি করে। তারা যদি নকশা না মেনে ত্রুটি পূর্ণ করে ভবন নির্মাণ করে তাহলে তাকে তো এই সনদ দিতে পারি না।

তিনি বলেন, সম্প্রতি  আমরা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একট সিদ্ধান্ত নিয়েছি অকুপেন্সি সনদ ছাড়া কোনও ভবনের বিদ্যুৎ-গ্যাস ও পানি সংযোগ দেওয়া যাবে না। কিন্তু, বিষয়টি হচ্ছে ভবন নির্মাণের সময় যখন তারা এই সংযোগগুলো নেয় পরে আর এগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব অবশ্যই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর। তবে আমরা এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এর আর ব্যত্যয় হবে না। বর্তমানে আমাদের তদারকিতে যে আট হাজার ৭৩০টি ভবন নির্মাণ হচ্ছে সেগুলোতে কোনও ছাড় নয়। সম্প্রতি কয়েকটি ভবন নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়াও হয়েছে।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading

Highlights

রাজনীতি করতে না চাওয়া সাকিব কিনলেন আ.লীগের মনোনয়ন!

Published

on

খেলা ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্বাচনে অংশগ্রহণে তার আগ্রহের বিষয়টি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। যা মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে। এরপরই একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সাকিবের। ২০১৩ সালে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘জীবনেও রাজনীতি করব না।’

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার খবর প্রকাশ হতেই সেই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করছেন। কেউবা সে পোস্টের কমেন্টবক্সে সাকিবের সমালোচনায় মেতেছেন। এর আগে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাকিবের পক্ষে ফরমগুলো সংগ্রহ করা হয়। আসনগুলো হলো— ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২।

মূলত মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন সাকিব। যা তার আগের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই অনেকেই বিষয়টি নতুন করে সামনে নিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.১৪ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই।’

ওই সময় সাকিব বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরই তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনার ডালপালা মেলে। তখন নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সাকিব ওই স্ট্যাটাস দেন। তবে এক দশকের বেশি সময় পর নিজের অবস্থান বদলাতে দেখা গেলো তাকে।

ফেসবুক পোস্টে সাকিব আরও লিখেন, ‘আমাকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে দিন। আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই। আমাকে বোর্ড সভাপতি (পাপন) অনুরোধ করায় আমি ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে রাজনীতি নিয়ে একটি শব্দও বলিনি। তাই সবাইকে বলব যে– আমাদের মিডিয়াকে বিশ্বাস করবেন না। আশা করি নিজের বিষয়টা পরিষ্কার করতে পেরেছি।’

এর আগে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সাকিব নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। ওই সময় সাকিব না পারলেও, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে সাকিবও নির্বাচনে যাবেন বলে অনেকদিন ধরেই জোর শোরগোল চলছিল। এশিয়া কাপ চলাকালে অনেকটা হুট করে সাকিব দল রেখে দেশে চলে আসেন। ওই সময় নির্বাচনী কাজেই সাকিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন বলে আলোচনা রয়েছে!

Continue Reading

Highlights

উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সেইসঙ্গে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে আমাদের সরকারের আমলে। আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি।

আজ রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়গুলো আমি সম্মেলনে তুলে ধরেছি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে শেষে গত রোববার তিনি দেশে ফিরেছেন।

Continue Reading