Connect with us

Highlights

৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ৩২ লাখ মানুষ পাবেন করোনার টিকা

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
আজ শনিবার থেকে সারাদেশে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

ভ্যাকসিনেশনের আওতায় কতজনকে টিকা দেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা পাবেন ৩২ লাখ মানুষ। তারা যথাসময় টিকার দ্বিতীয় ডোজও পাবেন। দ্বিতীয় ডোজ রেখেই টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মূলত ২৫ বছর তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, পঞ্চাশোর্ধ জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে করোনার টিকার আওতায় নিয়ে আসব। সারাদেশের চার হাজার ৬০২টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি জায়গায় ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে এই টিকাদান ক্যাম্পেইন করা হবে। ১২ আগস্ট পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন চলবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা দেশের সব জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চাই। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি নয় হাজার ৯৫৩ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। এখন এই টিকা নেয়ার কার্যক্রম আরও দ্রুত করতে চাই। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বিষয়ে অনেকেই অনেক জায়গা থেকে নানা রকম কথা বলছেন উল্লেখ করে ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, সেটার সবটুকুর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের না।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন নানান জায়গা থেকে নানান মন্তব্য এসেছে। নানান বিষয় এসেছে। আমরা সে ব্যাপারগুলোর বিষয়ে সজাগ আছি। আমরা চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে যাতে এই ব্যাপারগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়। সংবাদ সম্মেলনে ৭ থেকে ১২ আগস্ট সারাদেশে টিকা ক্যাম্পেইন করে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ২৫ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী এই টিকা পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া এবার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। টিকা নেওয়ার বয়সসীমা ১৮ থেকে কেন আবার ২৫ বছর করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৮ বছর বয়সী অনেকের এনআইডি নেই। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, এই এনআইডি ছাড়া ১৮ বছর বয়সীদের টিকার আওতায় আনতে যাই, মাঠে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে সেটাকে আমরা সামাল দিতে পারবো না। সে জন্য অনেক আলোচনা করে আমরা ঠিক করেছি বয়সসীমা ২৫ বছর হবে। আমরা চিন্তা করেছিলাম, যদি আমরা ম্যাসিভ আকারে ক্যাম্পেইন না করতে পারি বা মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করতে না পারি তাহলে সারা দেশে যেখানে আমাদের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে এত মানুষকে আমরা কীভাবে কাভার করবো? এটা পাইলট প্রজেক্ট বলা যেতে পারে। আমরা নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করতে চাই। আমরা দেখতে চাই, আমাদের লোকেরা, প্রান্তিক পর্যায়ে এক দিনে কী পরিমাণ টিকা নিতে পারেন, বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এদিকে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনার ক্ষেত্রে টিকাগ্রহণ ও টিকা নেয়ার পর করণীয় কী সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্দেশনাগুলো হলো-

১. ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে।
২. সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায়ও প্রতি ওয়ার্ডে ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে।
৩. যাদের বয়স ১৮ বা তদূর্ধ্ব তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. প্রথম দুই ঘণ্টা শুধু নারী ও ৫০ বছরের উর্ধ্বে সকল পুরুষকে টিকা দেয়া হবে।
৫. যারা ইতোমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন তাদের নিবন্ধনের সময় উল্লিখিত টিকাকেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

কোভিড-১৯ টিকা নেয়ার পরে করণীয়-

১. টিকা নেয়ার পর টিকাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
২. টিকা নেয়ার পর যেকোনো রকম শারীরিক অসুবিধা হলে সাথে সাথে টিকাদানকর্মীকে খবর দিন।

প্রয়োজনে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। মনে রাখবেন কোভিড-১৯ টিকা নেয়ার পরও জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একে অপর হতে অন্তত ছয় ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় হাত/রুমাল দিয়ে নাকমুখ ঢেকে নিতে হবে।

এদিকে দেশে এ পর্যন্ত এসেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯২০ টিকা। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে এসেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের টিকা। ভারত থেকে এসেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৩ লাখ টিকা। চীন থেকে সিনোফার্মের ৮১ লাখ টিকা এসেছে। কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র মডার্না ও ফাইজারের ৫৬ লাখ ৬২০ টি টিকা বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে। আর জাপান কোভ্যাক্সের আওতায় দিয়েছে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

ভারতের টিকা: ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে ১ কোটি ৩ লাখ। এর মধ্যে ভারতের উপহারের টিকা ৩৩ লাখ। আর ভারত থেকে কেনা টিকা এসেছে ৭০ লাখ। চলতি বছর ২৫ জানুয়ারি ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ টিকার প্রথম চালান আসে। আর দ্বিতীয় দফায় ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে কেনা টিকার দ্বিতীয় চালান আসে। মোট ৭০ লাখ কেনা টিকার চালান এসেছে ভারত থেকে। এরপর ভারত থেকে কেনা টিকার চালান আর আসেনি। এদিকে ভারত বাংলাদেশকে তিন দফায় ৩৩ লাখ টিকা উপহার দেয়। ভারত প্রথম দফায় চলতি বছর ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ টিকা উপহার দেয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকা এসে ১২ লাখ টিকা উপহার দেন। আর তৃতীয় দফায় ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানে ৮ এপ্রিল ঢাকায় এসে এক লাখ টিকা উপহার দেন।

চীনা টিকা: চীন থেকে মোট ৮১ লাখ টিকা এসেছে। এর মধ্যে কেনা টিকা ৭০ লাখ। আর উপহারের টিকা ১১ লাখ। চীন থেকে প্রথম দফায় ১ জুলাই বাণিজ্যিকভাবে কেনা ২০ লাখ টিকা এসেছে। আর দ্বিতীয় দফায় ১৭ জুলাই আরো ২০ লাখ কেনা টিকা এসেছে। তৃতীয় দফায় ২৯ জুলাই চীন থেকে কেনা আরো ৩০ লাখ টিকা ঢাকায় আসে। এদিকে বাংলাদেশকে দুই দফায় ১১ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে চীন। প্রথম দফায় গত ১২ মে চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়। দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয় চীন।

যুক্তরাষ্ট্রের টিকা: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে মোট ৫৬ লাখ ৬২০ টি টিকা উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মডার্নার ৫৫ লাখ আর ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ টি টিকা। প্রথম দফায় ২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ টিকা উপহার দেয়। ১৯ জুলাই দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ লাখ টিকা ঢাকায় আসে। এছাড়াও ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ১ লাখ ৬২০ টি ফাইজারের টিকা উপহার পাঠায়।

জাপানের টিকা: জাপান বাংলাদেশকে কোভ্যাক্সের আওতায় ৩০ লাখ টিকা উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে দিয়েছে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ টিকা। গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টিকার প্রথম চালান ঢাকায় আসে। গত ৩১ জুলাই ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ টিকার দ্বিতীয় চালান আসে। আর ৩ আগস্ট জাপান থেকে আসে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টিকা। চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই জাপান থেকে বাকী টিকা ধাপে ধাপে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে টিকা আনতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি টিকা সংকট কাটিয়ে উঠতে আশার কথাও শুনিয়েছেন। ড. মোমেন জানিয়েছেন, টিকা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ভারতের কাছ থেকে টিকা পেতে জোর তৎপরতা চলছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যে দেশ থেকে টিকা পাবো, তাদের কাছ থেকে নেব। এরই মধ্যে চালু হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

সুবর্ণচরে বন্যার্তদের মাঝে সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি

Published

on

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ চলমান দেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া। ২৫ আগস্ট রবিবার সুবর্ণচরের স্খানীয় সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন সুমনসহ ৪ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদিন ব্যাপী এ ত্রাণ সামগ্রীর মূল পৃষ্টপোষক হিসেবে রয়েছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত এবং সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার।

সহায়ক ফাউন্ডেশন, কুষ্টিয়া দীর্ঘ বছর ধরেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বেকারত্ব দূরীকরণ, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার ব্যায়ভার গ্রহণ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ নানামুখি সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিগতায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সুবর্ণচরের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন সংবাদ প্রকাশের পর সহায়ক ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদে সূত্রধরে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক তরিক খন্দকারের সার্বিক তত্বাবধানে চলমান বন্যায় গৃহবন্ধী এবং কর্মহীন হয়ে পড়া সুবর্ণচরের বেশ কয়েকটি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সুবর্ণচর উপজেলার জনসাধারণ।

সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত বলেন, মানু্ষ মানুষের জন্য, এমন দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে থাকাটা প্রতিটি বিত্তশালী মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্ব, তিনি দেশের প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, অর্থশালী মানু্ষদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় সব সময় সহায়ক ফাউন্ডেশন পাশে থাকার আশ্বাস দেন জিয়াউল হক তরিক খন্দকার। তিনি বলেন, যে কোন জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Continue Reading

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading

Highlights

সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি খোরশেদ-সম্পাদক মাহাবুর

Published

on

“আঁধারের সাথে দ্বন্দ্ব যাদের, আমরা তাদের সাথে” এই শ্লোগানকে ধারণ করে নোয়াখালীতে যাত্রা শুরু করেছে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি (সাকস)। বৃহস্পতিবার(২০ জুন) সকালে চড়ুইভাতি পার্টি সেন্টারের হলরুমে সংগঠনটির সতীর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।

২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাবুব আলমকে এক বছর মেয়াদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরবর্তীতে সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন। সতীর্থ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কল্যানে সংগঠনটি কিভাবে ভূমিকা রাখবে সেবিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

এসময় সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার বারি পিন্টু বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতায় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহ জাহান আলম তার বক্তব্যে বলেন, যে কোন সংগঠনের গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সাংবাদিক কল্যান সমিতির দরজা খোলা। প্রকৃত সাংবাদিকদের যে কোন সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এই সংগঠন।

সমিতির সহ-সভাপতি জাভেদ আলম কিরন সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সংগঠকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহব্বান জানান। এসময় সকল সদস্য সাংবাদিকদের কল্যানে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন।

সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর আলম বলেন, সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে দিনে-রাতে যেকোন সময় সমস্যায় পড়লে তাদের পাশে থাকবে সাংবাদিকদের কল্যান সমিতি।

সভাপতি খোরশেদ আলম বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক কল্যান সমিতির সদস্যদের বাইরেও কোন গণমাধ্যমকর্মী যদি কোন সমস্যায় পড়েন হামলা-মামলার শিকার হয় তাদের পাশেও থাকবে সাংবাদিক কল্যান সমিতি।

সতীর্থ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক বাংলা ও যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, দৈনিক জনতার জমিন পত্রিকার সম্পাদক জাবেদ আলম কিরন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি শাহজাহান আলম, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাবুর আলম, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ, দৈনিক সময়ের আলোর বিনোদন বিট প্রতিনিধি আনোয়ার বারি পিন্টু, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি গোলজার হানিফ, দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার সাজ্জাদুল ইসলাম।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চলমান নোয়াখালীর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিদিন আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি অনুপ সিংহ, দৈনিক ভোরের সময়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন, সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন রাসেল, দৈনিক দেশবার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি রবিউল হাসান, দৈনিক ভোরের চেতনার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সোহাগ, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি শাহ পরাণ, দৈনিক বর্তমানের জেলা ব্যুরো ইয়াছিন শরীফ অনিক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ, দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাহবুবুল হাসান, দৈনিক আলোকিত সকালের প্রতিনিধি মৃনাল কান্তি, দৈনিক বর্তমান কথার প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম আরিফ, দৈনিক দেশের কন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ ইয়াসিন, দৈনিক গণতদন্তের প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ সবুজ, দৈনিক স্বাধীন ভোরের প্রতিনিধি সাজিদ মাহমুদ প্রমুখ।

Continue Reading