Connect with us

মতামত

একুশে বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধি

Published

on

একুশের বইমেলা বাঙালীর জাতীয় মনন ও ঐতিহ্যের প্রতীক। শেষ পর্যন্ত বইমেলার উদ্বোধন হয়েছে। বইমেলার আলাদা টান অনুভব করেন তারাই যারা ভালবাসেন বই, পাঠাভ্যাস যাদের কাছে নেশার মতো এবং বই যে আনন্দ আর জ্ঞানের উৎস- এই কথাটি যারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি জুড়ে অমর একুশে বইমেলা জাতীয় পর্যায়ে এক অনন্য।

করোনার কারণে এবার অমর একুশে বাইমেলা শুরু হয়েছে স্বাধীনতার মাসে। আমরা যতই জ্ঞানভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলি না কেন, এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের ভেতর তেমন পাঠাভ্যাস গড়ে ওঠেনি। বিষয়টি বইমেলার উদ্বোধক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই জানেন বলে ১৮ মার্চ বিলম্বিত বইমেলা উদ্বোধনকালে পাঠক তৈরির ওপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। নতুন প্রজন্মের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদের উৎসাহ দানের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কেবল একজন একনিষ্ঠ পাঠক নন, তিনি লেখকও।

ক্ষমতায় থাকার কারণে তার পক্ষে আগের মতো যে বইমেলায় আসা হয় না, ঘুরে বেড়ানো হয় না মুক্তভাবে- এটি তার জন্য দুঃখ ও আক্ষেপের। কারণ তিনি মেলায় এলে তার নিরাপত্তার কারণে যে ব্যবস্থা অনুসৃত হবে, তাতে বইমেলায় আগতরা অসুবিধায় পড়তে পারেন। মানুষের ঝামেলার কথা ভেবেই তিনি আর বইমেলায় আসেন না, যদিও মন তার পড়ে থাকে বইয়েরই সা¤্রাজ্যে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির এই যুগে মুদ্রিত বই কি হারিয়ে যাবে? এমন প্রশ্ন পুরনো। মেলার উদ্বোধনী আসরে নতুন করে প্রসঙ্গটি সামনে এলে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যতই আমরা যান্ত্রিক হই না কেন, বইয়ের চাহিদা কখনও শেষ হবে না। নতুন বইয়ের মলাট, বই শেলফে সাজিয়ে রাখা, বইয়ের পাতা উল্টে পড়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে, আমরা সবসময় তা পেতে চাই। তবে একই সঙ্গে গুরত্বপূর্ণ সব বই অনলাইনে দেয়া এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠারও ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

জ্ঞানই যদি মুক্তি হয় তাহলে জ্ঞানার্জনের সর্বোত্তম মাধ্যম গ্রন্থও মানুষের মুক্তির দিশারি। আর এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই প্রতিবছর নতুন বইয়ের বিরাট আয়োজনে বইমেলার যে উৎসবমুখর আবেদন, সেটাই দর্শনার্থীদের বিভিন্নভাবে আকৃষ্ট করে। মুখরিত এই বর্ণাঢ্য আবহে দর্শকরা নিজেদের একাত্ম করে নেয়, যা নতুন বইয়ের প্রতি আগ্রহ আর আকাক্সক্ষায় পুরো পরিবেশকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। বই হয়ে ওঠে আরও গ্রহণযোগ্য, পাঠের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এবং প্রয়োজনীয় সম্পদ। বিশ্বসভায় বাঙালীর বই আলো ছড়াক- এটাই প্রত্যাশা। করোনার সংক্রমণের কারণে এবার বইমেলায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ ও বিচরণ করতে হবে প্রত্যেককে। মেলায় ক্রেতা, পাঠক ও দর্শনার্থীদের প্রতি অনুরোধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় এসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মতামত

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ মোহন কলেজে আনন্দ র‍্যালি

Published

on

By

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্রলীগের আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকালে আয়োজিত র‍্যালিটি আনন্দ মোহন কলেজের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. নাজমুল ইসলাম সাকিব নেতৃত্ব দেন।

এ সময় তিনি বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাবে ও শেখ মুজিবের আদর্শে কাজ করে যাবে ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিট। সকল অপশক্তিকে রোধকল্পে আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিট সবসময় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

Continue Reading

মতামত

আমি মনোনয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার : বিদ্যুৎ কুমার রায়

Published

on

By

নিজস্ব সংবাদদাতা:
দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে পীরগাছার তাম্বুল ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও একটি কুচক্রী মহল সেটি বাতিল করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে বললেন বিদ্যুৎ কুমার রায়।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নেকমামুদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘বিদ্যুৎ কুমার রায়ের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চক্রান্তের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে’ সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিবাদ সমাবেশে বিদ্যুৎ কুমার রায় বলেন, গত ৭ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। সেখানে পীরগাছা উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে তাম্বুলপুরে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

“সেই মনোনয়ন নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা আমার মনোনয়ন বাতিল করতে ষড়যন্ত্র করছে। আমি মনোনয়ন পেয়ে কাগজপত্র দাখিল করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলাম। এমন সময়ে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম প্রার্থী পরিবর্তন করে আমার স্থলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরদারকে দল নতুন করে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন পোষ্ট দেখে আমি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস এবং মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মহোদয়ের কাছে বিষয়টি ক্লিয়ার হতে জানার চেষ্টা করি কিন্তু পরিস্কার কোন উত্তর পাই নাই। এছাড়াও প্রার্থীতা বাতিলেরও কোন চিঠি এখন পর্যন্ত হাতে পাইনি। তাই যারা আমার এই মনোনয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আমার ইউনিয়নের ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে তাদের প্রতি দলীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, তাম্বুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী ভবেশ চন্দ্র বর্মন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তারেক পাভেল। ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, মোতাকাব্বার হোসেন বাপন প্রমুখ।

Continue Reading

মতামত

স্যোশাল মিডিয়া: নিজেকে মিথ্যেভাবে জাহির করার এক অবিরাম প্রতিযোগিতা

Published

on

By

সবুজ ভট্টাচার্য্য
বাঙ্গালীদের মন-মানসিকতা সার্বিক পর্যালোচনার মাধ্যমে কোন একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়। আবেগ তাড়িত এই জাতিকে শিক্ষার মাধ্যমে খুব বেশি পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এর প্রভাব পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। “নিজে যারে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়” – এটি খুবই প্রচলিত একটি বাংলা প্রবাদ যা আত্মসংযমের উদ্দেশ্যে প্রণিত হলেও পরবর্তীতে সেই আত্মসংযম তীব্র গতিতে বেড়ে গিয়ে বাঙালি মন থেকে সম্পূর্ণ বিয়োজন হয়ে গেছে।

ব্রিটিশ আমলে হাজার বছরের ধুতি পাঞ্জাবি ছেড়ে ইংরেজদের সুট বুট পড়া শুরু করা থেকেই এই জাতি নিজেকে মিথ্যেভাবে জাহির করা শুরু করে। কিন্তু সেই মিথ্যে ভাবে জাহির করার বিষয়টি যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে এলো তখন তা অতীতের সব সীমাকেই লংঘন করেছে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষ নিজেকে মিথ্যেভাবে উপস্থাপন করছে। এর ক্ষেত্র এবং উদ্দেশ্য রীতিমত একটি গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আমাদের চোখে পড়ে তা হল অধিকাংশ ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জা বা মেকাপের আড়ালে ঢেকে নিজেকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এক ধরনের তৃপ্তি অনুভব করছেন। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপিত নিজের ছবিতে এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভাবে ঐ ব্যাক্তি উপস্থাপিত হচ্ছে তার সাথে প্রকৃত ব্যাক্তির অধিকাংশই ক্ষেত্রেই মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।

যার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে সৃষ্ট সকল সম্পর্ক খুব বেশিদিন স্থায়িত্ব পাচ্ছে না। কারণ এ ধরনের মিথ্যে আবরণে ঢাকা ব্যক্তি সমূহকে বাস্তব জীবনে প্রত্যক্ষভাবে পাওয়ার পর সেই ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সার্বিক অবয়বের সাথে তার বাস্তব জীবনের প্রকৃত রূপের মিল না পাওয়ার কারণে তার সম্পর্কে পূর্বে যে সম্মানবোধ বা আকর্ষণ কাজ করতো তা খুব অল্প সময়ে বাষ্প হয়ে উড়ে যায় এবং সম্পর্কগুলোতে আকস্মিক পরিবর্তন আসে।

সৌন্দর্যের সংজ্ঞা এর ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আদিকাল থেকেই একটি বিভ্রান্তি রয়েছে যা একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এই জাতি ভুলতে পারেনি এবং তার রক্ত থেকে দূরীভূত করতে পারেনি। এই লেখার বিষয়বস্তুর প্রয়োজনেই একজন আমেরিকান লেখক এবং সাংবাদিক নাওমি ওল্ফের লেখা একটি বইয়ের কিছু তথ্য তুলে ধরছি। “মিথ অফ বিউটি” নারীবাদী তত্ত্বের উপর লেখা একটি ক্লাসিক রচনা, মূলত ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে এটি লেখা হয়েছিল । এতে, লেখক বহু অধ্যয়ন এবং গবেষণার উপর ভিত্তি করে, নারী মুক্তি, নারীর অগ্রগতি এবং সৌন্দর্য সম্পর্কে মানুষের ক্রমবর্ধমান বিভ্রান্তির উপর আলোকপাত করেছেন।এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলা উচিত যে “মিথ অফ বিউটি” এর উল্লেখের মাধ্যমে আমি কোনভাবেই সরাসরি নারীদেরকে আমার লেখার একমাত্র বিষয়বস্তু হিসেবে প্রতীয়মান করতে রাজি নই বরং লেখার প্রয়োজনেই এর আবির্ভাব হয়েছে।

অধিকাংশ সময় আমরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ফিকে বা স্বল্পমেয়াদী মনোভাব পোষণ করে থাকি কারণ এই মনোভাবের দীর্ঘমেয়াদে যখন তা নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থান গ্রহণ করে তখন তা থেকে আমরা নিরবে সরে আসি। এখন প্রশ্ন হলো বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমরা যে এত কথা বলি তা কি প্রকৃত অর্থে আমরা নিজেরা বিশ্বাস করি? অনেকেই বলে থাকেন যে মানুষ সমাজে শ্বেতাঙ্গদের অনেক বেশি দাম দিয়ে থাকেন যেসব ব্যক্তির গায়ের রং ভালো তাদেরকে অনেক বেশি দাম দিয়ে থাকেন এবং যাদের গায়ের রং শ্যামলা বা কাল তারা অনেক ক্ষেত্রেই সমাজে তাদের উপযুক্ত জায়গা গড়ে তুলতে পারেননা এবং সবক্ষেত্রে সমান প্রাধান্য পাননা; যেটাকে তারা এক ধরনের অসম্মান হিসেবে বিবেচনা করেন। আমিও তাদের সাথে একমত কিন্তু একটি জায়গায় আমি কোনোভাবেই একমত হতে পারিনা যে তারা যখন নিজেদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রকৃত রূপকে ভিন্নভাবে প্রদর্শনের চেষ্টায় রত থাকেন।

এতে একটি প্রশ্ন থেকেই যায় যে, তারা কি নিজেরা এই বর্ণবাদের অপবাদে নিজেদেরকেই আঘাত করছে না। কারন তারা নিজেরাই তাদের সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত শারীরিক অবস্থাকে বিভিন্ন ভাবে পরিবর্তন করে সেইসব সাদা চামড়ার মানুষ বা সমাজের চোখে তথাকথিত সুন্দর মানুষ গুলোর মত করতে চাচ্ছে। এতে কি তারা তাদের নিজেদেরকে অপমান করছে না? এটাও যদি একটা অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয় তাহলে সমাজকে আলাদা করে দোষ দেবার মত কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। যতদিন না পর্যন্ত তারা তাদের এই ধরনের আচরণ পরিবর্তন করবে না ততদিন পর্যন্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলান সম্ভব নয়। প্রত্যেকটা মানুষ যদি নিজে নিজের শারীরিক অবয়বকে স্বাভাবিক এবং সুন্দর হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে এবং উপস্থাপন করতে লজ্জাবোধ না করে তবেই সেই অবয়ব বা শারীরিক রূপ একসময় গিয়ে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হিসেবে সমাজে বিবেচিত হবে।

আমি মনে করি আমাদের সবসময় নিজেদেরকে একটু কম প্রদর্শন করা উচিত। আমরা ঠিক যতটা; প্রদর্শন করা উচিৎ ঠিক তার অর্ধেক। কারণ আমরা যদি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, রূপ এবং আমাদের ব্যক্তিগত অবস্থান সব সময় জাহির করতে চাই, তাহলে তা সাময়িক ভাবে লোকমনে দাগ কাটলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা বিরক্তির কারণ হতে পারে এবং ব্যক্তিগতভাবে জাহির করা একশটি তথ্য থেকে যদি একটিও ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে ঠিক সেইসব ব্যক্তি যারা আমাদের জাহির করা তথ্য শুনে বা দেখে ঠিক যতটা আমাদেরকে দেবতাতুল্য মনে করে মাথায় তুলে রেখেছিল; ঠিক সেই অবস্থান থেকেই মাটিতে ছুঁড়ে ফেলতে একমুহূর্ত দ্বিধাবোধ করবে না। তারচেয়ে বরং আমাদের উচিত নিজেদেরকে কম প্রকাশ করা এবং আশেপাশের মানুষগুলোকে নিজ থেকেই আমাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ প্রদান করা। তাহলে তারা নিজ থেকে যা জানবে তা সবসময় তারা সত্য হিসেবেই মানবে এবং তার উপর নির্ভর করে আমাদেরকে যে সম্মান করবে তার সব সময় টিকে থাকবে। কামিনী রায়ের ‘অনুকারীর প্রতি’ নামের কবিতায় এই ভিন্ন জীবনদর্শনের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। তিনি অকাতর চিত্তে তার কবিতায় বলেছেন ; “পরের চুরি ছেড়ে দিয়ে আপন মাঝে ডুবে যা রে / খাঁটি ধন যা সেথায় পাবি, আর কোথাও পাবি না রে।”

লেখক :

সম্পাদক, ত্রৈমাসিক ঊষাবার্তা, চট্টগ্রাম।

Continue Reading