Connect with us

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে যেভাবে সতর্ক থাকবেন

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গত ২০ বছর ধরে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে, একইসঙ্গে বিকাশ ঘটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের। বিনোদনের অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার শুরু হলেও, বিগত এক দশকেরও বেশি সময়ে এটি বিনোদনকে ছাড়িয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ ব্যাপক হারে ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে শুরু করে; ফলে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগের পরিমাণও বেড়ে যায়।

বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সাইবার অপরাধের পরিমাণও বেড়েছে আনুপাতিক হারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলো সক্রিয়ভাবে এসব অপরাধীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে এবং নিরাপদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করছে।

তবে, বর্তমান হাইপার-কানেক্টেড ও সবসময় অনলাইনে সংযুক্ত থাকা বিশ্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। আজকাল অপরাধীরা বিভিন্নভাবে তরুণদের প্রলুব্ধ করে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে এবং দুর্ভাগ্যবশত অনেক তরুণরাই অপরাধীদের এসব ফাঁদে পা দিয়ে প্রায়শই দুর্ভাগ্যজনক পরিণতির সম্মুখীন হয়। তাই, ব্যবহারকারীদের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে তারা যেন কোনো অপরিচিত অ্যাকাউন্টের ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ না করে এবং ব্যক্তিগত কোনো তথ্য শেয়ার না করে। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের অবশ্যই কমিউনিটি গাইডলাইন বা ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের গোপনীয়তা নীতিগুলো ভালোভাবে পড়ে, মেনে চলতে হবে। কমিউনিটি গাইডলাইন হচ্ছে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এসব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যেহেতু, সবার সাথে কানেক্টেড থাকার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো চমৎকার একটি উপায়, তাই আমাদের উচিত এ প্ল্যাটফর্মগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী কী ব্যবস্থা রেখেছে সে সম্পর্কে অবহিত থাকা।

ডিজিটাল মাধ্যমগুলো ব্যবহারের সময় আমাদের উচিত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) কারো সঙ্গে শেয়ার না করা। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড বা ওটিপি পেয়ে গেলে যে কারো অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে এবং অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারে। সম্প্রতি, ইমো’র মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বাড়াতে ফ্ল্যাশ কল ফিচার চালু করেছে। নিজের অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে সবসময় আপনার অ্যাকাউন্ট আর অন্য কোনো ডিভাইসে লগ-ইন করা আছে কিনা তা চেক করুন; উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি আপনার ব্যবহৃত অ্যাপের সেটিং অপশনে গিয়ে ‘ম্যানেজ ডিভাইস’ অপশনে ক্লিক করে আপনার অ্যাকাউন্ট আর অন্য কোনো ডিভাইসে লগ-ইন করা আছে কিনা তা দেখতে পারেন (দেখে আপনার ডিভাইস ছাড়া অন্য সব ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট সাইন আউট করে ফেলুন)। ইতোমধ্যে, এমন একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে, অপরাধীরা ব্যবহারকারীদের ফোন দিয়ে নিকট আত্মীয়ের ভান করে টাকা চায় এবং ভুক্তভোগীদেরকে বিপদে ফেলে। তাই, এ ধরণের বিষয়ে পুনরায় সেই আত্মীয়কে ফোন দিয়ে বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে নেয়া উচিত বা যাচাই করে নেওয়া উচিত যে আসলেই ফোনকারী আত্মীয় কিনা। দুর্ঘটনার বিষয়ে কোনো ফোনকল পেলে প্রথমেই সত্যতা যাচাই করে নিবেন যে সে ঘটনা ঘটেছে কিনা। কেউ যদি কোনো দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানানোর জন্য আপনাকে কল করে, তাহলে আপনার আত্মীয় বা পরিচিতদের কল করে ঘটনাটি যাচাই করার চেষ্টা করুন এবং খবরটি বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করুন।

এ সম্পর্কে জনপ্রিয় তাৎক্ষণিক ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম ইমো’র প্রোডাক্ট ডিরেক্টর গেরেট বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চমৎকার সুবিধার পাশাপাশি সতর্ক না থাকলে কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়। এ বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে ইমোতে আমরা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যেই জালিয়াতি বিরোধী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন পদ্ধতি চালু করেছি, যেমন এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সহ “সিক্রেট চ্যাট” ফিচার যা ব্যাবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও আমরা ব্যাবহারকারীদের আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলার ব্যাপারে উৎসাহিত করছি এবং ব্যবহারের সুবিধা গ্রহণের সময় নিরাপদ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায়ের উপায় সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। বিভিন্ন খাতের অন্যান্য অনেক ব্র্যান্ডও এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত”।

আমাদেরকে বিচক্ষণতার সঙ্গে দুরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্মগুলোর উপকারিতা ও সুবিধাগুলো বুঝতে হবে এবং এর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিরূপ প্রভাব প্রতিরোধ করতে হবে। সুস্থধারার অনলাইন পরিবেশ বজায় রাখতে বাবা-মা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উচিত শিশু ও তরুণদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও কথাবার্তা বজায় রাখা। পাশাপাশি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে তারা শঙ্কিত না হয়ে তাদের কার্যক্রমের সাথে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এবং পরিবর্তিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। আমাদেরকে এসব বিষয়ে আরো জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে এবং সেই অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে আসতে পারে পরিবর্তন

Published

on

টেক ডেস্ক: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে যেন ‘গুজব, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ক্ষতিকর কনটেন্ট’ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে লক্ষ্যে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে ফেসবুকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেটেড।

বৃহস্পতিবার মেটার কর্মকর্তারা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে অপপ্রচার বন্ধ করার বিষয়ে ‘প্রাথমিক আলোচনা’ হয়েছে মেটা কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে যে ধরনের অপপ্রচার হয়, সেগুলো কীভাবে রোধ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বা ফেসবুকের নীতি বহির্ভূত কোনো প্রচারণা থাকলে তারা তা ডিলিট, রিমুভ, ব্লক করবে।’

অশোক দেবনাথ জানান, নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো প্রচারণা নিয়ে নির্বাচন কমিশন মেটা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সেটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেবে।

এ বিষয়ে জানতে করা এক ইমেইলের জবাবে মেটা কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সব প্ল্যাটফর্মে ‘নির্বাচনের বিশুদ্ধতা’ যেন বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে তারা নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। নির্বাচনের স্বকীয়তা যেন বজায় থাকে, সে লক্ষ্যে তারা সরকার, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও এনজিওগুলোর সাথে ‘গঠনমূলক সংলাপ ও নিয়মিত যোগাযোগ’ বজায় রাখে।

মেটার ‘গুজব, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ক্ষতিকর কনটেন্ট’ সম্পর্কিত বৈশ্বিক নীতিমালার অংশ এটি। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার স্বার্থে, গুজব মোকাবিলা করতে ও ক্ষতিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেটিও জানায় মেটা।

মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোনো নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, ত নিশ্চিত করা মেটার অন্যতম উদ্দেশ্যগুলোর একটি। এর জন্য গত কয়েক বছরে কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি তৈরির পেছনে অর্থ বিনিয়োগ করেছে মেটা। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের প্রস্তুত করছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মেটার সঙ্গে থাকা অনলাইন নিরাপত্তা, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মানুষের পাশাপাশি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পেছনেও বিনিয়োগ করেছে তারা, যা আগের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে আসন্ন হুমকি অনুমান করতে ও পদক্ষেপ নিতে সক্ষম।

মেটা বলছে, নির্বাচনকে ঘিরে ছড়ানো যেসব গুজব মানুষের ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, সে ধরনের গুজব তারা সরিয়ে ফেলে।

কারা ভোট দিতে পারবেন, প্রদত্ত ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে কি-না বা ভোট দেওয়ার সময় কী নিয়ে যেতে হবে – এই ধরনের তথ্যকে কেন্দ্র করে তৈরি করা ভুয়া খবরকে মেটা ‘গুজব’ হিসেবে চিহ্নিত করে। এছাড়া কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন কি-না, সে সংক্রান্ত কোনো ভুয়া খবরকেও গুজব হিসেবে ধরা হয়।

মেটা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে কোনো কনটেন্টের কারণে কেউ শারীরিক ক্ষতির শিকার হতে পারে, তাহলে সে ধরনের কনটেন্ট সরিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে, যেসব কনটেন্টের মাধ্যমে সহিংসতাকে উস্কানি দেওয়া হয়, বেআইনি কোনো কাজে প্ররোচনা দেওয়া হয় বা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার আহ্বান জানানো হয়, সে ধরনের কনটেন্টও তারা সরিয়ে দেয়।

এসব কনটেন্টের মধ্যে রয়েছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তৈরি করা মিডিয়া রিপোর্ট ও ‘ডিপ ফেক’ নিউজ। এছাড়া নির্বাচনের তারিখ, সময়, স্থান বা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে তৈরি করা ভুয়া খবরও রয়েছে এই তালিকায়।

মেটা বলছে, গুজব ঠেকাতে সারা বিশ্বে ৯০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তারা কাজ করে। বাংলাদেশে তারা যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে তার মধ্যে রয়েছে ফ্যাক্টওয়াচ, এএফপি ও বুম বাংলাদেশ।

গুজব ছড়ানো কনটেন্টের পাশাপাশি যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে গুজব ছড়ানো হয়, সেগুলোও ডিলিট করা হয় বলে জানিয়েছে মেটা। তাদের দাবি অনুযায়ী, দৈনিক অন্তত ১০ লাখ অ্যাকাউন্ট তারা ডিলিট করে থাকে।

আর কোনো বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে যাওয়ার পর সেই ঘটনা সংক্রান্ত সঠিক খবর বা পোস্টের লিংক বেশি করে প্রচার করা হয় যেন ব্যবহারকারীরা ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারে।

মেটা জানায়, তাদের প্ল্যাটফর্মের নিয়মকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অনেকে কনটেন্ট তৈরি করে থাকে, যে বিষয়ে তারা ওয়াকিবহাল।

এরকম ঘটনা ঠেকাতে তারা নিয়মিত তাদের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমের উন্নয়ন করছে এবং সুশীল সমাজ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের সাথে কাজ করছে বলেও জানিয়েছে মেটা।

সূত্র-বিবিসি বাংলা।

Continue Reading

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

রকমারি পণ্য পরিবহনে টাটা উদ্বোধন করলো এলপিটি-৪০৭ পিকআপ

Published

on

By

বিশ্বে প্রথম সারির অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক টাটা মটরস এর অনুমোদিত পরিবেশক নিটল মটরস বাংলাদেশে LPT.407 পিকআপের জন্য বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন ধরনের বড়ি সহ গাড়ির উদ্বোধন করেছে এবং সবচেয়ে বেশি মার্কেট শেয়ার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশের বানিজ্যিক গাড়ির জগতে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।

গাড়িটি পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ ধরনের মজবুত লোড বডিসহ। যার মধ্যে রয়েছে কাভার্ড ভ্যান, এলপিজি ক্যারিয়ার, পোলট্রি ক্যারিয়ার, স্ট্যান্ডার্ড এবং হাই ডেক। লজিস্টিক, পরিবহন এবং বিতরণ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এই গাড়ি ব্যবহার করা যাবে।

সোমবার রাজধানীর গুলশানের শুটিং ক্লাববে এ শুভ উদ্বোধন করা হয়,পাঁচ ধরনের লোড বডি সম্বলিত মাল্টিপারপাস পিক-আপটি রকমারি পণ্য পরিবহনের জন্য, অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।

উদ্বোধন বিষয়ে, জনাব অনুরাগ মেহরোত্রা, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি, কমার্শিয়াল ভেহিকেল বিজনেস, টাটা মটরস বলেন, “সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশে তৈরি Tata LPT 407 এর বিভিন্ন ধরনের বড়ি উদ্বোধন করতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। ক্রেতাদের প্রয়োজন এবং আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা গাড়িগুলো বাজারে এনেছি। নানা রকমের লোড বড়ির অপশন এবং ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতাসহ, TATA T 407 দেয় বহুমুখী ব্যবহার উপযোগিতা, অধিক নির্ভরযোগ্যতা এবং বেশি দক্ষতা। যার ফলে মুনাফা বৃদ্ধি পায় এবং খুব সহজে গাড়ির মালিক হওয়া যায়। গাড়িটির মজবুত ডিজাইন, সেরা পারফরম্যান্স এবং আকর্ষণীয় প্যাকেজ গ্রাহকদের ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। আমাদের লক্ষ্য হল পণ্য পরিবহনের জন্য গ্রাহকদের একটি পরিপূর্ণ সমাধান প্রদান করে তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করা, যা গুণগতমান এবং বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কিত আমাদের প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে।”

আপ্লিকেশন ভেহিক্যালস উদ্বোধন সম্পর্কে নিটল মটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মাতলুর আহমাদ বলেন, “তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে টাটা মটরসের সৃজনশীল পণ্য এবং সেবাগুলো এদেশে খুব ভালোভাবে সমাদৃত হয়েছে। টাটা মটরসের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব দেশের অসংখ্য ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমি আত্নবিশ্বাসী যে, আমাদের সম্মানিত গ্রাহকরা LPT 407 এর আপ্লিকেশন ভেহিক্যালস ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।”

নিটল মটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আব্দুল মুসাব্বির আহমাদ বলেন, “ আমরা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশে নির্মিত LPT 407 এর ব্যবহারিক সমাধানগুলো চালু করতে পেরে আনন্দিত। স্থানীয় বাজার সম্পর্কিত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, আমরা উন্নতমানের মেড ইন বাংলাদেশ লোড বডি তৈরি করেছি যা গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে ভালোভাবে পূরণ করবে। যেহেতু এটি ক্রয় করার পরপরই ব্যবসার কাজে লাগানো যাবে, তাই এই রেডি টু ইউজ গাড়িগুলো দেশের ফ্লিট মালিকদের জন্য নিয়ে আসবে দুর্দান্ত সুবিধা। আমরা বিশ্বাস করি। যে, নতুন এই পণ্যগুলো বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যানবাহনের জগতে বিপ্লব ঘটাবে।”

নিটল নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মারিব আহমাদ বলেন, “আজ থেকে নিটল মটরস বডিসহ ট্রাক বিক্রি শুরু করবে, ধীরে ধীরে সব যানবাহন সম্পূর্ণ লোড বডিসহ বিক্রি হবে। এটি আমাদের জয়েন্ট ভেঞ্চারে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় ব্যবহার উপযোগী উন্নত মানের লোড বডি সম্পন্ন এই গাড়িগুলো হবে গ্রাহকদের ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার কার্যকর সমাধান। এর মধ্যে রয়েছে 13m3 এর বৃহৎ কার্গো লোডিং এরিয়া সহ কাভার্ড জ্ঞান, দক্ষতার সাথে গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারির জন্য এলপিজি ক্যারিয়ার, নিরাপদভাবে পোলটি পরিবহনের জন্য পোলট্রি ক্যারিয়ার, সাধারণ পণ্যদ্রব্য পরিবহনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডেক গাড়ি এবং অধিক বহন ক্ষমতার হাই ডেক গাড়ি। প্রয়োজন অনুযায়ী বডিসহ এই গাড়িগুলোতে থাকছে এক বছরের ওয়ারেন্টি, ফলে গ্রাহকেরা মানসিক প্রশান্তির সাথে এগুলো পরিচালনা করতে পারবে।

শক্তিশালী যন্ত্রাংশে তৈরি Tata LPT 407 গাড়ি 2956cc ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, যা GBS-27 সিঙ্কোমেশ গিয়ারবক্সের সাথে যুক্ত। ফলে এটি 75Ps শক্তি এবং 225Nm টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। গাড়িটিতে রয়েছে 12 ফুট দীর্ঘ ডেক। আকর্ষণীয় বিক্রয় প্যাকেজ এবং সহজে পরিশোধ যোগ্য কিস্তির Tata LPT 407 এখন থেকে সারাদেশে নিটল মটরসের অনুমোদিত সেলস সেন্টার ও ডিলার পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

১২৮ বিলিয়ন ডলারের টাটা গ্রুপের অংশ টাটা মটরস লিমিটেড, যেটি বর্তমানে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের অটোমোবাইল প্রস্তুতকারকদের মধ্যে প্রতিনিধিত্বকারী কোম্পানি, যা কার, ইউটিলিটি ভেহিক্যালস, পিকআপ, ট্রাক, এবং বাস তৈরি করে, পাশাপাশি প্রদান করছে বিভিন্ন ধরনের সমন্বিত, স্মার্ট ওই মোবিলিটি সল্যুশনস। কানেক্টিং এসপিরেশন্স” এই প্রতিপাদ্যকে ব্রান্ড প্রমিসের মূল জায়গায় রেখেছে টাটা মটরস এবং এটি বর্তমানে ভারতের বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে মার্কেট লিডার ও প্রাইভেট কারের ক্ষেত্রে প্রথম তিনের মধ্যে অবস্থান করছে।

টাটা মটরস সবসময়ই চেষ্টা করে আসছে নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসতে, যেগুলো নতুন প্রজন্মের ক্রেতাদের কল্পনাকে নাড়া দেবে এবং এই গাড়ি গুলোর ডিজাইন করা হয় স্টেট অফ দ্যা আর্ট ডিজাইন এবং আর এন্ড ডি সেন্টারগুলোতে (ইন্ডিয়া, ইউকে, ইউএস, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত)। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি নির্ভর অটোমোটিভ সল্যুশন উপর গুরুত্ব প্রদান করে, কোম্পানি তার উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উদাহরণমূলক প্রযুক্তি তৈরির জন্য ব্যবহার করছে যেগুলো হবে স্থায়ী এবং মার্কেট ও গ্রাহকদের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। টাটা মটরস ইন্ডিয়াতে ইলেকট্রিক গাড়ির রূপান্তর ব্যবস্থার প্রবর্তক।

একটি শক্তিশালী গ্লোবাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাটা মটরস তার অপারেশন চালাচ্ছে ইন্ডিয়া, ইউকে, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা এবং ইন্দোনেশিয়ায়, টাটা মটরসের বাণিজ্যিক ও প্যাসেঞ্জার,ভেহিক্যালগুলো বাজারজাত হচ্ছে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ,আমেরিকা, রাশিয়া এবং অন্যান্য CIS,দেশগুলোতে,নিটল নিলয় গ্রুপের প্রধান অংগ সংস্থা হলো নিটল মটরস লিমিটেড, যা ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশে টাটা,মটরসের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। এবং সবচেয়ে বেশি মার্কেট শেয়ার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশের বানিজ্যিক গাড়ির জগতে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।

Continue Reading

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

টেকনোলজি পল্লীর সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠিত

Published

on

By

টেকনোলজি পল্লীর সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের ডিপ্লোমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কোর্সের (২০২১-২০২২) প্রশিক্ষণ প্রদান করে “টেকনোলজি পল্লী”।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রশিক্ষণ শেষে জমকালো ও আনন্দঘন পরিবেশে আজ রবিবার সার্টিফিকেট গিভিং সিরমনি ও লাঞ্চ পার্টির আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা যায়, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের একদল উদ্যমী তরুণ। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এই পর্যন্ত একশতাধিক জব প্লেসমেন্ট করা হয়েছে।

সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আর্মি আইবিএ এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আফজাল হোসাইন,
বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আল-আমিন নিপু, টেকনোলজি পল্লীর কর্ণধার ও সিইও নেজাম উদ্দিন সোহেল, ম্যানেজার তুষার হালদার তন্ময়সহ সম্পূর্ণ টিম ও ছাত্রছাত্রীরা।

Continue Reading