Connect with us

Highlights

রসিককে আধুনিক-পরিকল্পিত গ্রীণসিটি গড়তে মোস্তফার ৩১ দফার ইশতেহার!

Published

on

রসিককে আধুনিক-পরিকল্পিত গ্রীণসিটি গড়তে মোস্তফার ৩১ দফার ইশতেহার!

রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর সিটি করপোরেশনকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত গ্রীণসিটি হিসেবে গড়তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার আলোকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রংপুর মহানগরীর কলেজ রোডে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন সাবেক এই মেয়র।

প্রস্তাবিত ৩১ দফার ইশতেহারে নগরীর সৌন্দয্য রক্ষার্থে শ্যামাসুন্দরী খালকে পুনরুজ্জীবিত করা, উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যানজট নিরসনসহ ২৫০ বছরের পুরাতন এই শহরকে স্মার্ট সিটিতে রুপান্তরের লক্ষ্যে প্রস্তুতকৃত মাস্টারপ্লান অনুযায়ী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী।

মোস্তাফিজার রহমান বলেন, যুগে যুগে নগর মহানগরকে সভ্যতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আর এই নগর মহানগর প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। ভৌগলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক অবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সামাজিক ও রাজনৈতিক নিয়ামক শক্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয়ে আসছে। পরিবর্তিত এই রংপুর সিটিতে আপনাদের ভোটে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে আমি সিটিকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, নিরাপদ ও পরিকল্পিত মহানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সাবেক এই মেয়র বলেন, নগরীর সৌন্দর্য রক্ষার্থে শ্যামাসুন্দরী খালকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ইতিমধ্যে ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কনসালটেন্ট নিয়োগ করেছি। ২২০০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি প্রস্তুত করার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসলে যথাযথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ্। এর মাধ্যমে নগরীর জলাবদ্ধতা দূর হবে। যার সুফল ভোগ করবেন নগরবাসী। নাগরিক সেবা প্রদান সহজীকরণের জন্য জমি অধিগ্রহন করে আধুনিক নগর ভবন তৈরি করা হবে। স্মার্ট সিটিতে রুপান্তরের লক্ষ্যে কোরিয়ান অ্যান্ড প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মূল্য ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা পর্যায়ক্রমে নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, রংপুর সিটি চিকলী পার্ককে একটি অত্যাধুনিক মানের পার্ক নির্মাণ কল্পে বিগত পাঁচ বছরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, তিনটি পুকুর ভরাট, প্রবেশ ফটক নির্মাণসহ চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক বিনোদন পার্ক নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিকমানের রাইড স্থাপনের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে অর্থছাড় সাপেক্ষে চিকলী পার্ক প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। আধুনিক সিটি করপোরেশন বিনির্মাণে প্রস্তুতকৃত মাস্টারপ্ল্যান বর্তমানে গেজেট প্রকাশের অপেক্ষাধীন রয়েছে। পুনরায় মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করব।

মোস্তফা বলেন, আমি বিগত মেয়াদে নগরীর বর্জ্য অপসারণ এবং বর্জ্য রাখার জন্য মাহিগঞ্জ (কলাবাড়ী) মৌজায় দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে অবৈধভাবে দখলকৃত মোট ১১ দশমিক ৭১ একর জায়গা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। সেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ করেছি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগে অনুমোদন হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ বিভাগে সেটি অনুমোদন হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। যানজট নিরসনে পথচারী এবং শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে নগরীর প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ব্যস্ত রাস্তায় জেব্রাক্রসিংসহ ডিজিটাল পুশ সিগন্যাল স্থাপন করা হবে। নগরীর ব্যস্ততম দুটি পয়েন্টে বর্তমানে ২টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করেছি। পর্যায়ক্রমে যানজট নিরসনে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী আরও ফ্লাইওভার/ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, নাগরিক সেবা সহজীকরণ এবং নাগরিকগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের ৩টি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে নিজস্ব ওয়ার্ড কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এতে নাগরিকরা খুব সহজেই এসব আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে কাঙ্খিত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমানে ০৪ (চার) টি মাতৃসদন কেন্দ্র চালু রয়েছে। বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট (ইউপিএইচসিএসডিপি) এর মাধ্যমে নগর স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স এবং অঞ্চলভিত্তিক নগর মাতৃসদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। কোভিড-১৯ টিকা ও নগরীর প্রতিটি শিশুর (ইপিআই) টিকা প্রদান নিশ্চিত করা হবে।

মোস্তফা বলেন, পরিছন্নতা কর্মীদের (সুইপার) আবাসন সমস্যা নিরসনে আধুনিক সুইপার কলোনি নির্মাণ করা হবে। আধুনিক পশু জবাইখানা (প্লটার হাউজ) নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ০২টি জবাইখানা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ করা হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যে ১০০টিরও অধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান/মোড়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নগরবাসীর সেবা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নগরবাসীর জন্য ‌‘রংপুর অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপস ডেভলপমেন্ট করা হবে। এর সুফল নগরবাসী পাবেন। নগরের সার্বিক উন্নয়নে নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে।

মোস্তাফিজার রহমান বলেন, হকারদের জন্য হকার পুনবার্সন এবং কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরশাদ হকার্স মার্কেটকে আধুনিকায়ন করা হবে। বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নবাবগঞ্জ মার্কেট আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশন পরিচালিত সকল বাজার আধুনিকায়নসহ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ‌‌‘জনতার মুখোমুখি মেয়র, শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যার সমাধান করা হবে। মশক নিধন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। আলোকিত রংপুর গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে সড়কবাতি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। সিটিকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য প্রশস্ত মোড়ে ভাস্কর্য/পানির ফোয়ারা নির্মাণ করা হবে। সিটির হাইওয়ের প্রবেশ মুখ গুলোতে দৃষ্টি নন্দন অভ্যর্থনা গেট নির্মাণ করা হবে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সিটি করপোরেশন হতে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে এর সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সম্মানি ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এসএম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগরের সহসভাপতি লোকমান হোসেন, জাহেদুল ইসলাম ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান আনিছ প্রমুখ।

ইশতেহার ঘোষণার পূর্বে সকালে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে দলের লাঙ্গল প্রতীক গ্রহণ করেন। পরে সেখান থেকে তিনি রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদে গিয়ে শুকরানা নামাজ আদায় করেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পল্লীনিবাসে শায়িত জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের করব জিয়ারত করেন।

উল্লেখ্য, তৃতীয় বারের মতো এবারের রসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী ও ৩৩ টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর (মহিলা) পদে ৬৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।

বর্তমানে দশ লাখের উপরে জনসংখ্যার বসবাসে এই নগরীতে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন আগামী ২৭ ডিসেম্বর। এদিন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

সোনাইমুড়ীতে মন্দিরে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Published

on

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আগত পূজাকে কেন্দ্র করে সোনাইমুড়ী পূজা কমিটির কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোনাইমুড়ী বাজারের ব্যবসায়ী ও উপজেলা বিএনপির সদস্য রুবেল ভূইয়া এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

শনিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে এই আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন রুবেল ভূঁইয়া লিখত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে আগত পূজাকে কেন্দ্র করে সোনাইমুড়ী পূজা কমিটির কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে। নোয়াখালী-২৪ নামের একটি অনলাইন ফেসবুক পেইজে প্রচারিত ভিডিওতে সোনাইমুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পার্থ সাহা এই অভিযোগ তুলেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে পূজা কমিটির কাছে চাঁদা নিয়েছি এক লাখ টাকা অথচ এই বিষয়ে মন্দির কমিটির কেউ অবগত নয়।

এসময় রুবেল ভূইয়া ফেসবুক পেইজ নোয়াখালী-২৪ এর একপাক্ষিক সংবাদ প্রচার ও সোনাইমুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পার্থ সাহার কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এসকল মিথ্যা অপপ্রচারের ঘটনায় সকল সাংবাদিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করেন।

এদিকে একই ঘটনায় শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে সোনাইমুড়ি কালিবাড়ি মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা জানান পূজা কমিটির কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হলেও এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পার্থ সাহা চাঁদাবাজির যে অভিযোগ করেছে সেটি মিথ্যা।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পার্থ সাহা তার ব্যক্তিগত কোন্দলকে সাম্প্রদায়িক ঘটনায় রুপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কমিটির নেতৃবৃন্দ পূজাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ ও ব্যক্তিগত ঘটনাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত করে স্বার্থ হাসিল অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান।

সোনাইমুড়ি কালিবাড়ি মন্দিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোনাইমুড়ী উপজেলা হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং পূজা উদযাপন কমিটির সর্বস্তরের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading

Highlights

সুবর্ণচরে বন্যার্তদের মাঝে সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি

Published

on

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ চলমান দেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া। ২৫ আগস্ট রবিবার সুবর্ণচরের স্খানীয় সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন সুমনসহ ৪ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদিন ব্যাপী এ ত্রাণ সামগ্রীর মূল পৃষ্টপোষক হিসেবে রয়েছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত এবং সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার।

সহায়ক ফাউন্ডেশন, কুষ্টিয়া দীর্ঘ বছর ধরেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বেকারত্ব দূরীকরণ, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার ব্যায়ভার গ্রহণ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ নানামুখি সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিগতায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সুবর্ণচরের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন সংবাদ প্রকাশের পর সহায়ক ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদে সূত্রধরে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক তরিক খন্দকারের সার্বিক তত্বাবধানে চলমান বন্যায় গৃহবন্ধী এবং কর্মহীন হয়ে পড়া সুবর্ণচরের বেশ কয়েকটি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সুবর্ণচর উপজেলার জনসাধারণ।

সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত বলেন, মানু্ষ মানুষের জন্য, এমন দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে থাকাটা প্রতিটি বিত্তশালী মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্ব, তিনি দেশের প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, অর্থশালী মানু্ষদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় সব সময় সহায়ক ফাউন্ডেশন পাশে থাকার আশ্বাস দেন জিয়াউল হক তরিক খন্দকার। তিনি বলেন, যে কোন জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Continue Reading

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading