Connect with us

Highlights

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি আর আমাদের রংপুরের রাজনীতি

Published

on

আসসালামুআলাইকু,
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি আর আমাদের রংপুরের রাজনীতি। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অনেকের আবার গায়ে লাগবে, ভাইদের রাজনীতি চলে আমাদের।

বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে আসা, আর দেখতে দেখতে ১৩টি  বছর কেটে গেলো এই এসবের সাথে।

আমি যখন ক্লাস এইটে তখন প্রথম মিছিলে যোগদান আর রংপুরের রাজনীতিবিদদের সাথে পরিচয় শুরু।

আমার রংপুরে প্রথম পছন্দের মানুষটি ছিলেন মরহুম মনছুর আহমেদ, সভাপতি রংপুর জেলা আওয়ামীলীগ। এর পর অনেকের সান্নিধ্য পেলাম খুব কাছ থেকে দেখবার। ছাত্র রাজনীতির কারণে সকল স্থানে উঠা বসা হয়েছে আমার।
বাবার মুখে শুনেছি রংপুরের অনেক কৃতি সন্তানের নাম। যেমন সিদ্দিক হোসেন ,এ্যাড. গাজী রহমান, এ্যাড আলতাব, এ্যাড নজরুলসহ আমার দেখা মরহুম শাহ্ আব্দুর রাজ্জাক স্যার (সাবেক সাংসদ) তাদের অনেকের রাজনীতি ছিলো বঙ্গঁবন্ধুর সাথে। মনছুর আহমেদ চাচা মারা যাবার পরে আমার নজরে আসে ভাই রাজনীতি। তখন সবাই বলতো একটা মন্ত্রী নাই আমাদের কত আফসোস আমাদের দেখার কেউ নেই। আজো নেই রংপুর সদরের অভিভাবক!

বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এই মানুষটার সাথে যখন পরিচয় হয় খুব অবাক হয়েছিলাম।
একজন মানুষ এত বড় মাপের যার অবস্থান দেশে অনেক উচ্চ পর্যায়ে। এই মানুষটি এত মিশুক আর ভালো চিন্তা ভাবনার, তার চিন্তা শক্তি অনেকদূর। কারণ এই ভদ্রলোকের রয়েছে ৫৪ বছরের সফল রাজনীতির ইতিহাস। ১৯৬৬ সালে মেট্রিক, ৬৯ -এ ছাত্র নেতা গণ আন্দোলনে, ৭০ এর নির্বাচন,৭১ এ পিতা-পু্ত্র একই সংঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন।
এরপর ১৯৭২ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৭৩-৭৪ ঢাকা তৎকালীন বৃহত্তর গুলশান বেরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সালে টানা ২২বছর আওয়ামী লীগ গুলশানের সভাপতি এক বরেণ্য ইতিহাস।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ গ্রহণ পরে অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক।
দলের দুর্দিনে ছিলেন নেত্রীর অতন্দ্র প্রহরী। সেই সাথে বিজিএমই এর সভাপতি ছিলেন তিনি।
তার কন্যাদ্বয় ব্যাবসা দেখাশোনা করতেন।
সারাজীবন মানুষের কল্যানের কথা ভেবেছেন এই মানুষটি। জাতীয় সংসদে দাড়িয়েও রংপুরের উন্নয়নে ছিলেন সোচ্চার এবং আছেন। যা কিনা রংপুরের আর সদস্যগণ বলতে পারেন নাই এবং তার বলিষ্ঠ বক্তব্যের মধ্যে পাওয়া যাবে এই উত্তর অঞ্চলের উন্নয়নের কথা।
এই ভদ্র লোকের সহধর্মিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাষ্টারস’ করে কিছুদিন শিক্ষকতার পর এখন তার কিছু সোশ্যাল ওয়ার্ক করেন।
মাননীয় মন্ত্রী রংপুরে নিজ অর্থায়নে করেছেন মুক্তিযাদ্ধা বাবার নামে কলেজ, বঙ্গঁবন্ধুর নামে করেছেন হাসপাতাল, ভালুকায় গড়েছেন বৃদ্ধাশ্রম।এছাড়া অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। আজকের তিতুমীর কলেজ তারই নাম করন এ অবদান। আমার দেখা মতে ব্যাক্তি জীবনে চাওয়া পাওয়া বা তাকে কেনা বেঁচার সুযোগ নেই।

এই মানুষটি বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে রাজনিতেতে আসা আর (রংপুর-৪) পীরগাছা কাউনিয়া বাসি তাকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত করেন ৩ বার। আর এই কৃতি সন্তান রংপুরের গর্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাকে বাণিজ্যমন্ত্রী করেন । রংপুর এতদিন পর পূর্ণ মন্ত্রী পেলো, আর আমরা তার কাছ থেকে যা পেলাম।
আমি সংযুক্তি দিয়ে দিবো –

রংপুর সার বাফার গোডাউন
• সিএসডি গোডাউন
• রংপুর মেডিকেল কলেজ এর পাশে ক্যান্সার হসাহপাতাল
• রংপুররের ক্রীড়া উন্নয়ন এর জন্য ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ।

এছাড়া তিনিই প্রথম সৈয়দপুর বিমানবন্দর চালুর দাবী করেন যা তার সংসদ বক্তব্যের মধ্যে পাওয়া যাবে।

এ ছাড়া রংপুরের হয়ে যেই দাবি গুলো তুলে ধরেন –

রংপুরের তিস্তা নদীর পাড়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বেসামরকি ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেন।

রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ এর জন্য , যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেন।

রংপুরে বিভাগীয় যাদুঘর ইতিমধ্যে অনুমোদন লাভ করেছে।

সংসদে গ্যাস দাবি করে এবং যার কাজ পাইপলাইন চলোমান।

আমার কাছে যা ডকুমেন্ট আসে তাই উল্লেখ্য করলাম আর বাহিরে আরো অনেক কিছু করেছেন । সংসদে রংপুরের মানুষের সকলের মনের আশা আকাঙ্খা তুলে ধরেছেন। আর কোন সাংসদ নিজের এলাকা ছাড়া গোটা রংপুর নিয়ে ভেবেছেন? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইল।

এখন আসি আপনাদের যা অভিযোগ-

১. পেঁয়াজের মূল্য!

• আপনারা জানেন আমরা যে পেঁয়াজ খাই তার কতো শতাংশ আমরা উৎপাদন করি? বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর কাজ ব্যাবসার বাজার উন্মুক্ত করা এর নতুন সব দ্বার উন্মুক্ত করে দেশের অর্থনীতির ভীত তৈরি করা। আমার জানা মতে, বাণিজ্য মন্ত্রী অনেক আগেই ট্যাক্স ফ্রি করে বাজারে পেঁয়াজ স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তার উদ্যোগে অনেক প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজ আমদানি করছ। জরিমানা ও বাজার মনিটরিং ও করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তাহলে কৃষি মন্ত্রণালয় এর কাজ ছিল ঘাটতি কোথায়, কখন সরবরাহ দরকার । সেই সাথে উৎপাদন ও ঘাটতি সম্পর্কে বিস্তার বিবৃতি দেয়া। টিসিবি ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। যাই হোক আসল কথায় আসি, বাংলাদেশের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক দিক বিবেচনায় মালদ্বীপ। তাই আগের দামে পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে ভারত। আর বাংলাদেশের জন্য এক লাফে তিনগুণ পেঁয়াজ এর মুল্য মূল্য ভারত। কিন্তু কেন? -উত্তর হচ্ছে পরশ্রীকাতরতা। ভারতের ইকোনমিকর অবস্থা খুবেই নাজুক বর্তমানে, সেদিকে বাংলাদেশর ইকোনমি শক্তি শালী হচ্ছে। আর এ অবস্থায় কিছু ডলার পন্য প্রতি বাড়িয়ে দিলে মন্দ হয় না এই ভাবনা ভারতের। ভারতের মহারাষ্টের নাসিক অঞ্চল টাই পেয়াজ হয় বেশী। বিপদে এগিয়ে না আসলে অন্য রাষ্ট্র পেঁয়াজ রপ্তানি করে যেমন-মায়ানমার, মিশর, তুরস্ক। এদের থেকে সবসময় আমদানি করা শ্রেয়। আন্তর্জাতিক বাজারে সব কিছু এল সি দিয়ে আমদানি করতে হয়, ডলার এর মান, সেই দেশের থেকে আসতে সময় নির্ভর করে । আর এসব কে পুঁজি করেছে সিন্ডিকেট। প্রধানমন্ত্রী মিশর থেকে পেঁয়াজ এনেছেন। কার্গো বিমানে জরুরী ভাবে তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আনা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এই সংকট নিরসন হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দিন রাত এক করে এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন । তিনি জানেন কি ভাবে  এই সংকট সমাধান হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ এর পন্য রপ্তানিতে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। যার মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকা ও রাশিয়া ফেডারেশন অন্যতম।

বিশ্বাস রাখুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রীর উপরে। আমরা যদি ১৮কোটি মানুষ ধানে স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে পারি। পেঁয়াজের আবাদকে সেই পর্যায়ে নিতে কৃষিবিদ সহ কৃষিমন্ত্রনালয়কে সে উদ্যোগ নিতে হবে। দেখুন মাঝে ভারত গরু রপ্তানি বন্ধ করেছিলো। আমরা ধরে নিয়েছি ১০০০/১২০০ টাকা হবে কেজি মাংসের ।
এখন কি সেই ঘাটতি রয়েছে?? শুধু পেঁয়াজ নয়, আমরা অনেক কিছুইতে নির্ভরশীল। যেমন তেল, চিনি ছোলা, মসল্লা ইত্যাদি।

২. গার্মেন্টস নিয়ে মন্তব্য সাম্প্রতিক।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর অধীনে অনেক দপ্তর থাকে। গার্মেন্টস শিল্প কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয় এর অধীনে। বাণিজ্য খাত তাদের সকল সহযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে। সেইদিন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন আপনারা গার্মেন্টস এর বিষয় কি করবেন । তিনি বলেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালাতে পারবে। কিন্তু কারা চালাতে পারবে সেটা কেটে মিডিয়ায় আসলো। এই যে পিপিই, মাস্ক অন্যান্য কারখানায় জীবনমান রক্ষায় যা তৈরি হচ্ছে তাদের চালাতে বলেছেন। তাহলে ওনার বলা উচিৎ ছিলো দরকার নাই এসবের সব বন্ধ! আমাদের কিছু লাগবে না?

প্রশ্ন আপনার কাছে রইলো! এই দুর্যোগে উনি কি এটা বলতে পারেন তার মতো ব্যাক্তি। এর মাঝে দেখেছেন গার্মেন্টস মালিকদের ভুল বুঝাবুঝিতে কি ঘটলো শ্রমিকদের সাথে মিথ্যা কথা বলে শুধু মন্ত্রী এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর অপচেষ্টা করা হলো। এখানে গারমেন্টস খোলা রাখা বা না রাখা শিল্প ও শ্রম মন্ত্রনালয়ের ব্যাখ্য ছিলো না এবং যা তাদের উপর বর্তায়। যখন মন্ত্রী বলেছেন ৫ হাজার কোটি টাকা ফ্রিতে নয় ২% সুদে। তখনি ষড়যন্ত্র করে তাকে ভিলেন বানালেন তারা এবং একধরনের লেখকের মাধ্যমে বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যার্থতা দাবী করা হচ্ছে যা কিনা পূর্বে সুবিধা পাওয়া সিন্ডিকেটরা তৎপর হয়েছে।
এখন তারা এই মন্ত্রীর কাছে বা তার দপ্তরের কাছে সুবিধা না পাওয়ার কারণে। এই ক্রান্তিলগ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরামর্শে বানীজ্য মন্ত্রী মহোদয় এর নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছে তার সচিব থেকে শুরু করে সবাই। সচিব নিজে মাঠে নেমে কাজ করছেন।

তার মতো ব্যাক্তিকে নিয়ে আজ বন্দনায় মেতেছি। একবার বিশ্লেষণ করে দেখিনি কোথা থেকে কি। এক বীর মুক্তিযোদ্ধা
টিপু মুনশি মন্ত্রী থেকে চলে গেলে কিছু হবেনা। রাষ্ট্রের যা হবে সে হারাবে পরিচ্ছন্ন নেতা ও মানুষ । সিন্ডিকেট আর রাষ্ট্রের শত্রুদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছেন তিনি।

রংপুরের এক শ্রেণীর চাটুকার রাজনীতিবিদ ও নব্য আওয়ামী মুখশধারি আজ বুনো উল্লাস কিংবা প্রচারণায় নেমেছে তার অপসারণের। সাথে সুযোগ করে দিচ্ছেন জামাত-বিএনপি’র পেতাত্মা শত্রুদের সমালোচনার। তাদের প্রশ্ন করুন তাদের ভাইয়ের দারা কিংবা নেতাদের দারা আজ রংপুরের কি উন্নতি হয়েছে? দলের কর্মী কি পেয়েছে। আজ রংপুর -৩ আসনের অভিভাবক নেই কেন? আজ নেতৃত্ব দেয় কারা?

টিপু মুনশিকে নিয়ে যারা মেতেছে তাদের অবস্থান দেখুন। কারা এরা? সাধু সাবধান আপনাদের উপরে ভর করে তারা স্বার্থ হাসিলে মত্ত।
চলমান করোনা মহামারীতে ২১হাজার পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা দিয়েছেন এই মানুষটি তার আসনে। এছাড়া রংপুরে দিয়েছেন নিজের আত্মপ্রচার না করে। প্রতি মুহূর্তে কাজ করছেন যিনি প্রচারণা ছাড়াই।

টিপু মুনশিকে নিয়ে কুচক্রে মেতেছেন তারাই যাদের উদ্দেশ্য আর চিন্তা অসৎ। কারণ তিনি ভাইয়ের রাজনীতি করেন না তিনি অসৎদের পাত্তাদেন না। আর কোথাকার কারা রাতারাতি কিছু দিয়ে শিরোনামহন প্রথম পেজের।

একান্ত ভাবনা থেকে
শিহাব চৌধুরী
এমবিএ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
বিএসসি ইইই (আইইউবি)
সহ-সভাপতি, রংপুর জেলা ছাত্রলীগ।
সাবেক জার্নালিস্ট, ইউনিসেফ।
প্রতিষ্ঠাতা, নীড় (সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন) ।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

সোনাইমুড়ীতে মন্দিরে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Published

on

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আগত পূজাকে কেন্দ্র করে সোনাইমুড়ী পূজা কমিটির কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোনাইমুড়ী বাজারের ব্যবসায়ী ও উপজেলা বিএনপির সদস্য রুবেল ভূইয়া এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

শনিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে এই আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন রুবেল ভূঁইয়া লিখত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে আগত পূজাকে কেন্দ্র করে সোনাইমুড়ী পূজা কমিটির কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে। নোয়াখালী-২৪ নামের একটি অনলাইন ফেসবুক পেইজে প্রচারিত ভিডিওতে সোনাইমুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পার্থ সাহা এই অভিযোগ তুলেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে পূজা কমিটির কাছে চাঁদা নিয়েছি এক লাখ টাকা অথচ এই বিষয়ে মন্দির কমিটির কেউ অবগত নয়।

এসময় রুবেল ভূইয়া ফেসবুক পেইজ নোয়াখালী-২৪ এর একপাক্ষিক সংবাদ প্রচার ও সোনাইমুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পার্থ সাহার কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এসকল মিথ্যা অপপ্রচারের ঘটনায় সকল সাংবাদিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করেন।

এদিকে একই ঘটনায় শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে সোনাইমুড়ি কালিবাড়ি মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা জানান পূজা কমিটির কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হলেও এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পার্থ সাহা চাঁদাবাজির যে অভিযোগ করেছে সেটি মিথ্যা।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পার্থ সাহা তার ব্যক্তিগত কোন্দলকে সাম্প্রদায়িক ঘটনায় রুপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কমিটির নেতৃবৃন্দ পূজাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ ও ব্যক্তিগত ঘটনাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত করে স্বার্থ হাসিল অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান।

সোনাইমুড়ি কালিবাড়ি মন্দিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোনাইমুড়ী উপজেলা হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং পূজা উদযাপন কমিটির সর্বস্তরের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading

Highlights

সুবর্ণচরে বন্যার্তদের মাঝে সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি

Published

on

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ চলমান দেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া। ২৫ আগস্ট রবিবার সুবর্ণচরের স্খানীয় সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন সুমনসহ ৪ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদিন ব্যাপী এ ত্রাণ সামগ্রীর মূল পৃষ্টপোষক হিসেবে রয়েছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত এবং সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার।

সহায়ক ফাউন্ডেশন, কুষ্টিয়া দীর্ঘ বছর ধরেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বেকারত্ব দূরীকরণ, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার ব্যায়ভার গ্রহণ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ নানামুখি সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিগতায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সুবর্ণচরের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন সংবাদ প্রকাশের পর সহায়ক ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদে সূত্রধরে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক তরিক খন্দকারের সার্বিক তত্বাবধানে চলমান বন্যায় গৃহবন্ধী এবং কর্মহীন হয়ে পড়া সুবর্ণচরের বেশ কয়েকটি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সুবর্ণচর উপজেলার জনসাধারণ।

সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত বলেন, মানু্ষ মানুষের জন্য, এমন দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে থাকাটা প্রতিটি বিত্তশালী মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্ব, তিনি দেশের প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, অর্থশালী মানু্ষদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় সব সময় সহায়ক ফাউন্ডেশন পাশে থাকার আশ্বাস দেন জিয়াউল হক তরিক খন্দকার। তিনি বলেন, যে কোন জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Continue Reading

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading