Connect with us

Highlights

২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৪ শ্রমিক নিহত, আহত ১০৩৭ জন

Published

on

২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৪ জন শ্রমিক নিহত এবং ১০৩৭ জন শ্রমিক আহত হন। কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত এবং ১৫৫ জন আহত হন। বিভিন্ন সেক্টরে ১৯৬টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে ১১৫টি শ্রমিক অসন্তোষ ঘটে তৈরি পোশাক খাতে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ- বিলস্ এর সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের উপর ভিত্তি করে “বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মক্ষেত্র পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদপত্র ভিত্তিক বিল্স জরিপ-২০২২” এ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। জরিপে দুর্ঘটনা, নির্যাতন, শ্রম অসন্তোষ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলীর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় (২০২১ এর তুলনায় যা ২% কম), এরমধ্যে ১০২৭ জন (৯৯%) পুরুষ এবং ৭ জন (১%) নারী শ্রমিক। খাত অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ৪৯৯ জন (৪৮%) শ্রমিকের মৃত্যু হয় পরিবহন খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৮ জন (১১%) শ্রমিকের মৃত্যু হয় নির্মাণ খাতে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১২ জন (১১%) শ্রমিকের মৃত্যু হয় কৃষি খাতে। এছাড়া দিনমজুর ৪৬ জন (৫% এর কম), কনটেইনার ডিপোতে ৪৪, মৎস্য ও মৎস্য শ্রমিক ৪৩ জন, ইলেক্ট্রিক শ্রমিক ২২ জন, নৌ-পরিবহন খাতে ১৫ জন, হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ১২ জন, ইটভাটা শ্রমিক ১০ জন, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প শ্রমিক ৭ জন, ক্যামিকেল ফ্যাক্টরী শ্রমিক ৬ জন এবং অন্যান্য খাতে ১০০ জন শ্রমিক নিহত হন।

২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৭ জন শ্রমিক আহত হন, এরমধ্যে ৯৬৪ জন (৯৩%) পুরুষ এবং ৭৩ জন (৭%) নারী শ্রমিক। মৎস্য খাতে সর্বোচ্চ ৫০৩ জন (৪৯%) শ্রমিক আহত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কনটেইনার ডিপোতে ১২৫ জন (১২%) আহত হন। তৃতীয় সর্বোচ্চ তৈরি পোশাক খাতে ৯০ জন (৯%) শ্রমিক আহত হন। এছাড়া পরিবহন খাতে ৮৭ জন (৮%), নির্মাণ খাতে ৮৬ জন (৮%), নৌ পরিবহন খাতে ২৫, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে ২৩ জন, উৎপাদন শিল্পে ১৫ জন, কৃষি শিল্পে ১৫ জন, মেডিসিন ফ্যাক্টরীতে ১২ জন, দিনমজুর ৯জন, স্টিল মিলে ৭ জন এবং অন্যান্য খাতে ৪০ জন শ্রমিক আহত হন।

সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হওয়া, বজ্রপাত, অগ্নিকান্ড, সমুদ্রে ঘুর্নিঝড়ে ট্রলার ডুবি, পড়ন্ত বস্তুর আঘাত, মাথায় কিছু পড়া, বিষাক্ত গ্যাস, নৌ দুর্ঘটনা, দেয়াল/ছাদ ধ্বসে পড়া, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার অন্যতম কারন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৫৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ৫৯৪ জন শ্রমিক। নিহতদের মধ্যে ১০০৩ (৯৫%) জন পুরুষ এবং ৫০ (৫%) জন নারী শ্রমিক ছিলেন। এছাড়া ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় বিভিন্ন খাতে ৭২৯ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ৪৩৩ জন শ্রমিক ।

জরিপ অনুযায়ী ২০২২ সালে কর্মস্থলে আসা যাওয়ার পথে ৩৬ জন শ্রমিক নিহত এবং ১২২ জন শ্রমিক আহত হন। নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ১৩ জন (৩৬%) নারী শ্রমিক এবং আহত শ্রমিকদের মধ্যে ৫৩ জন (৪৩%) নারী শ্রমিক ছিলেন। উল্লেখ্য ২০২১ সালে কর্মস্থলে আসা যাওয়ার পথে ৯১ জন শ্রমিক নিহত এবং ১১৪ জন শ্রমিক আহত হন।

সংবাদপত্র ভিত্তিক জরিপ অনুযায়ী ২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হন ৩৩৮ জন শ্রমিক। এরমধ্যে ২৯৪ জন (৮৭%) পুরুষ এবং ৪৪ জন (১৩%) নারী শ্রমিক। ৩৩৮ জনের মধ্যে ১৩৫ জন নিহত, ১৫৫ জন আহত, ৩৪ জন নিখোঁজ, ১ জনের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয় এবং অপহৃত ১৩ জনকে পরবর্তীতে উদ্ধার করে পুলিশ। অপহৃতদের মধ্যে ১০জন মৎস্য শ্রমিক এবং তিনজন ইটভাটা শ্রমিক ছিলেন।

সবচেয়ে বেশি ৯০ জন (২৭%) শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন পরিবহন সেক্টরে, যার মধ্যে ৬৪ জন নিহত, ২৬ জন আহত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ জন (২০%) শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন মৎস্য খাতে, যার মধ্যে ৪ জন নিহত, ২২ জন আহত, ৩০ জন নিখোঁজ এবং ১০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে পুলিশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ জন (১০%) গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন, যার মধ্যে ১২ জন নিহত, ২০ জন আহত, ১ জনের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ৩৩ জন গণমাধ্যমকর্মী নির্যাতনের শিকার হন, যার মধ্যে ১জন নিহত এবং ৩২জন আহত হন। ২৯জন নিরাপত্তা কর্মী নির্যাতনের শিকার হন, যার মধ্যে ১০ জন নিহত এবং ১৯জন আহত হন। কৃষি খাতে ২৫জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন, যার মধ্যে ১৮জন নিহত, ৬জন আহত এবং ১ জন নিখোঁজ হন।

কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে, শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, ছুরিকাঘাত, খুন, রহস্যজনক মৃত্যু, অপহরণ, মারধর ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হন ২৮৬ জন শ্রমিক। এরমধ্যে ২৩২ জন পুরুষ এবং ৫৪ জন নারী শ্রমিক। ২৮৬ জনের মধ্যে ১৪৭ জন নিহত, ১২৫ জন আহত, ৬ জন নিখোঁজ, ২ জনের ক্ষেত্রে আত্মহত্যা, অপহৃত ৫ জনকে উদ্ধার এবং ১ জনের ক্ষেত্রে নির্যাতনের ধরণ উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া, ২০২০ সালে ২৩২ জন শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হন।

জরিপ অনুযায়ী ২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রের বাহিরে নির্যাতনের শিকার হন ৩৩০ জন শ্রমিক। এরমধ্যে ২১৩ জন নিহত, ৭৪ জন আহত, ১ জন নিখোঁজ, ৪২ জনের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। ৩৩০ জনের মধ্যে ২৫২ জন (৭৬%) পুরুষ এবং ৭৮ জন (২৪%) নারী শ্রমিক।

কর্মক্ষেত্রের বাহিরে সবচেয়ে বেশি ৮৫ জন (২৬%) শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিক, যার মধ্যে ৪০ জন নিহত, ৩৪ জন আহত, ১জন নিখোঁজ, ১০ জনের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ জন (১৮%) শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন কৃষি খাতে, যার মধ্যে ৪৩ জন নিহত, ৮ জন আহত এবং ৭জন আত্মহত্যা করেন। তৃতীয় সবোচ্চ ৪৬ জন (১৪%) শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন পরিবহন সেক্টরে, যারমধ্যে ৩৪ জন নিহত, ৭ জন আহত, ৫ জন আত্মহত্যা করেন। এছাড়া নির্মাণ খাতে ২১ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন, যার মধ্যে ১৬জন নিহত, ২ জন আহত এবং ৩জন আত্মহত্যা করেন। ১৪ জন দিনমজুর নির্যাতনের শিকার হন, যারমধ্যে ৮জন নিহত, ৩জন আহত এবং ৩ জন আত্মহত্যা করেন।

কর্মক্ষেত্রের বাহিরে নির্যাতনের ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে, শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যৌন হয়রানি, ছুরিকাঘাত, খুন, রহস্যজনক মৃত্যু, অপহরণ, মারধর ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ৩০০ জন শ্রমিক কর্মক্ষেত্রের বাহিরে নির্যাতনের শিকার হন। এরমধ্যে ১৯১ জন নিহত, ৭০ জন আহত, ৩ জন নিখোঁজ, ২৬ জনের ক্ষেত্রে আত্মহত্যা, অপহৃত ৮ জনকে উদ্ধার এবং ২ জনের ক্ষেত্রে নির্যাতনের ধরণ উল্লেখ করা হয়নি। ৩০০ জনের মধ্যে ২১৫ জন পুরুষ এবং ৮৫ জন নারী শ্রমিক ছিলেন। এছাড়া ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রের বাহিরে ৩৬৪ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হন।

২০২২ সালে বিভিন্ন সেক্টরে সবমিলিয়ে ১৯৬টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি ১১৫টি (৭৯%) শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে তৈরি পোশাক খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫টি (৮%) শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে বিড়ি শিল্পে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪টি (৭%) শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে পাট শিল্পে। এছাড়া পরিবহনে ১১টি, টেক্সটাইল শিল্পে ১০টি, হোটেল রেস্টুরেন্ট খাতে ৫টি, রেলওয়ে’তে ৪টি এবং অন্যান্য খাতে ২২টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে।

জরিপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৮৯টি (৪৫%) শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে বকেয়া বেতনের দাবিতে। এছাড়া দাবি আদায়ে ৪০টি (২০%), বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৯টি (১০%), বেতন বাড়ানোর দাবিতে ১১টি (৬%), লে-অফের কারণে ৭টি, বোনাসের দাবিতে ৬টি এবং অন্যান্য দাবিতে ২৪টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে।

আন্দোলন করতে গিয়ে এসময় ১০জন শ্রমিক আহত হন। আহতদের মধ্যে ৭ পুরুষ এবং ৩ জন নারী শ্রমিক ছিলেন। আহতদের মধ্যে সবাই টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক ছিলেন।

শ্রমিক অসন্তোষের ধরণগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিক্ষোভ (১০৪টি, ৫৩%), মহাসড়ক অবরোধ (৩৫টি, ১৮%), মানববন্ধন (১২টি, ৬%)), ঘর্মঘট (৯টি, ৫%), কর্মবিরতি (৮টি, ৫%), অনশন (৫টি), স্মারকলিপি প্রদান, র‌্যালি ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিভিন্ন সেক্টরে সবমিলিয়ে ৪৩১টি শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি ১৭২টি শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটে তৈরি পোশাক খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০টি শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটে পরিবহন খাতে। এছাড়া ২০২০ সালে বিভিন্ন সেক্টরে সবমিলিয়ে ৫৯৩টি শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটে।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

সোনাইমুড়ীতে মন্দিরে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Published

on

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আগত পূজাকে কেন্দ্র করে সোনাইমুড়ী পূজা কমিটির কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোনাইমুড়ী বাজারের ব্যবসায়ী ও উপজেলা বিএনপির সদস্য রুবেল ভূইয়া এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

শনিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে এই আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন রুবেল ভূঁইয়া লিখত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে আগত পূজাকে কেন্দ্র করে সোনাইমুড়ী পূজা কমিটির কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে। নোয়াখালী-২৪ নামের একটি অনলাইন ফেসবুক পেইজে প্রচারিত ভিডিওতে সোনাইমুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পার্থ সাহা এই অভিযোগ তুলেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে পূজা কমিটির কাছে চাঁদা নিয়েছি এক লাখ টাকা অথচ এই বিষয়ে মন্দির কমিটির কেউ অবগত নয়।

এসময় রুবেল ভূইয়া ফেসবুক পেইজ নোয়াখালী-২৪ এর একপাক্ষিক সংবাদ প্রচার ও সোনাইমুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পার্থ সাহার কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এসকল মিথ্যা অপপ্রচারের ঘটনায় সকল সাংবাদিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করেন।

এদিকে একই ঘটনায় শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে সোনাইমুড়ি কালিবাড়ি মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা জানান পূজা কমিটির কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হলেও এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পার্থ সাহা চাঁদাবাজির যে অভিযোগ করেছে সেটি মিথ্যা।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পার্থ সাহা তার ব্যক্তিগত কোন্দলকে সাম্প্রদায়িক ঘটনায় রুপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কমিটির নেতৃবৃন্দ পূজাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ ও ব্যক্তিগত ঘটনাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত করে স্বার্থ হাসিল অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান।

সোনাইমুড়ি কালিবাড়ি মন্দিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোনাইমুড়ী উপজেলা হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং পূজা উদযাপন কমিটির সর্বস্তরের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading

Highlights

সুবর্ণচরে বন্যার্তদের মাঝে সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি

Published

on

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ চলমান দেশে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া। ২৫ আগস্ট রবিবার সুবর্ণচরের স্খানীয় সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন সুমনসহ ৪ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদিন ব্যাপী এ ত্রাণ সামগ্রীর মূল পৃষ্টপোষক হিসেবে রয়েছেন সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত এবং সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার।

সহায়ক ফাউন্ডেশন, কুষ্টিয়া দীর্ঘ বছর ধরেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বেকারত্ব দূরীকরণ, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার ব্যায়ভার গ্রহণ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ নানামুখি সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিগতায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। সুবর্ণচরের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন সংবাদ প্রকাশের পর সহায়ক ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদে সূত্রধরে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক তরিক খন্দকারের সার্বিক তত্বাবধানে চলমান বন্যায় গৃহবন্ধী এবং কর্মহীন হয়ে পড়া সুবর্ণচরের বেশ কয়েকটি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সুবর্ণচর উপজেলার জনসাধারণ।

সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী শান্ত বলেন, মানু্ষ মানুষের জন্য, এমন দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে থাকাটা প্রতিটি বিত্তশালী মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্ব, তিনি দেশের প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, অর্থশালী মানু্ষদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলা করার অনুরোধ জানান। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় সব সময় সহায়ক ফাউন্ডেশন পাশে থাকার আশ্বাস দেন জিয়াউল হক তরিক খন্দকার। তিনি বলেন, যে কোন জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Continue Reading

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading