আজ জননী সাহসিকা, কবি ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সুফিয়া কামালের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে। কবির জীবন ও আদর্শ এবং তাঁর অমর সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।’ বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি; অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁর দৃপ্ত পদচারণ। তাঁর সৃজনশীলতা অবিস্মরণীয়।’
১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদ গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সুফিয়া কামাল। বাবা সৈয়দ আবদুল বারী পেশায় ছিলেন আইনজীবী। সুফিয়ার সাত বছর বয়সে তাঁর বাবা গৃহত্যাগ করেন। মা সৈয়দা সাবেরা খাতুনের স্নেহস্পর্শে তিনি বড় হতে থাকেন। ১৯১৮ সালে তিনি মায়ের সঙ্গে কলকাতায় যান। সেখানে থাকার সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও বেগম রোকেয়ার মতো দিকপালদের সান্নিধ্য পান।
বরেণ্য এই কবির জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ জুন মহিলা পরিষদের আয়োজনে স্মারক বক্তৃতা, সম্মাননা পদক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।