Connect with us

জাতীয়

আজ থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৮

Published

on

‘খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেে আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৮।

পুষ্টি বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও পুষ্টি উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে অভীষ্ঠ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর পর এবছর পালিত হচ্ছে পুষ্টি সপ্তাহ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই সপ্তাহ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় পুষ্টিনীতি ২০১৫’-কে অনুসরণ করে ‘দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা (২০১৬- ২০২৫)’- এ জীবনচক্রব্যাপী পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে আছে ভ্রূণ অবস্থা থেকে শুরু করে শিশুর ২৩ মাস বয়স পর্যন্ত শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, বয়স্ক জনগোষ্ঠী, শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।

প্রাক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের অপুষ্টির বিষয়টিও এই জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশের সবচেয়ে দুস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ যাদের দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে, যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার এবং যারা অতি প্রান্তিক এলাকায় বসবাস করে তাদেরও পুষ্টি নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও যক্ষ্মা ও এইচআইভি ও এইডস রোগী এবং অপুষ্টিতে আক্রান্ত অন্যান্য জনগোষ্ঠীও অগ্রাধিকার পাবে।

২০২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অপুষ্টি হ্রাস করতে ‘জাতীয় পুষ্টিনীতি ২০১৫’ ও অন্যান্য নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুসরণ করে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনায় (২০১৬-২০২৫) কয়েকটি সূচক ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিশুর জন্মের প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৮০%-এ উন্নীত করা, ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বাড়িয়ে ৭০%-এ উন্নীত করা, ২০ থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো অব্যাহত রাখার হার ৯৫% করা, ৬-২৩ মাস বয়সী শিশুদের ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাবার গ্রহণের হার বাড়িয়ে ৪০%-এর বেশি করা, কম জন্ম ওজনের হার কমিয়ে ১৬% করা, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের খর্বাকৃতির হার কমিয়ে ২৫% করা, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে কৃশকায়তার হার কমিয়ে ৮% করা, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে কম ওজনের হার কমিয়ে ১৫% করা, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মারাত্মক তীব্র অপুষ্টির হার কমিয়ে ১%-এর নিচে আনা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসের (এনএনএস) ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ আমান উল্লাহ বলেন, এসব অভীষ্ঠ অর্জনের লক্ষ্য নিয়েই এবার ১৯ বছর পর দ্বিতীয়বার ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৮’ পালন করা হচ্ছে।

তিনি জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২৩ এপ্রিল থেক ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের প্রথম দিনে পাশাপাশি মেলা ও র‌্যালির আয়োজন করা হবে। দ্বিতীয় দিনে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, তৃতীয় দিনে ৫ বছরের নিচে সব শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, চতুর্থ দিনে কিশোরী ও স্কুল পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, পঞ্চম দিনে বৃদ্ধদের পুষ্টি, ওয়াটার, স্যানিটেশন ও হাইজিন নিশ্চিতকরণ, ষষ্ঠদিনে বহুপাক্ষিক অবহিতকরণ ও সমন্বয় এবং সমাপনী দিনে পুষ্টি বিষয়ে রচনা, বিতর্ক প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পুষ্টি ক্ষেত্রে বিগত ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১ শতাংশ হারে ৫ বছরের নিচের শিশুদের খর্বতা হ্রাস পেয়েছে। শিশুদের জন্য ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনের সাফল্যের কারনে এখন আর রাতকানা রোগ দৃশ্যমান নয়।

মোহাম্মদ আমান উল্লাহ জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে শূণ্য থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের ওজন পরিবীবক্ষণ ও কাউন্সেলিং-এর জন্য ‘গ্রোথ মনিটরিং অ্যান্ড প্রোমোশন কার্ড’ (জিএমপি) কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। মারাত্মক অপুষ্ট শিশুদের জন্য ২০২টি জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘স্যাম’ কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি, শিশুদের পুষ্টি সেবার জন্য ৪২৪ টি জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘আইএমসিআই ও পুষ্টি কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে।

একই সময়ে নারীদের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ৪৮ কোটি আয়রন ট্যাবলেট বিতরন করা হয়েছে। পুষ্টি ও অন্যান্য অনুপুষ্টি বিষয়ে ৩৮ হাজার ৫৪১জন চিকিৎসক ও নার্সকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিমতেলবীজের উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি খাদ্য বিতরনে অনুপুষ্টি সমৃদ্ধ চাল বরাদ্দ করা হচ্ছে।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

রাজনীতি করতে না চাওয়া সাকিব কিনলেন আ.লীগের মনোনয়ন!

Published

on

খেলা ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্বাচনে অংশগ্রহণে তার আগ্রহের বিষয়টি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। যা মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে। এরপরই একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সাকিবের। ২০১৩ সালে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘জীবনেও রাজনীতি করব না।’

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার খবর প্রকাশ হতেই সেই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করছেন। কেউবা সে পোস্টের কমেন্টবক্সে সাকিবের সমালোচনায় মেতেছেন। এর আগে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাকিবের পক্ষে ফরমগুলো সংগ্রহ করা হয়। আসনগুলো হলো— ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২।

মূলত মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন সাকিব। যা তার আগের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই অনেকেই বিষয়টি নতুন করে সামনে নিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.১৪ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই।’

ওই সময় সাকিব বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরই তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনার ডালপালা মেলে। তখন নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সাকিব ওই স্ট্যাটাস দেন। তবে এক দশকের বেশি সময় পর নিজের অবস্থান বদলাতে দেখা গেলো তাকে।

ফেসবুক পোস্টে সাকিব আরও লিখেন, ‘আমাকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে দিন। আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই। আমাকে বোর্ড সভাপতি (পাপন) অনুরোধ করায় আমি ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে রাজনীতি নিয়ে একটি শব্দও বলিনি। তাই সবাইকে বলব যে– আমাদের মিডিয়াকে বিশ্বাস করবেন না। আশা করি নিজের বিষয়টা পরিষ্কার করতে পেরেছি।’

এর আগে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সাকিব নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। ওই সময় সাকিব না পারলেও, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে সাকিবও নির্বাচনে যাবেন বলে অনেকদিন ধরেই জোর শোরগোল চলছিল। এশিয়া কাপ চলাকালে অনেকটা হুট করে সাকিব দল রেখে দেশে চলে আসেন। ওই সময় নির্বাচনী কাজেই সাকিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন বলে আলোচনা রয়েছে!

Continue Reading

Highlights

উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সেইসঙ্গে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে আমাদের সরকারের আমলে। আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি।

আজ রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়গুলো আমি সম্মেলনে তুলে ধরেছি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে শেষে গত রোববার তিনি দেশে ফিরেছেন।

Continue Reading

Highlights

সারা দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু সাড়ে ৫০০ ছাড়াল

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আটজন প্রাণ হারিয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এডিস মশাবাহিত এই রোগে ৫৫৬ জন মারা গেল। এ সময়ে নতুন করে আরো দুই হাজার ৩৩১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৮৪২ জনে।

আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুই হাজার ৩৩১ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯১৮ জন, আর ঢাকার বাইরের এক হাজার ৪১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ছয়জন ঢাকা সিটির এবং দুজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

এতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ৪১০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৯৪৪ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে এক হাজার ৪৬৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে মোট আট হাজার ২১২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঢাকা সিটিতে তিন হাজার ৯১৩ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) চার হাজার ২৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে।

Continue Reading