নাইজেরিয়ানরা ছাড়া সম্ভবত আর কেউ চায় না বুধবারই রাশিয়া থেকে দেশে ফেরার বিমান ধরুক মেসিরা। কিন্তু সারা বিশ্বের না চাওয়াকে চাওয়ায় রূপান্তরিত করতে পারে ‘সুপার ঈগলস’। যদিও বিশ্বকাপে চারবারের সাক্ষাতে এখনও পর্যন্ত নাইজেরিয়ার কাছে হারের মুখ দেখেনি আর্জেন্টিনা। তবে গত বছর নাইজেরিয়ার সঙ্গে শেষ সাক্ষাতে ০-৪ গোলে হার হজম করেছে তারা।
মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখলেই মেঘমুক্ত হবে আর্জেন্টিনার আকাশ। চাপমুক্ত হবেন মেসিরা। রাস্তা কঠিন হলেও অসাধ্য নয় দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে। আর্জেন্টাইন কোচ সাম্পাওলি অবশ্য এই ম্যাচকে বিশ্বকাপের ফাইনাল হিসেবে দেখছেন।
সাম্পাওলি বলেন, পাঁচটা ম্যাচ জিতলেই আমরা ফাইনালে পৌঁছতে পারব। মঙ্গলবারের ম্যাচটা আমাদের প্রথম ফাইনাল। প্রতিপক্ষ কার তা নিয়ে ভাবছি না। কারণ আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই। নিশ্চিত আমরা সেটা পারব। মঙ্গলবারে বিশ্বকাপে অন্য আর্জেন্টিনাকে দেখা যাবে।
কারণটা আর কিছুই নয়, রাশিয়া বিশ্বকাপে দুঃস্বপ্নের শুরু হয়েছে মেসিদের। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ০-৩ গোল নাস্তানাবুদ হয় আর্জেন্টিনা। ফলে শেষ ষোলোয় যেতে রাশিয়া বিশ্বকাপে জয়ের মুখ দেখতেই হবে মেসিদের। না-হলে ২০০২-এর পর ফের গ্রুপ পর্বেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।