হারের শঙ্কা পেয়ে বসলেও শেষ পর্যন্ত ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ড্রই করল কিউইরা। জয়ের আশা জাগিয়েও ম্যাচটা জিততে না পারা ইংলিশদের জন্য তো হতাশারই। অথচ চা বিরতির আগে অধিনায়ক জো রুট যখন নতুন বল হাতে নিলেন, তখন ৪ উইকেট হাতে রেখে হারই দেখছিল নিউজিল্যান্ড। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের বাকি ৩ উইকেট পড়ে যাওয়া মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার, কিন্তু সোধি আর ওয়াগনার দারুণভাবেই লড়ে গেলেন। ১৮৮ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়ে ইংলিশদের করলেন জয়বঞ্চিত। এই ড্রয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতল ১-০ ব্যবধানে। অকল্যান্ডের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড হেরেছিল ইনিংস ও ৪৯ রানে। ১৯৯৯ সালের পর ঘরের মাঠে এই প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় নিউজিল্যান্ডের। ঘরের বাইরে ইদানীং খুব বাজে সময়ই যাচ্ছে জো রুটের দলের। বিদেশে সর্বশেষ ১৩ টেস্টের একটিতেও জেতেনি তারা।
৩৪০ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। আলোর অভাবে ৮ বল আগে খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৫৬। ওপেনার টম ল্যাথাম ২৮২ মিনিট ব্যাটিং করে ২০৭ বলে ৮৩ রান করেন। তবে জিৎ রাভাল, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরদের ব্যর্থতায় দ্রুতই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যে পড়েছিল কিউইরা। তবে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও ইশ সোধির দুটি ছোট্ট অথচ কার্যকর ইনিংস মান বাঁচায় তাদের। গ্র্যান্ডহোম ৯৭ বলে ৪৫ রান করেন ১৩৭ মিনিট ব্যাটিং করে। সোধি তো ছিলেন অনন্য। দারুণ একটা ফিফটি করেন (৫৬) ১৬৮ বলের মোকাবিলায় ২০০ মিনিট ব্যাটিং করে। ওয়াটলিংয়ের সঙ্গে তাঁর জুটিটা তো জয় ছিনিয়ে আনার মতোই।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড, জ্যাক উড ও মার্ক লিঞ্চের। একটি করে পেয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন ও জো রুট।