মিজান,কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের কাউনিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হলেও ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী লড়ছেন ভোটের লড়াইয়ে। ইতোমধ্যে ৭ জন প্রার্থীই তাদের প্রতিক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন।
কাউনিয়ায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিল্পপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া এবং জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে উপজেলা আহবায়ক এ্যাডভোকেট শাহীন সরকার মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু জাপা প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তার মনোনয়নটি বাতিল হয়। ফলে প্রাথমিক ভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আনোয়ারুল ইসলাম মায়াকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষনা করেন সংশ্লিষ্ট রিটানিং কর্মকর্তা।
২টি থানা ও ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কাউনিয়া উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ১’শ ৬৪ জন, এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৪ হাজার ২’শ ১০ জন, আর নারী ভোটার রয়েছে ৮৮ হাজার ৯’শ ৫৪ জন।
উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর কাউনিয়ায় প্রথম ও দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন জাতীয় পার্টির আবুল মনসুর সরকার, তৃতীয় নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আ.লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মায়া এবং চতুর্থ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে জয়লাভ করেন বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহাফুজার রহমান মিঠু। আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আনোয়ারুল ইসলাম মায়া।
চেয়ারম্যান পদে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউনিয়ায় গতবারের বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যানের অংশগ্রহণ না করা এবং প্রতিদ্বন্দ্বি জাপা প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচনী প্রচারণায় ক্ষমতাসীনদের মাঝে উল্লাস দেখা গেলেও বিরোধীরা ফেলছেন দীর্ঘশ্বাস।
এদিকে কাউনিয়ার ভোটাররা চেয়ারম্যান পদে ভোটের স্বাদ না পেলেও ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক (টিউবওয়েল প্রতীক), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (চশমা প্রতিক) ও হারাগাছ পৌর আ.লীগের সভাপতি সামিউল আলম শিমু (উড়োজাহাজ প্রতিক) নিয়ে এলাকায় জোরে সোড়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পদে অপর দুই প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান ও রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে তারা ভোটের লড়াইয়ে ফিরতে আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে তারা হাইকোর্টে আপিল করেছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী খাতুন (কলস প্রতিক), আঙ্গুরা বেগম (ফুটবল প্রতিক) রওশনারা বেগম (হাঁস প্রতিক) ও সংকরী রাণী (প্রজাপতি প্রতিক) নিয়ে উপজেলার সর্বত্র ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
নির্বাচনে জয় পরাজয় যাই হোক আশা আছে সবার। তাই কেউই এখন নিরাশ নয়। অন্যদিকে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, যোগ্য দেখে পক্ষ নেব তবে জয় যারই হোক ভোট হতে হবে নিরপেক্ষ। আর এ দাবী সবার।