বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখনও দুর্বল হয়নি। আগের মতোই বিপজ্জনক রয়েছে ভাইরাসটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তড়িঘড়ি লকডাউন তুলে নেয়ার তোড়জোড়ের সময় এই সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সম্প্রতি ইটালির এক প্রথম সারির চিকিৎসক দাবি করেন, সে দেশে আর করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব নেই। ভাইরাসটির মারণ ক্ষমতা এখন আগের তুলনায় অনেকটা কম। তাছাড়া আগের তুলনায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে।
অ্যালবার্টো জাংগ্রিল নামের ওই চিকিৎসকের দাবি, ‘ইতালিতে এই ভাইরাসের আর অস্তিত্ব নেই। শেষ দশদিন যে লালারসের নমুনা আমরা পেয়েছি, তাতে দেখা যাচ্ছে দু’মাস আগের তুলনায় ভাইরাসটির পরিমাণ নেহাতই নগণ্য।’
চিকিৎসকের এই দাবিতে শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বের চিকিৎসক মহলে। যার প্রেক্ষিতে এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করতে বাধ্য হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমবার সংস্থার জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা মাইকেল রায়ান বলেন, ‘আমাদের আরও গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। এটা একটা মারাত্মক ভাইরাস। ভাইরাসটি হঠাৎ স্বেচ্ছায় শক্তিক্ষয় করে আগের তুলনায় দুর্বল হয়ে গেছে এবং আগের থেকে কম মারাত্মক হয়ে গেছে, এই ধরনের চিন্তাভাবনা একেবারেই ঠিক নয়।’
ডব্লিউএইচও মনে করছে, কেবল গোটা বিশ্ব নয়, ইতালিতেও করোনাভাইরাস আগের মতোই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ডব্লিউএইচও আগেই জানিয়েছিল, লকডাউন শিথিল করার ক্ষেত্রে ‘চূড়ান্ত নজরদারি’জরুরি। একই সঙ্গে সংস্থাটি তাড়াহুড়ো করে বিধিনিষেধ শিথিল না করারও পরামর্শ দিয়েছিল। পাশপাশি লকডাউন তোলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন না করলে ফের দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে করোনা।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে ইটালিসহ গোটা ইউরোপেই আগের তুলনায় করোনার প্রভাব খানিকটা কম। এবং সেকারণেই ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে গোটা ইউরোপ।