মিজান,কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ
রংপুরের কাউনিয়ায় নেশার টাকা যোগাতে বৃদ্ধা মায়ের গরু চুরি করলো মাদকাসক্ত ছেলে রঞ্জু মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় নেশাগ্রস্ত ছেলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মা এন্তাজন বেগম (৭০)।
অভিযোগের সূত্রমতে, উপজেলার হলদীবাড়ী গ্রামে মৃত আব্দুর রহমান ও এন্তাজন বেগমের ছেলে তিন সন্তানের জনক রঞ্জু মিয়া একজন নিয়মিত মাদকসেবী। ইতোমধ্যে সে নেশার টাকা যোগান দিতে জমা-জমি বিক্রি করা ছাড়াও ঘরের আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। একটি চোখ নেই তবুও জীবিকার তাগিদে মা এন্তাজন এ বয়সে ভিক্ষা করে কখনও বা অন্যের কাজ করে এমনকি ইটের খোয়া ভেঙ্গে সংসার চালিয়ে আসছেন। এর একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মাদকসেবী রঞ্জু তার বৃদ্ধা মায়ের শেষ সম্বল একটি গাভীন গরু চুরি করে তকিপল হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে বৃদ্ধা মা এন্তাজন হাটে এসে তার ছেলেকে গরুটি বিক্রি করতে বাধাঁ দেন। কিন্তু দাপুটে ছেলে রঞ্জুর কৌশলে পাত্তাই পায়নি বৃদ্ধা মা। এ সময় তার আহাজারীতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে কাউনিয়া থানায় জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও ততক্ষনে গরুটি নিয়ে চম্পট দেয় মাদকাসক্ত রঞ্জু। এ ঘটনায় মাদকসেবী রঞ্জু মিয়ার বিরুদ্ধে ওই দিনই কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধা মা এন্তাজন বেগম।
তকিপল হাটে তদারকির দায়িত্বে থাকা দুদু মিয়া জানান, গরুটি হাটে বিক্রির দর দামের সময় ছেলেটির কথায় গড়মিল ছিলো। এমতবস্থায় ওই ছেলের মা এসে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলে বিষয়টি জানতে পেরে গরুটি ছেলেটির মায়ের কাছে দেয়া হয়েছে। ওই বৃদ্ধার গরুটি হাটে বিক্রি হয়নি।
এ দিকে উপস্থিত ঘটনাটি জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ গরুটি অনেক খোজাখুজি করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম। তবে তিনি স্থানীয় এক কসাইয়ের বরাত দিয়ে বলেন, গরুটি এলাকার গরু ব্যবসায়ীদের আওতায় থাকতে পারে। অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এ সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম জানান, গরুটি উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।