কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ
কাউনিয়ার টেপামধুপুর হাটে গত প্রায় ৩ বছর আগে মহিলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অজ্ঞাত কারণে তা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে।
সরেজমিনে টেপামধুপুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের টেপামধুপুর হাটে মহিলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অজ্ঞাত কারণে দোকান গুলো বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। ফলে দোকানের জন্য আবেদনকারীরা দোকান না পাওয়ার কোন কারণ জানতে পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধি আলামিন জানান, সে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালায়। ভিক্ষাবৃত্তি ভাল কাজ নয় তাই সে এ পেশা ছেড়ে ব্যবসা বানিজ্য করে বাঁচতে চায়। সেই কারণে সে টেপামধুপুর হাটে মহিলা মার্কেটে তার স্ত্রীর নামে একটি দোকান ঘর বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। আবেদন করার পর দুই বছর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস ঘুরতে ঘুরতে সে এখন ক্লান্ত।
উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আলম জানান, টেপামধুপুর হাটে নবিদেপ প্রকল্পের আওতায় হাট উন্নয়নের জন্য ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ৯শ’ ৯৯ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই প্রকল্পে মহিলা মার্কেট নির্মাণের কাজ ছিল। তিনি জানান, বরাদ্দের আবেদন হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি উপজেলা কমিটির কাছে পাঠাবে এবং উপজেলা কমিটি তা যাচাই বাছাই করে বরাদ্দ দিবেন।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শেষ করে প্রায় ২ বছর আগে তা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিলেও সেই মার্কেট আজ পর্যন্ত কেন বরাদ্দ দিয়ে চালু করা হচ্ছে না তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দোকান ঘর গুলো বরাদ্দ না দেয়ায় একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের পথরুদ্ধ হয়ে আছে। এ নিয়ে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় বেশ কয়েকবার আলোচনা হলে নির্বাহী অফিসার এসএম নাজিয়া সুলতানা বলেছিলেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত তা হয়নি। অপরদিকে হাটের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য এবং আলামিনের ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে টেপামধুপুর হাটে মহিলা মার্কেটের দোকান গুলো দ্রুত বরাদ্দ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন আবেদনকারীসহ এলাকাবাসী।