আন্তর্জাতিক

কাতার-সৌদি আরবের দ্বন্দ্বে নতুন রূপ

Published

on

এক বছর ধরে চলা কাতার-সৌদি আরবের মধ্যকার কূটনৈতিক লড়াই নতুন রূপ নিয়েছে । নতুন অস্ত্র হিসেবে যোগ হয়েছে ইন্টারনেট বট (ওয়েব রোবট), ভুয়া সংবাদ ও হ্যাকিং। গত বছরের ২৪ মে কাতারের সরকারি বার্তা সংস্থা কিউএনএ জানায়, কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি একটি বিস্ময়কর বক্তব্য দিয়েছেন।

পরে ওই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবেও প্রচার হতে থাকে। ওই বক্তব্যে কাতারের আমীর ইসলামপন্থী গ্রুপ হামাস, হেজবুল্লাহ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রশংসা করছিলেন।

কিন্তু কিছুক্ষণ পর রিপোর্টটি কিউএনএ’র ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যায়। কাতারের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতি দিয়ে এ ধরনের বক্তব্যের কথা প্রত্যাখ্যান করে। কাতারের দাবি, কিউএনএ’র ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে।

এজন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করে কাতার। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওয়াশিংটন পোস্ট, সৌদি ও আমিরাতের মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল আল আরাবিয়া ও স্কাই নিউজ আরাবিয়া প্রচার শুরু করে।

তারা কাতারকে জঙ্গিদের অর্থায়ন ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য অভিযুক্ত করতে থাকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল ওতাইবার ই-মেইল হ্যাক হয়।

২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিসরসহ ৯ দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সৌদি জোটের এমন পদক্ষেপকে একাধিক টুইট বার্তায় স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তার এমন বক্তব্য টুইটারে প্রোপাগান্ডা যুদ্ধকে উসকে দেয় এবং হ্যাশট্যাগ দিয়ে কাতারের পক্ষে-বিপক্ষে সয়লাব হয়ে যায় টুইটার।

বটসের যুদ্ধ : কাতারের পক্ষ থেকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘তামিম দ্য গ্লোরিয়াস’ বা ‘কাতার একা নয়’ এমন বার্তা টুইটারে উপসাগরীয় অঞ্চলের হোমপেজে ভেসে আসতে থাকে। অন্যদিকে, সৌদি ও আরব আমিরাত শেখ তামিমকে ‘উপসাগরের গাদ্দাফি’ হিসেবে অভিযুক্ত করে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version