চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এক প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। তবে অনগ্রসর ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য অন্য পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্জিত শিক্ষা ব্যবহার হওয়ার কথা গঠনমূলক কাজে। কিন্তু এখন ব্যবহার হচ্ছে গুজব ছড়ানোর কাজে। সেদিন এক ছাত্রের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হলো, তখন ছাত্রীরাও হলের গেট ভেঙে বেরিয়ে আসে। সেদিন কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়িত্ব কে নিতো? সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা হলো ভিসির বাড়িতে আক্রমণ। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে এই দেশ স্বাধীন করেছি, এতদূর এনেছি। কিন্তু কখনো ভিসির বাড়িতে হামলা হতে পারে কেউ চিন্তাও করতে পারে না। সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। ভিসির ওপর আঘাত করতে চেয়েছে। একতলা-দোতলা সব তছনছ করে দিয়েছে। ক্যামেরা সরিয়ে নিয়ে গেছে। কতো পরিকল্পিত। এই হামলার নিন্দা জানাই, যারা এ হামলা করেছে, তারা ছাত্র বলে বিশ্বাস করি না।
৩৩ তম বিসিএস-এ ৭৭ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে সে তথ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বুঝতেই পারছি না, কোটার সংস্কারতো সেই কবে থেকেই হয়েছে। তা না হলে বিসিএসগুলোয় মেধার ভিত্তিতে এত নিয়োগ হতো না।
তিনি বলেন, যেখানে কোটায় পাওয়া যায় না, সেখানে মেধার তালিকা থেকে আসে, সে চর্চা আগে থেকেই চলছে। এ নিয়ে সমালোচনাকারীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক শিক্ষকও বিষয়টি জানেন না, তারা জানার চেষ্টাও করেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনগ্রসর যারা তারা যেন বঞ্চিত না হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যারা তারাও যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে আমরা অন্য ব্যবস্থা নেবো।