জাতীয় ক্রিকেট দলের অল-রাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবিসহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন মামলা দায়ের করেছেন।
আজ রবিবার ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আপিল আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় সৈকত ও তার মা হোসনে আরা বেগমকে আসামী করা হয়েছে। যার এক নম্বর সাক্ষী সামিয়ার বড় ভাই মোজাম্মেল কবির।
মামলা বিষয়ে সৈকত বলেছেন, ‘আমি শুনেছি মামলা হয়েছে। যতটা জানি আমার স্ত্রী ও তার পরিবার আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছে কোর্টে। আমি একটু অবাক হয়েছি যে ডিভোর্স হওয়ার পরও কেন তারা এ মামলা করছে তা নিয়ে। কারণ আমি তো কাবিননামা অনুসারে আমার স্ত্রীকে ভরণপোষণের সব টাকা দিতে রাজি আছি। আরেকটি বিষয় হল আমার যে অর্থিক অবস্থা তাতে করে স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি মনে করি এটি আমাকে হয়রানি করার জন্যই এই মামলা।’
যৌতুকের বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে এই তরুণ অল-রাউন্ডার বলেন, ‘দেখেন আমি দরিদ্র নই। আমার পক্ষে যৌতুক চাওয়া সম্ভব নয়। আর আমাদের তো ডিভোর্সও হয়ে গেছে। আমিতো কখনো বলিনি যে তাকে প্রাপ্য টাকা দেব না। এরপরও যেহেতু মামলা হয়েছে তাই বলতে হচ্ছে এটির পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। আর সেটি কি আমি সঠিক বুঝতে পারছি না। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও আমার সম্মান নষ্ট করতেই এমনটি করছে আমার স্ত্রীর পরিবার।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর পারিবারিকভাবে মোসাদ্দেকের সঙ্গে তার আপন খালাত বোন সামিয়া শারমিন সামিয়ার বিয়ে হয়। এর আগে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সামিয়ার বড় ভাই মোজাম্মেল কবির বলেন, বিয়ের পর কয়েক বছর ভালো কাটলেও যখনই মোসাদ্দেক সৈকত জাতীয় দলে নিয়মিতভাবে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই তার নৈতিক স্থলন ঘটতে শুরু করে। মোসাদ্দেক ঘরে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করত। একইসঙ্গে সে অন্য নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল। বিষয়টি সামিয়ার নজরে আসলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এর ফলশ্রুতিতে তার ওপর নানা নির্যাতন শুরু করেন মোসাদ্দেক।
এ বিষয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী মোজাম্মেল কবির যা বলেছেন, তা পুরোপুরি মিথ্যা। কারণ, আমি ৯ দিন আগেই তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার বিপক্ষে ঘরে বসে মদ্যপান ও অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগও আনেনি। হঠাৎ কেন মামলা করার প্রয়োজন হলো? সামনে এশিয়া কাপের ক্যাম্প। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন এবং ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে।’