Connect with us

জাতীয়

খুলনার মেয়র নির্বাচিত হলেন আব্দুল খালেক

Published

on

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।

এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি খুলনার মেয়র ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮৬টির ফল পাওয়া গেছে। তিন ভোটকেন্দ্র স্থগিত রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট। বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৫৬ ভোট।

ইসির তথ্যমতে, ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ ভোটারের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। (রাত পৌনে ১টা পর্যন্ত ইসির ঘোষিত ১৬৩টি) কেন্দ্রের ফলে পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা প্রতীকে) ৯৪ হাজার ৩৫২ এবং বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ) ৫৯ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়েছেন। অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল) ৪৮৯, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) ৫৮৫৩ এবং সিপিবি মনোনীত মো. মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে) ২৫৩ ভোট পান।

দুটি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছে। একটিতে আওয়ামী লীগ এবং অন্যটিতে বিএনপি জয়লাভ করে। কেন্দ্র দুটিতে ভোট পড়ে প্রায় ৫৪ শতাংশ। খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুচ আলী প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন। আর বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে নেমে আসে হতাশা।

ফলাফলের বিষয়ে তাত্ক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় আমি খুলনাবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি যে অঙ্গীকার করেছিলাম তা জীবন দিয়ে হলেও বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। মঞ্জুকে (পরাজিত প্রার্থী) সাথে নিয়েই খুলনার উন্নয়নে কাজ করবো।

সংশ্লিষ্টদের মতে, খুলনার উন্নয়ন ও ব্যক্তি গ্রহনযোগ্যতার মাপকাঠিতে ভোটাররা তালুকদার আব্দুল খালেককে বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে গত রাতে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জু শতাধিক ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘কারচুপি ও জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। এ ফলাফল আমি মানি না। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছেলে-পেলে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। এই রকম কেন্দ্রের সংখ্যা ১০০টিরও বেশি হবে।’

এদিকে খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি কেন্দ্রে অনিয়ম-জালভোট ছাড়া বাকি ২৮৬টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ও উত্সবমুখর পরিবেশে চমত্কার সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। গতকালের নির্বাচনে তালুকদার আব্দুল খালেক বিজয়ী হলেও ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি নির্বাচনে ৬০ হাজার ৬৭১ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর তালুকদার খালেক বাগেরহাট-৩ আসন থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৩১ মার্চ নির্বাচন কমিশন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে সংসদ সদস্যের পদ ছেড়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। তবে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তালুকদার আব্দুল খালেক ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে মনিরুজ্জামান মনিকে পরাজিত করেছিলেন। এবার বিএনপি প্রার্থী পরিবর্তন করে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে প্রার্থী করেন। জাতীয় নির্বাচনের ছয়মাস আগে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রথমবারের মত কেসিসি নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে জয়-পরাজয় মর্যাদার ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

নির্বাচনে পাঁচ মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ১৮৭জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। নতুন ভোটার ৫২ হাজার ৫২৭ জন।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

রাজনীতি করতে না চাওয়া সাকিব কিনলেন আ.লীগের মনোনয়ন!

Published

on

খেলা ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্বাচনে অংশগ্রহণে তার আগ্রহের বিষয়টি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। যা মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে। এরপরই একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সাকিবের। ২০১৩ সালে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘জীবনেও রাজনীতি করব না।’

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার খবর প্রকাশ হতেই সেই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করছেন। কেউবা সে পোস্টের কমেন্টবক্সে সাকিবের সমালোচনায় মেতেছেন। এর আগে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাকিবের পক্ষে ফরমগুলো সংগ্রহ করা হয়। আসনগুলো হলো— ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২।

মূলত মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন সাকিব। যা তার আগের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই অনেকেই বিষয়টি নতুন করে সামনে নিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.১৪ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই।’

ওই সময় সাকিব বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরই তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনার ডালপালা মেলে। তখন নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সাকিব ওই স্ট্যাটাস দেন। তবে এক দশকের বেশি সময় পর নিজের অবস্থান বদলাতে দেখা গেলো তাকে।

ফেসবুক পোস্টে সাকিব আরও লিখেন, ‘আমাকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে দিন। আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই। আমাকে বোর্ড সভাপতি (পাপন) অনুরোধ করায় আমি ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে রাজনীতি নিয়ে একটি শব্দও বলিনি। তাই সবাইকে বলব যে– আমাদের মিডিয়াকে বিশ্বাস করবেন না। আশা করি নিজের বিষয়টা পরিষ্কার করতে পেরেছি।’

এর আগে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সাকিব নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। ওই সময় সাকিব না পারলেও, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে সাকিবও নির্বাচনে যাবেন বলে অনেকদিন ধরেই জোর শোরগোল চলছিল। এশিয়া কাপ চলাকালে অনেকটা হুট করে সাকিব দল রেখে দেশে চলে আসেন। ওই সময় নির্বাচনী কাজেই সাকিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন বলে আলোচনা রয়েছে!

Continue Reading

Highlights

উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সেইসঙ্গে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে আমাদের সরকারের আমলে। আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি।

আজ রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়গুলো আমি সম্মেলনে তুলে ধরেছি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে শেষে গত রোববার তিনি দেশে ফিরেছেন।

Continue Reading

Highlights

সারা দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু সাড়ে ৫০০ ছাড়াল

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আটজন প্রাণ হারিয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এডিস মশাবাহিত এই রোগে ৫৫৬ জন মারা গেল। এ সময়ে নতুন করে আরো দুই হাজার ৩৩১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৮৪২ জনে।

আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুই হাজার ৩৩১ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯১৮ জন, আর ঢাকার বাইরের এক হাজার ৪১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ছয়জন ঢাকা সিটির এবং দুজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

এতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ৪১০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৯৪৪ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে এক হাজার ৪৬৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে মোট আট হাজার ২১২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঢাকা সিটিতে তিন হাজার ৯১৩ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) চার হাজার ২৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে।

Continue Reading