চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্নায়ুযুদ্ধ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সিআইএ’র সহকারী পরিচালক মাইকেল কলিন্স। শুক্রবার চীনের উত্থান নিয়ে আসপেন সিকিউরিটি ফোরামের এক আলোচনায় এ মন্তব্য করেন কলিন্স।
কলিন্স বলেন, বর্তমানে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যা চালাচ্ছে সংজ্ঞা অনুযায়ী তা অবশ্য্ই স্নায়ুযুদ্ধ। এটি নব্বইয়ের দশকের মতোই হতে হবে তা নয়। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সুপারপাওয়ার হতে চায়। এ লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করছে দেশটি।
‘চীন বৈধ-অবৈধ, সরকারি-ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক এমনকি সামরিকসহ সকল উপায় ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলার চেষ্টা করছে। তবে এক্ষেত্রে সামরিক সংঘাত থেকে দূরে থাকতে চায় চীন।’
কলিন্স বলেন, চীনই এখন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক হুমকি।
সাম্প্রতিক চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বাণিজ্য বিরোধ থেকে অন্যান্য দিকেও ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করছে, চীন মার্কিন গবেষণা ও ব্যবসায়িক গোপন তথ্য চুরি করছে। এ নিযে সমালোচনা করেন, মাইকেল কলিন্স। তিনি বলেন, চীন ধারাবাহিকভাবে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক স্থাপনা নির্মাণেরও সমালোচনা করেন, এই সিআইএ কর্মকর্তা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও চীনকে সতর্ক করেছেন। বুধবার এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার রে চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেন। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক ডান কোটস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে শক্ত হাতে চীনের আগ্রাসন মোকাবেলা করতে হবে। গবেষণা ও ব্যবসা বিষয়ক তথ্য চুরিও বন্ধ করতে হবে।
তবে এসব সতর্কীকরণ এমন সময়ে আসছে যখন উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে চীনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা মার্সেল লেট্রে বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, চীন সামরিক খাতে বিশ্বে ২য় সর্বোচ্চ ব্যয় করে। দেশটির রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী।’