বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি এক যুবদলকে নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পুলিশ মো.রাসেল ওরফে শিশু রাসেল নামে এক স্থানীয় যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে। নিহত আব্দুল লতিফ মিন্টু (৪৫) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাহবুল্লাপুর গ্রামের খান বাড়ির মৃত আবু তাহেরের ছেলে এবং সে গোপালপুর ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।
আটককৃত মো.রাসেল ওরফে শিশু রাসেল (২৭) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদকাশিমপুর গ্রামের মো.দেলোয়ারের ছেলে। সে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এর আগে, গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কোটরামহব্বতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুত্বর আহত যুবদল নেতা মিন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে একই দিন রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ৭ জুলাই উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো.হাসিবুল বাশার হাসিবকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যা মামলার ৫নম্বর আসামি ছিল নিহত যুবদল নেতা মিন্টু। কিছু দিন আগে নতুন করে যুবলীগ নেতা শিশু রাসেলের সাথে বিরোধ বেধে যায় নিহত মিন্টুর। পূর্ব শক্রতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরের দিকে যুবলীগ নেতা রাসেলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন মিন্টুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে উপজেলার কোটরামহব্বতপুর গ্রামে পেলে যায়। পরে স্থানীয় চৌকিদার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ এলাকাবাসীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে একজনকে আটক করেছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার থাকায় কেউ মুখ খোলেনা। যার নাম পেয়েছি, সে স্বশরীরে ছিল, তাই তাকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, নিহত মিন্টু ছাত্রলীগ নেতা হাসিব হত্যা মামলার জামিনপ্রাপ্ত ৫নম্বর আসামি। নিহতের স্বজনেরা থানায় এসেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।