আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, এই মুহূর্তে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। দেশে স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বিরাজ করছে। তারা আন্দোলন করবে কেন, সেটা আমি জানি না। সামনে নির্বাচন, জনগণ নির্বাচনের মুডে, ভোটের মুডে আছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ভোগড়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলমান বিআরটি প্রকল্প ও সড়ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলনের নামে কোনো দল সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল, নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চান, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০০১ সাল আর ফিরে আসবে না। সেই খোয়াব দেখলে তাদের সে খোয়াব অচিরেই কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে নানা অজুহাত খুঁজে বেড়াচ্ছে, তাদের ব্যাপার আলাদা। তারা মনে করেছে ২০১৪ সালের মতো সহিংসতার বাতাবরণ তৈরি করবে, কিন্তু সে আন্দোলন তাদের কিছুই দেয়নি। বরং তারা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। গত নয় বছরে তারা জনগণের কোনো সাড়া পায়নি। গত চার বছরে বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিয়ে কখনোই সফলতার মুখ দেখেনি। মানুষ মনে করে, বিএনপির আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন-আগুন সন্ত্রাস।
এসময় মন্ত্রী ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের কাজে গাফিলতির কারণে সানাউল হক এবং লিয়াকত আলী নামে দুই প্রকল্প পরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এছাড়া গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজাকে সতর্ক করে দেন। পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডি এ কে এম নাহিন রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।