জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে আগত মুসল্লিরা এবার জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে আনতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
সেই সঙ্গে মুসল্লিদের ও জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের জামাতে নামাজ আদায় করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহে প্রবেশের সময় কয়েকটি পয়েন্টে মুসল্লিদের তল্লাশি করা হবে। কেউ কোনও ধরনের ব্যাগ, ছুরি-কাঁচি, মোবাইল, দাহ্য পদার্থ নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু জায়নামাজ এবং বৃষ্টি থাকলে ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে বহন করা যাবে না। ঈদগাহে পুলিশের যেসব সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন তারা একই জামাতে নামাজ আদায় করবেন না। আপনাদের জন্য বেলা ১১টায় আলাদা ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদগাহে প্রবেশের গেটগুলোতে তল্লাশির সময় পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতা করতে মুসল্লিদের অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে নগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদের ঈদ জামাতকে ঘিরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
ডিএমপি প্রধান বলেন, জাতীয় ঈদগাহের পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। চারদিকে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর মুসল্লিদের আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে আসতে হবে। মূলগেট দিয়ে প্রবেশের সময় তাদেরকে আবারও তল্লাশি করা হবে। ঈদগাহের নিরাপত্তায় আমাদের সোয়াত, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। পুলিশের বিশেষায়িত সব শাখাগুলোর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করবেন এবং সিসিটিভির মাধ্যমে পুরো এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে।
ঈদে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় অফিস, শপিংমলগুলোতে বাড়তি নজরদারি থাকবে। ঈদের সময় ও পরে রেস্টুরেন্ট, পার্ক ও দর্শনীয়স্থানে থাকবে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রত্যেক এলাকার চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হবে এবং এলাকাভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ডদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে। সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের নিরাপত্তায় সুস্পষ্ট কোনও হুমকি নেই।