ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা’র চৌরাস্তা হতে বালিয়াডাঙ্গী মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫৭ কোটি টাকা ব্যায়ে বহুল প্রত্যাশিত ৪.৫০ কি:মি: সড়ক ৪ লেনে উন্নীত করণ কাজের অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও রোড মুন্সির হোটেল হতে ঠাকুরগাঁও রোড সন্তোষ বস্ত্রালয় পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের যে কাজ হচ্ছে তা শুরুতেই ঠিকাদার কোম্পানী মনিকো কন্সট্রাকশন ও সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঠাকুরগাঁও এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছে ঠাকুরগাঁও রোডের স্থানীয় সচেতন নাগরিকগণ ও স্থানীয় ঠিকাদারগণ। অভিযোগকারী স্থানীয় ঠিকাদার মাসুদ হাসান বলেন, বক্স কাটার পর বেড টেস্ট করার কথা তা না করে একবারে বালু ফেলে তাতে দায় ঠেকানো রুলার ব্যবহার করা হচ্ছে, পানি সঠিকভাবে না দেওয়া। ঠাকুরগাঁওয়ের বিশিষ্ট ঠিকাদার পবন প্রসাদ আগাওয়ালা আফসোস করে বলেন, আমরা আ:লীগ করি না পারি বলতে না পারি সহ্য করতে। এর চেয়ে আমাদের লোকাল ঠিকাদারগুলো আরও উন্নত মানের কাজ কতর। এদের যত বড় গর্জন তত বড় বর্ষণ না। এদের খালি গাড়ি বহর কাজের মান নিম্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিযোগকারী বলেন, সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এবং অনুপস্থিতিতে ঠিকাদারের শ্রমিকেরা তাদের খেয়ালখুশীমত রাতের অন্ধকারে কাজ করছেন। সেসব দেখেও না দেখার ভান করছেন ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। যার ফলে সড়কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।তারা বলছেন দায় ঠেকানো কাজ করে ঠাকুরগাঁওয়ের সড়ককে যেমন খুশী তেমন সাজে সাজানো হচ্ছে।যার ফলে অচিরেই ধ্বংস হবে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের প্রত্যাশা। তাই ঠাকুরগাঁওবাসীর সরকারের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত টিম গঠন করে মালামাল ও সড়কের গুণগতমান ও সার্বিক দিকে নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে অভিযোগ পাওয়ার পর ঠাকুরগাঁও রোডে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে গত সোমবার রাত ৮ টার সময় গাড়ী দিয়ে রাস্তায় সাবডেজ ও পরদিন মঙ্গলবার সকালে বালু ফেলা হচ্ছে। সেখানে কোন সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) ঠাকুরগাঁও এর কোন কর্মকর্তাতে পাওয়া যায়নি।কথা হয় ঠিকাদর কোম্পানীর শ্রমিক মো: নশু’র সঙ্গে। তিনি বলেন সড়ক ও জনপদের কেউ এখন নেই। আমরা কাজ পর তারা এসে মাপযোগ করে বুঝে নেবে সব ঠিক আছে কিনা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঠাকুরগাঁও সহকারী প্রকৌশলী মোতাহার আলী’র কাছে অভিযোগের বিষয়টি ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে অভিযোগ অস্বিকার করে তিনি বলেন ধৈর্য ধরেন কাজ ভালো হবে।