আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি মৌসুমে ব্যাপকভাবে গমের চাষ হয়েছে। ফাল্গুনের মাঝা মাঝি সময়ে গমের শীষ হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের মনে আনন্দের সম্ভাবনার আশা দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ৪৭৫ হেক্টর জমিতে বারি গম-২৬, ২৮, ২৯, ৩০, ৩২ ও ৩৩ জাতের গম আবাদ করেছে কৃষকরা। তাছাড়া গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনিস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ধানের দাম কম হওয়ায় এবং ধান আবাদ করে উৎপাদন খরচ উঠানো কষ্টকর হওয়ায় এবছর কৃষকরা গম চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া, কৃষি বিভাগের উপযুক্ত পরামর্শ- দিকনির্দেশনা এবং কৃষকদের সঠিক পরিচর্যার কারনে গোটা উপজেলায় গম ক্ষেতের আশা জাগানোর মত পরিস্থিতি রয়েছে।
সদর উপজেলার মোহাম্মাদপুর গ্রামের গমচাষী হামিদুর রহমান, হোসেন, কিশামত শিবগঞ্জ জামালপুর গ্রামের মাইদুল ইসলাম এবং ফেসাডাঙ্গী, গ্রামের জয়নাল আবেদীন জানান, ইরি-বোরো আবাদ কমিয়ে এবছর কিছু জমিতে গম আবাদ করেছি । গম আবাদে একবার নিড়ানি ও একবার সেচ দিলেই চলে,তাই খরচ কম হয়। যদি কোন আপদ-বিপদ না আসে তাহলে আশা করি এবছর গম আবাদে আমরা লাভবান হবো।
ঠাকুরগাঁও কৃষি বৃধ আফতাব হোসেন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় বেশি পরিমান জমিতে কৃষকরা গম আবাদ করেছে। গমের বীজ বপন,সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, সেচ প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গোটা উপজেলায় এখন পর্যন্ত গম ক্ষেতের যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।