জাতীয়

ডিসেম্বরের মধ্যে পোশাক কারখানা সংস্কার, অন্যথায় জানুয়ারিতে কারখানা বন্ধ

Published

on

বিজিএমইএ ভবনে অ্যাপারেল ক্লাব সম্মেলন কক্ষে গতকাল গার্মেন্টস কারখানা মালিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, জাতীয় উদ্যোগের আওতায় এসেসমেন্টকৃত গার্মেন্টস কারখানার সংস্কার কার্যক্রম আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। যেসব কারখানা এতে ব্যর্থ হবে জানুয়ারিতে সেগুলো বন্ধ করে দেবে সরকার।

সভায় জানানো হয়, জাতীয় উদ্যোগের আওতায় কারখানার সংখ্যা ১৫৪৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৭৫৫টি কারখানা এ উদ্যোগের আওতায় সক্রিয় রয়েছে। এ কারখানাগুলোর ৩২ শতাংশেরও কম সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে ১৬৫টি কারখানা সংস্কার শুরু করেনি এবং ৭৫৩টি রয়েছে বন্ধ। শত ভাগ সংস্কার সম্পন্ন করেছে মাত্র ৭টি কারখানা।
সভায় কারখানা মালিকগণ তাদের কারখানার সংস্কার এবং স্থানান্তরের খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরেন। সভায় অংশগ্রহণকারীরা আশা করেন, জাতীয় উদ্যোগের আওতাধীন সব কারখানা সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সংস্কার বা স্থানান্তর কাজ শেষ করতে পারবে।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একর্ড, এলায়েন্স এবং জাতীয় উদ্যোগের আওতায় মোট ৩৭৮০টি গার্মেন্টস কারখানার প্রাথমিক এসেসমেন্ট সম্পন্ন করেছে।

কারখানার সংস্কারের বিষয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে ২৫-২৬ জুন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেল্স-এ অনুষ্ঠেয় সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট ৪র্থ সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হবে।

সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বিজিএমই এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূইয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন, বিজিএমই, বিকেএমই পরিচালগণসহ শতাধিক গামের্ন্টস মালিক এবং তাদের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version