আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জোর প্রয়োগ করে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা যদি নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় তালেবানরা, তবে দেশটি একটি ‘একঘরে রাষ্ট্রে’ পরিণত হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিংকেন ভারতে তার প্রথম রাষ্ট্রিয় সফরে এসে বুধবার নয়া দিল্লিতে একথা বলেন। খবর আল জাজিরার।
ভারতে দেশটির উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। তিনি যখন ভারত সফর করছেন, তখন তালেবানদের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফরে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছে। বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনীতি শুরু করেছে তালেবানরা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিংকেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে আফগানিস্তান তার জনগণের অধিকারকে সম্মান দেখাবে না, যে আফগানিস্তান তার নিজ জনগণের ওপর নির্মম হামলা চালাবে, সে আফগানিস্তান হবে একটি একঘরে রাষ্ট্র।’
যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা সদস্যদের আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার আগেই তালেবানরা দেশটির বহু এলাকা নতুন করে দখলে নিচ্ছে। অনেক এলাকায় কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারছে না আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী।
দোহায় আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ ছাড়াও এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক কূটনীতি শুরু করেছে তালেবানরা। বুধবার তারা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতে বেইজিংকে তারা আফগানিস্তানের মাটি অন্য দেশের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্রের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার হতে না দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বেইজিংয়ের সংশয়, যদি আফগানিস্তান চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের ইউঘুঁর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লুকানোর স্থানে পরিণত হয়। তবে এ সংশয়কে উড়িয়ে দিয়েছে তালেবান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তারা বলেছে, ‘ইসলামী আমিরাত চীনকে আশ্বাস দিচ্ছে যে আফগানিস্তানের মাটি কোনো দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে না।’