রাজনীতি

দেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে – কাদের

Published

on

অাসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা করবে। এর ব্যত্যয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আইডিইবি’র ২২তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪১তম কাউন্সিল অধিবেশন উপলক্ষে আয়োজিত ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আইইডিবি’র সভাপতি প্রকৌশলী এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শামসুর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ নয় যে এ দেশের নির্বাচন জাতিসংঘের অধীনে হতে হবে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এ দেশের সংবিধানই নির্বাচন পরিচালনা করবে।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও কঙ্গোর মতো অবস্থায় নেই। তাই আমাদের দেশে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার বিএনপির দাবিকে অবান্তর ও অপ্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র এক-দেড় মাস সময় রয়েছে। এমন সময়ে বিএনপির এ ধরনের দাবি মামার বাড়ির আবদার ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আমাদের দেশেও সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রিসভার সদস্যরা শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে, এ সময় তারা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। জাতীয় সংসদ সদস্যরাও কোনো মর্যাদা ভোগ করবে না। তাই সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া আর না দেওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সেনা মোতায়েনের দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না, তা আমরা কখনো বলিনি। প্রয়োজন হলে সেনা মোতায়েন করা হবে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, সময় ও পরিস্থিতি যদি বলে দেয় সেনা মোতায়েন করা দরকার, নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে সরকার সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version