Highlights

ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

রাজধানীর কোতয়ালি এলাকা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের ছিনতাই হওয়া ৮০ লাখ টাকার মধ্যে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, কোতয়ালি থানার ইসলামপুর শাখার ন্যাশনাল ব্যাংক হতে ৮০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার ও দুটি বিদেশী অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হান্নান ওরফে রবিন ওরফে রফিকুল ইসলাম (৫০), মো. মোস্তাফা (৫২), মো. বাবুল মিয়া (৫৫) ও পারভীন (৩১)।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ৬০ লাখ টাকা ও দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিভিন্ন শাখা থেকে উত্তোলন করা ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার একটি বস্তা গাড়ি থেকে খোয়া যায়। দিনেদুপুরে ঘটে যাওয়া ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

দায়ের করা একটি মামলায় চারজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন- ওই গাড়ির দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা, গাড়িচালক ও দুজন নিরাপত্তাকর্মী।

তবে প্রাথমিক তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি, সিসিটিভ ফুটেজ বিশ্লেষণে ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগ জানতে পারে, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার বস্তাটি গাড়ি থেকে খোয়া যায়নি, ওই টাকা চুরি করা হয়েছে। টাকা উত্তোলনের কোনো এক পর্যায়ে ওই টাকার বস্তাটি গাড়ি থেকে চুরি করা হয়।

মামলায় টাকার গাড়ির দায়িত্বে থাকা চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে তাদের একদিন রিমান্ডের পর ব্যাংকের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা, একজন গাড়িচালক ও দুজন নিরাপত্তাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা, দুজন সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে সুরক্ষিত গাড়িতে ব্যাংকটির পুরান ঢাকার বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা তোলেন। ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা সংগ্রহ করে মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ের দিকে রওনা হন। পুরান ঢাকার বাবুবাজারে পৌঁছানোর পরই গাড়িতে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা চিৎকার করে বলেন, টাকার একটি বস্তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে ৮০ লাখ টাকা ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version