Highlights

পঞ্চগড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে গাছ রোপনের অভিযোগ

Published

on

পঞ্চগড় সংবাদদাতা:
পঞ্চগড় সদর উপজেলা অমরখানা ইউনিয়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখল করে আম ও চা গাছ রোপনের অভিযোগ উঠেছে।

১নং অমরখানা ইউনিয়নে মুক্তাঞ্চল এলাকায় পঞ্চগড় তেতুঁলিয়া মহাসড়কে থাকা ব্রীজ সংলগ্ন পূর্ব উত্তর ও দক্ষিন রাস্তার দুই পাশে সড়ক ও জনপদ এর জমি প্রভাবখাটিয়ে দখল করে আম ও চা গাছসহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়েছেন অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু। এতে সড়ক ও জনপদ এর জায়গা দখল করাতে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নে মুক্তাঞ্চলে থাকা চাওয়াই নদীর উপরে ব্রিজটি সম্প্রসারণে নতুন ব্রিজ নির্মান করায় ব্রিজের পূর্ব পাশে রাস্তার দুই ধারে সড়ক জনপদের জমি রয়েছে। এদিকে চাওয়াই নদীর উপর ব্রিজ নির্মানের সময় শেষে নদীর দুই পাশে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য বসানো হয় ব্লক। চাওয়াই নদীর উপরে ব্রিজটি যেমন সুন্দর নদীর পাশে রয়েছে একটি পুকুর সেখানে দেখা যায় অতীথি বিভিন্ন পাখি এতে করে মুক্তাঞ্চল স্থানটি হয়ে উঠে দর্শনীয়। প্রতিনিয়ত দেখা যায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের ভীর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সম্ভাবনাময় ওই এলাকাটির পাশে ভারত হওয়া মনোরম পরিবেশে অনেকে ঘুরতে আসে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন এই জমি সড়ক বিভাগের চেয়ারম্যান কিভাবে দখল করে চা গাছ রোপন করছেন আমারা জানি না। এখানে অনেক দুরদরান্ত থেকে লোকজন এসে সময় কাটাছেন। এই জমিতে চা বাগান হলে সেখানে কেউ যেতে পারবেনা। তাই এই জমিতে চা বাগান না করে পর্যটক ও দর্শনাথীদের জন্য ফাকা রাখার জোর দাবী জানান।

এনিয়ে ১নং অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বলেন আমি জানি এই জমি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। ব্রিজ নির্মানের পর জায়গাটি ফাকা পরে থাকায় আমি আম ও চা গাছ লাগিয়েছি।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ মাহফুজার রহমান বলেন আমরা যেটুক খরব পেয়েছি যে ১ নং অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাছ লাগাচ্ছে যদি চেয়ারম্যান সড়ক জনপদের জমিতে গাছ লাগিয়ে থাকেন আমরা চেয়ারম্যানকে চিঠি দিব তিনি যেন সরকারি সড়ক ও জনপদ জমি ছেড়ে দেয়। আর যদি সড়ক ও জনপদের জাযগা ছেড়ে না দেয় তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

আসাদুজ্জামান আপেল/বিডিপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version