ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে, হাওড়া, হুগলী এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের অকে এলাকায়। হাজার হাজার কাঁচা বাড়ি ও গাছপালা ভেঙে গেছে আম্পানের ভয়াল থাবায়।
কলকাতাভিত্তিক বাংলা দৈনিক ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র খবরে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন কলকাতায়।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়ে আম্পান। ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি উড়ে গিয়েছে ঘরের চাল। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। উপকূল এলাকায় সমুদ্রে বেড়েছে জলোচ্ছ্বাস।
বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক লাখ কোটি রুপিতে পৌঁছাতে পারে। ঝড়ের তাণ্ডবলীলা বোঝাতে গিয়ে বারবারই তিনি রাজ্যের সর্বনাশ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুই ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গেছে। বাড়িঘর, নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে, ফসলের মাঠ ভেসে গেছে।’ ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার কথা জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ঝড়ের সময় নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘নবান্নে আমার অফিস কাঁপছিলো। মনে হলো যেন যুদ্ধকালীন একটি কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করলাম।’