রাজনীতি

বিএনপি না এলে নির্বাচন থেমে থাকবে না – মোহাম্মদ নাসিম

Published

on

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বিএনপি না এলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না। সংবিধানের আলোকেই দেশে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।’

গতকাল রাজধানীর বিএমএ ভবনে ৩৬তম বিসিএস স্বাস্থ্য কাডারে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ১৮০ জন চিকিত্সকের যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে নির্বাচন করা মানে হচ্ছে দেশে একটা অসাংবিধানিক সরকার আনা। সংবিধানের আলোকে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগে নির্বাচন হতেই হবে। ‘

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এবারও যদি আপনারা খেলতে না নামেন তাহলে করার কিছু নাই। ফাঁকা মাঠেই ইনশাল্লাহ গোল দেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেটি সারাবিশ্বে হয়, এই দেশেও তাই হবে। গণতন্ত্র আছে এমন দেশ মানেই নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী এই সরকারের আমলেই নির্বাচন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা ফাইনাল খেলার দিন খেলবেন না আমরা তো গোল দেবই। ২০১৪ সালেও আপনারা মাঠ ছেড়ে যান।’

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিশ্বকাপের মাঠে মেসি-নেইমার গোল মিস করতে পারে কিন্তু নির্বাচনের মাঠে শেখ হাসিনা গোল মিস করবে না। মন্ত্রী বলেন, খেলার মাঠে যেমন নিয়ম আছে তেমনি নির্বাচনের মাঠেও নিয়ম আছে। ইচ্ছে হলেই সেই নিয়ম বদলানো যাবে না। সেই নিয়ম পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বচান অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোট দেবে।

বিএনপির এক নেতার বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বিএনপির এক নেতা বলেছেন সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।’ তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা পার পেতে চাই না, আমরা সংবিধান মানি। যার করার সংবিধানের আলোকেই করবো। যারা সংবিধান মানেন না তাদের পক্ষেই এসব কথা বলা সম্ভব। বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মওদুদ আহমেদ বলেছেন সংবিধান ছাড়াও নির্বচান করা সম্ভব। এ কথা তিনিই বলতে পারেন। করাণ তিনি দেশের একটি দল ছাড়া সব দল করেছেন। তিনি সামরিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাউকে ফাঁসাতে চায় না সরকার। আদালতে প্রমাণ সাপেক্ষে ওই মামলার রায় হবে।’ তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ করতে চাই না। কিন্তু যখন গ্রেনেড হামলা হলো তখন বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গিয়ে আইভি রহমানসহ ২৪ জন লোককে হত্যা করা হয়েছে। আর তারা আমাদের সঙ্গে তামাশা করেছে। তদন্তের নামে জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে সেই হত্যকাণ্ডের বিচার হচ্ছে। বিচারের রায়ে অবশ্যই দোষীরা সাজা পাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৩৬ তম বিসিএস’র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালে তাদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে এ নিয়োগ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version