রাজনীতি

বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না – হাছান মাহমুদ

Published

on

বিএনপি নেতারা কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৭৫তম জন্মজয়ন্তী’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা চান না বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক। বিএনপির যে নেতারা মনে করেন বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলে তাদের ভোট বাড়ে, তারা নিশ্চয় বেগম জিয়া জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসুক তা চাই না। সুতরাং তাদের (বিএনপির) এই আদালতে যে জামিন প্রার্থনা এগুলো বিএনপির পক্ষ থেকে নাটক মঞ্চায়ন ছাড়া অন্য কোন কিছু নয়। তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে মোটেও আন্তরিক নয়।

‘বেগম খালেদা জিয়াকে ভিন্ন কৌশলে আন্দোলন করে বের করবো’ বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাহলে ভিন্ন কৌশলটা কি? কৌশল দুটি হতে পারে একটি হচ্ছে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে আমরা যে কৌশল দেখেছি মানুষের ওপর পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ, আর অপরটি হচ্ছে ষড়যন্ত্র।

‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মতো দেশে সাধারণ নির্বাচনও স্থগিত হয়ে যেতে পারে’ ড. কামাল হোসেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তার মানে দেশে সাধারণ নির্বাচন হোক, গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত থাকুক, সেটি তারা চায় না। ১/১১ কুশিলব হচ্ছে ড. কামাল হোসেনরা। তারাই দেশে নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন। এই ড. কামাল হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাস নয় যতদিন ইচ্ছা ততোদিন থাকতে পারবে সেই আইনি ফতোয়া দিয়েছিলেন। সুতরাং তারা যে ভিতরে ভিতরে ষড়যন্ত্র করছে সেটি গতকাল সোমবার মুখ ফসকে বেরিয়ে এসেছে। গাজীপুর নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় আমরা নিজেরা হতাশ। কারণ আমরা এই নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। এবং এই নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পিছনে কাদের ষড়যন্ত্র মওদুদ আহমেদের এই মামলার পক্ষে গত এপ্রিল মাসে লড়ার মধ্য দিয়ে সেটি পরিষ্কার।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মেট্রিক পরীক্ষায় সব বিষয়ে ফেল করেছিলেন এমনকি বাংলায়ও, কিন্তু উর্দুতে তিনি পাস করেছিলেন। যাদের উর্দু প্রীতি বেশি তারাই রবীন্দ্রনাথকে পছন্দ করেন না এবং অনেকেই রবীন্দ্রনাথকে সহ্য করতে পারে না। তাদেরই আশ্রয় এবং প্রশ্রয়স্থল হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। তারা এই দেশকে শুধু রাজনৈতিক ভাবে নয় সাংস্কৃতিক ভাবেও বিভক্ত করতে চায়। তারা তথাকথিত ইসলামি সংস্কৃতি বলে নতুন ধরনের সংস্কৃতি চর্চার চেষ্টা সব সময় করেছিলেন। কদিন আগেও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বাঙালি সংস্কৃতির চেয়েও ভিন্ন সংস্কৃতির চর্চা হয়েছে বেশি। সুতরাং আজকে আমাদেরকে এই বিষয়গুলো উপলব্ধি করার পাশাপাশি তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানাসহ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version