Connect with us

জাতীয়

বিদ্যুৎ খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

Published

on

দেশের বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় এ খাতে নানারকম অনিয়ম জড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী । তাই তিনি বিদ্যুৎ খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান করেন । গতকাল সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, এসব কেলেঙ্কারির মধ্য দিয়ে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুযোগ খুঁজে নিতে হবে এবং পথ তৈরি করতে হবে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সঙ্গে বৈঠকে সোমবার এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। অগ্রাধিকার দেয়া হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেনিটেশন। বরাদ্দ বেশি দেয়া হবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ট্রান্সপোর্টেশন খাতে। আমি আশা করছি, আগামী বছরে বিদ্যুতের সরবরাহ ১৮ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।

এর জন্য দরকার বিদ্যুতের। তাই বিদ্যুৎ খাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুযোগ খুঁজে নিতে হবে এবং পথ তৈরি করতে হবে। যেহেতু বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা চলছে এবং তারা নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে একটি বিদেশি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এখানেই দেশি উদ্যোক্তাদের সুযোগ খুঁজে নিতে হবে। তিনি ব্যাংকিং খাত নিয়ে বলেন, খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে বড় সমস্যা। ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের ১১ শতাংশই খেলাপি। আর সরকারি ব্যাংকে এর পরিমাণ ৩০ শতাংশ।

এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালককে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে খারাপ প্র্যাকটিস করছেন। এটি ভালো নয়। তবে এ ধরনের ঋণ দেয়ার পরিমাণ আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব খাতে নতুন কিছু থাকবে না। তবে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১১ থেকে ১৫ শতাংশ।
বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে আসন্ন বাজেটে প্রস্তাব তুলে ধরেন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান। এ সময় ডিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। ওই প্রস্তাবে কর্পোরেট কর হার হ্রাস, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত শিক্ষা বিনিয়োগ নির্ধারণসহ কয়েকটি প্রস্তাব দেয়া হয়।

এরপর অর্থমন্ত্রী বলেন, এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালককে ঋণ দিয়ে থাকেন। এটি একটি সমস্যা। তবে এটি বড় আকারে হচ্ছে না। আমরা যতটা বলি সে আকারে হচ্ছে না। তবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণ ১১ শতাংশ। সরকারি ব্যাংকগুলোয় এটি ৩০ শতাংশ। সরকারি ব্যাংকগুলোয় অনেক সমস্যাও আছে। তিনি আরও বলেন, সমস্যা থাকলেও সরকারি ব্যাংকগুলো কিছু কাজ করছে ঝুঁকি নিয়ে, যা অন্য ব্যাংক করবে না। সরকারের অনেক আর্থিক কর্মকাণ্ড সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রসঙ্গে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা এখন ভালো বেতন পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক তুলনায় ভালো অবস্থানে আছেন। ভালো বেতন প্রদান দুর্নীতি কমাবে। তবে সরকারের ভেতর দুর্নীতি যেটা আছে, এটি এ মুহূর্তে যাবে না। আমি আশা করছি, ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দুর্নীতি থাকবে না। এটি মিনিমাইজ হবে। এরপর দেশের একটি ভালো চেহারা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সব সময় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার আকর্ষণীয় রাখা হয়। তবে বর্তমান বাজারে ঋণের সুদের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি হয়ে গেছে। এটা রিভিউ করা উচিত।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বছরগুলোয় দারিদ্র্যবিমোচনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। বর্তমানে ২২ দশমিক ২০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। এর মধ্যে হতদরিদ্রের সীমা হচ্ছে ১০ থেকে ১১ শতাংশ। অভিযোগ আছে, দারিদ্র্য কমেছে, পাশাপাশি বৈষম্য বেড়েছে। এটি সত্য, তবে এর জন্য আমরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বেশি। কারণ বিশ্বের অনেক দেশ মোট বাজেটে ২ থেকে আড়াই শতাংশ বরাদ্দ রাখছে এ খাতে। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ আছে মোট বাজেটের ৭ শতাংশ। সবচেয়ে ভালো সংবাদ হচ্ছে, এ কর্মসূচির লিকেজ নেই। এটি মনিটরিং করা হচ্ছে। আগামী বাজেটে একই হারে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হবে।

রাজস্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে নতুন কিছু নেই। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হবে ১১ থেকে ১৫ শতাংশ। ওই হিসাবে মোট বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। বৈঠকে কর্পোরেট কর কমানোর আশ্বাস দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান কর্পোরেট ট্যাক্স ৪০ শতাংশ, এটি অনেক বেশি। এ ট্যাক্স কমানোর বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে।

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, তবে এটা একধরনের সামাজিক নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করে, তাই এতে বিনিয়োগকারী নিম্ন আয়ের মানুষের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

হামলা ও লুটপাট, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি

Published

on

By

নোয়াখালীতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ ৮টি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) আন্দোলনটির মুখপাত্র মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোড়করা গ্রামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ৩০ একর জমি থেকে সংগ্রহকৃত আটটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সদস্যদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করে সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন প্রকল্পে হামলার পাঁয়তারা হচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মশিউর রহমান বলেন, আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মের অপব্যবহারকারী উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। ফলে আমাদের কর্মীদেরকে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। উগ্রবাদী গোষ্ঠী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, পাবনায় হমালা চালিয়ে নৃশংসভাবে সদস্যদের হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের উপর সহস্রাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইন হাতে তুলে না নিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা ধর্মের মুখোশ পরে পার পেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় উগ্রগোষ্ঠী ‘মসজিদ নয়- গির্জা বানাচ্ছে’ গুজব তুলে দিয়ে তারা ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কে দিয়ে সেদিন তাঁর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মসজিটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মসজিদের নির্মাণকাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আগত দুই তরুণ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোক জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগ কাটে, চোখ তুলে ফেলে এবং দেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের হামলার পর হাল ছেড়ে না দিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম তাঁর গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ৫০টির মতো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার, মাছের ঘের, একটি বিদ্যালয়, চার তলা মসজিদ কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের মতো সদস্য তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গ্রামেই বসবাস করছেন। বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে আবারো উগ্রবাদীরা ২০১৬ সালের মত একটি তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার ষড়যন্ত্র করছে। হেযবুত তওহীদের এমামের গ্রাম চাষীরহাট থেকে এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ করে লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত বিপুলাসার বাজারের নিকটে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা, খামার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত লোকজন বাসা ভাড়া করে থাকেন। অনেকে সেখানে মুদির দোকান করেন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদিতে কাজ করেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন দুর্বৃত্তরা তাদের প্রত্যেকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে, গ্যারেজ লুট করেছে, দোকান লুট করেছে, বাড়িতে আগুন দিয়েছে। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ তারা লুট করে পরিবারগুলোকে সর্বস্বান্ত করেছে।

এদিন হেযবুত তওহীদের শেরপুর, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জসহ মোট ৮টি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা অতীতেও ছিল না, এখনও নেই। আমাদের আইন ভঙ্গ করার কোন রেকর্ড নেই। আমরা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করি তাই এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি মাননীয় এমামের বাড়িসহ হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালাতে ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুণ্ঠন করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে তারা শত শত পোস্ট করেছে এ জাতীয় হুমকি দিয়ে। আমরা সেখানে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হামলা করা হয়েছে এবং সেখানে চারজন পুলিশসহ সাত জন মানুষ নিহত হয়েছে। সেদিন বাজারে বাজারে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। সেদিন এবং তার পরেরদিন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি বারবার চাষীরহাট বাজারে এসে হেযবুত তওহীদকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অনলাইনে ও অফলাইনে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাসগৃহকে কেন্দ্র করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সোনাইমুড়ীসহ সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এমতাবস্থায় সরকারের নিকট হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি জানান মশিউর রহমান। দাবিগুলো হলো- ১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক। ২. স্থানীয় বাজারে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হোক। ৩. বিপুলাসারে ৫ তারিখে সংঘটিত লুটপাটে আমাদের অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিনা কারণে যারা তাদের এই ক্ষতিসাধন করল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। ৪. এখনও প্রতিমুহূর্তে গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় সংস্কারপন্থী আন্দোলন হেযবুত তওহীদ একাগ্রভাবে ইসলামের সুমহান আদর্শকে জনগণের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে। আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তত দুই লক্ষাধিক জনসভা, সেমিনার, র‌্যালি, মানববন্ধন করে আন্দোলনটি।

Continue Reading

Highlights

রাজনীতি করতে না চাওয়া সাকিব কিনলেন আ.লীগের মনোনয়ন!

Published

on

খেলা ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্বাচনে অংশগ্রহণে তার আগ্রহের বিষয়টি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। যা মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে। এরপরই একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সাকিবের। ২০১৩ সালে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘জীবনেও রাজনীতি করব না।’

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার খবর প্রকাশ হতেই সেই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শেয়ার করছেন। কেউবা সে পোস্টের কমেন্টবক্সে সাকিবের সমালোচনায় মেতেছেন। এর আগে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাকিবের পক্ষে ফরমগুলো সংগ্রহ করা হয়। আসনগুলো হলো— ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২।

মূলত মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন সাকিব। যা তার আগের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই অনেকেই বিষয়টি নতুন করে সামনে নিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.১৪ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই।’

ওই সময় সাকিব বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরই তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনার ডালপালা মেলে। তখন নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সাকিব ওই স্ট্যাটাস দেন। তবে এক দশকের বেশি সময় পর নিজের অবস্থান বদলাতে দেখা গেলো তাকে।

ফেসবুক পোস্টে সাকিব আরও লিখেন, ‘আমাকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে দিন। আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই। আমাকে বোর্ড সভাপতি (পাপন) অনুরোধ করায় আমি ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে রাজনীতি নিয়ে একটি শব্দও বলিনি। তাই সবাইকে বলব যে– আমাদের মিডিয়াকে বিশ্বাস করবেন না। আশা করি নিজের বিষয়টা পরিষ্কার করতে পেরেছি।’

এর আগে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সাকিব নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। ওই সময় সাকিব না পারলেও, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে সাকিবও নির্বাচনে যাবেন বলে অনেকদিন ধরেই জোর শোরগোল চলছিল। এশিয়া কাপ চলাকালে অনেকটা হুট করে সাকিব দল রেখে দেশে চলে আসেন। ওই সময় নির্বাচনী কাজেই সাকিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন বলে আলোচনা রয়েছে!

Continue Reading

Highlights

উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

এক্সপ্রেস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সেইসঙ্গে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে আমাদের সরকারের আমলে। আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে অভিশাপমুক্ত করেছি।

আজ রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়গুলো আমি সম্মেলনে তুলে ধরেছি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে শেষে গত রোববার তিনি দেশে ফিরেছেন।

Continue Reading