নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী -১ আসন ডিমলা ও ডোমার উপজেলা নিয়ে গঠিত। দুটি উপজেলা, ১ পৌরসভা ও ২০ ইউনিয়ন নিয়ে সংসদীয় আসন- ১২। এ এলাকা এক সময়ে জাতীয় পার্টির দুর্গে পরিনত ছিল। কিন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের যৌগ্য নেতৃত্বের কারনে আসনটি আওয়ামীলীগের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামে ১৯৫০ সালের ৬ এপ্রিল এক সম্ভান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে আফতাব উদ্দিন সরাসরি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৮-১৯৬৯ সালে তৎকালীন নীলফামারী মহকুমারের ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পালন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ডিমলা উপজেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে ভারতের হাফলং মিলিটারী ট্রেনিং ক্যাম্পে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৮৫-১৯৯০ সাল এবং ২০০৯- ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।বাংলাদেশের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে পরপর দু’বার ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন এ নেতা। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আফতাব উদ্দিন সরকার। ্এলাকায় সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ওই নেতা ও তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় আওয়ামীলীগকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার ছোটভাই আবুল কাশেম সরকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাতিজা পারভেজ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এলাকায় তাদের জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। আফতাব উদ্দিনের যৌগ্য নেতৃত্বের কারনে বদলে গেছে আওয়ামীলীগ। দলের নেই কোন গ্রæপিং। ফলে তার নেতৃত্বের কারনে একদিকে এলাকার উন্নয়ন ও অপরদিকে দল হয়েছে শক্তিশালী। তার সময়েই সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। দেশব্যাপি চলমান মাদক নিমূল অভিযান সফল করতে এলাকা এলাকা ও পাড়ায় পাড়ায় জন সচেতনতা মূলক কার্যক্রম এলাকায় সাড়া জুগিয়েছে। আইন শূংখলা পরিস্থিতিও মোটামুটি ভাল।গয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ফয়সাল ইবনে মুন বলেন, আফতাব উদ্দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকায় পুল কার্লভাট ও অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বালাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহুরুল হক ও একই কথা বলেন। শিক্ষাবিদ লুৎফর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তা অস্বীকার করা সম্ভব নয়।৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন ৫তলা বিশিষ্ট সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অন্যতম। ব্যবসায়ী সফিয়ার রহমান বলেন, আফতাব উদ্দিন এমপি’র দক্ষ নেতৃত্বের কারনে সংসদীয় আসনটি আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। ভ্যানচালক ভোলানাথ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আফতাব উদ্দিন মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় হবে।