জাতীয়

বেসরকারি খাতকে সহায়তা করতে অর্থায়ন বাড়িয়েছে এডিবি

Published

on

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) গত বছরের শেষের দিকে ৫১৮ মিলিয়ন ডলার থেকে আর্থিক সীমা ৭৫৫ মিলিয়ন ডলার করেছে। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতকে সহায়তার জন্য ট্রেড ফিনান্স প্রোগ্রামকে (টিএফপি) সম্প্রসারণ করেছে।

মঙ্গলবার (০২ জুন) এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এডিবি জানায়, টিএফপি বাংলাদেশের ১২ টি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে। মূলত বেসরকারি খাতের মূলধন পরিচালনা এবং বাণিজ্যকে ঋণ সহায়তা পূরণ করতে কাজ করে।

এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, অর্থনীতিতে কোভিড ১৯ এর প্রভাব বিবেচনা করে, বিশেষ করে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রাপ্যতা, টিএফপির বৃদ্ধি তরলতা বৃদ্ধি করবে। ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, রফতানি ও আমদানি বাড়িয়ে তুলবে, চাকরি বাড়বে, এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও বিকাশে অবদান রাখবে।’

বাংলাদেশ সর্বাধিক সক্রিয় টিএফপি দেশ হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই কর্মসূচীটি এ পর্যন্ত ৮২৪ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যকে সাপোর্ট করেছে। যার মধ্যে ৭৮ শতাংশ লেনদেন হয়েছে বেসরকারি খাত দ্বারা।

১ হাজার ৩৬৭টি লেনদেন হয়েছে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

‘যেহেতু সাধারণত ১৮০ দিনের মধ্যে বাণিজ্য লেনদেন শুরু হয় এবং শেষ হয়।  ৭৫৫  মিলিয়ন ডলার এক বছরে বাংলাদেশ বাণিজ্যকে ১ বিলিয়ন ডলারের নিয়ে যেতে অবদান রাখবে।’

‘টিএফপির পোর্টফোলিও ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগকে (এসএমই) সহায়তা  করে।  ফলে বাংলাদেশে নারীসহ ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে দাবি করেছেন মনমোহন প্রকাশ।

টিএফপি ২১ টি দেশের ২৪০ টিরও বেশি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে। এশিয়ার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বাজারে আমদানি ও রফতানিকারক কাজে জড়িত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করে।

২০১৯ সালে টিএফপি মোট ৪ হাজার ৮৩টি লেনদেনে সহায়তা করে। মোট লেনদেন ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন।

২০০৯ সাল থেকে, এডিবি এশিয়া জুড়ে প্রায় ২০ হাজার এসএমইকে সহায়তা করেছে- পণ্য ও মূলধনী পণ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরবরাহ এবং ভোক্তা সামগ্রীতে সেক্টরেও। যার মূল্য  ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২৬ হাজারের বেশি  লেনদেনের মাধ্যমে এই অর্জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version