জাতীয়

মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন যুগে প্রবেশ – শেখ হাসিনা

Published

on

গতকাল দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ বহনকারী রকেট ফ্যালকন-৯ সফলভাবে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নতুন যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

উৎক্ষেপণের ৮ মিনিটের মধ্যে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পৌঁছে যায়। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ মহাকাশে পৌঁছে দিয়ে মাত্র ৩ মিনিট পরই রকেট ফ্যালকন-৯ ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। ৩৩ মিনিটে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ নিজস্ব কক্ষপথে পৌঁছে যায়।

এরপর থেকে স্যাটেলাইটটি নিজ থেকেই কাজ শুরু করবে। উৎক্ষেপণের পরপর স্পেসএক্সের ওয়েবসাইট ও উৎক্ষেপণস্থলে রাখা বড় পর্দায় বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে সেখানে প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। এর মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেটের সফল উৎক্ষেপণ করল স্পেসএক্স।

এস্পেসএক্সের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের লাইভ টেলিকাস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারণকৃত একটি ভিডিও সম্প্রচারিত হয়।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এই দিনকে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের একটি দিন অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরাও স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হলাম। প্রবেশ করলাম এক নতুন যুগে।

তিনি বলেন, এখন মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন হবে।

বাংলাদেশের জাতির জনকের নামাঙ্কিত এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার, টেলিযোগাযোগ ও ডেটা কমিউনিকেশন সেবা পাওয়া যাবে।

এই স্যাটেলাইটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকস্তান, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের অংশ বিশেষে সেবা প্রদান করা সম্ভব বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিতেন। মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version