জাতীয়

মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীসহ ৮ জেলায় বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন নিহত

Published

on

মাদকবিরোধী অভিযানকালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজধানীসহ দেশের ৮ জেলায় মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন।

গতকাল দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুমিল্লায় দুজন, ভালুকায় একজন, যশোরে দুজন, সাতক্ষীরায় একজন, কুষ্টিয়ায় দুজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, নারায়ণগঞ্জে একজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে একজন নিহত হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

রাজধানী : দক্ষিণখানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণখানে আশিয়ান সিটির মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন ওরফে খুকু সুমন (৩৫) ওই এলাকার একজন ‘চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা’ এবং তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনের চারটি মামলা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

কুমিল্লা : মুরাদনগরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গুঞ্জর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার পৈয়া পাথর এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে লিটন ওরফে কানা লিটন (৩৬) ও বাখরনগর এলাকার সহিদ মিয়ার ছেলে বাতেন মিয়া (৩৪)।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানকালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

নিহত মাদক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজান (৪৫) ভালুকা উপজেলার কাচিনা গ্রামের (দক্ষিণপাড়া) মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশের দাবি, নিহত মিজান একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি ছিল।

যশোর : যশোরে দুদল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত দুই মাদক ব্যবসায়ী হলেন- যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার মানিক ও মণ্ডলগাতি এলাকার আসর আলী।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী। আনিসুর কলারোয়ার ইয়াবা সম্রাট নামে পরিচিত। মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষের জেরে গোলাগুলির মধ্যে তার মৃত্যু হয়। নিহত আনিসুর রহমান (৪০) কলারোয়ার পাকুড়িয়া গ্রামের সুরত আলির ছেলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় মাদক ও ডাকাতিসহ আট মামলার আসামি জনি মিয়ার (৩০) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, একটি কার্তুজ, দুটি ছোরা, একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার দিনগত রাত ২টার দিকে পৌর শহরের খালাজোড়া এলাকা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জনি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খাইয়ার গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

পুলিশের দাবি, ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগির বিরোধে সহযোগীদের গুলিতে জনি নিহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া : দৌলতপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

সোমবার দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার শেয়ালামাঠ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর এলাকার টাইটেল (৩৫) এবং মুন্সীগঞ্জ এলাকার মোকাদ্দেস (৩৬)।

নিহত মাদক ব্যবসায়ী মোকাদ্দেস দৌলতপুর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে ও ফজলুর রহমান টাইটেল একই উপজলার প্রাগপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।

ঠাকুরগাঁও : জেলার হরিপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হারুন (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানকালে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version