লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু’র স্বাক্ষর জাল করার দায়ে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ২কর্মচারীসহ ৩জনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
সোমবার (৬ আগস্ট) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান (৪০) ও মমিনুল ইসলাম (৪৫) ও তাদেও সহযোগী শহরের তালুক খুটামারা এলাকার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী সুমি বেগম (৩০)।
পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু জানান, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত “কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচী” আওতাধীন লালমনিরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৫০ জনকে ভাতা প্রদানের জন্য ১ আগষ্ট থেকে আবেদন ফরম বিতরণ শুরু করা হয়। আবেদনকারী পৌরসভার বাসিন্দা হিসেবে মেয়রের নাগরিকত্বের সদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও মমিনুল ইসলাম যোগসাজশে শহরের তালুক খুটামারা এলাকার আমিনুল ইসলামে স্ত্রী সুমি বেগমের মাধ্যমে এলাকার হতদরিদ্র মহিলাদের সরকারী ভাবে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দিয়ে প্রত্যেকের নিকট থেকে ৩/৪ হাজার টাকার হাতিয়ে নিয়ে পৌর মেয়রের স্বাক্ষর, সীল ও প্যাড জাল করা ফরম সরবরাহ করেন।
এমন একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যান পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুসহ কাউন্সিলরগণ। সেখানে অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও মমিনুল ইসলামের নিকট থেকে তার স্বাক্ষর, সীল ও প্যাড জাল করে আবেদন ফরম পুরন করাবস্থায় হাতেনাতে আটক করেন। পরে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ হাতে আটককৃত ৩জনকে র্সোপদ করেন। ওই সময় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অনেক হতদরিদ্র মহিলারা ভীড় জমান।
পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু আরও বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচীর ফরম পুরন করা হচ্ছিল। আমি আমার কাউন্সিলরগণসহ তাদের হাতেনাতে ধরে সদর থানা পুলিশ হাতে সোর্পদ করেছি।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অতিরিক্ত সাবরিনা লাকী বলেন, পৌর মেয়রের স্বাক্ষর জাল বাহিরে হয়েছে। যদি আমার অফিসে কোন কর্মচারী এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি ব্যবস্থা নিবো। যে কেউ অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করাবে এটা হতে পারে না।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ আলম বলেন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে পৌর মেয়রের স্বাক্ষর জালের ঘটনায় অফিসের ২কর্মচারী নজরদারীতে রাখা হয়েছে এবং বহিরাগত সুমি নামক একজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যদি এ ব্যাপারে ওই অফিসের কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।